হাসপাতালে একক অভিযানের বিপক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৫:২৮, ০৯ আগষ্ট ২০২০

হাসপাতালে একক অভিযানের বিপক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জনমত ডেস্ক : বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এককভাবে অভিযান চালানোর বিপক্ষে অবস্থান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে অনিয়ম পেয়ে গিয়ে কয়েকটি হাসপাতাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বন্ধ করে দেওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি এই অবস্থান জানান।

হাসপাতালগুলো আইন ভাঙলে আইন অনুযায়ীই ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি এই তৎপরতাকে অভিযান বলা নিয়েও আপত্তি তুলেছেন।

রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জাহিদ মালেক বলেন, ‘এটা অভিযান কেন? হাসপাতালে কি অভিযান করে? হাসপাতালে ইনকোয়ারি করে। অভিযান তো করে চিটাগং হিল ট্রাক্টসে, সেখানে সন্ত্রাসী থাকে, সেখানে অভিযান করে।’

র‌্যাব-পুলিশের অভিযানের পর সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান চালানো থেকে বিরত থাকতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে গত ৪ আগস্ট চিঠি দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পেয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, তাহলে কি বেসরকারি হাসপাতালে অনিয়ম বন্ধে অভিযান বন্ধ হয়ে গেল?

ওই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে অভিযান শব্দটি নিয়ে আপত্তি তুললেও অনিয়মের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা চলবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটা সমঝোতা হয়েছে যে এই ধরনের ব্যবস্থা নিতে গেলে তা যৌথভাবে করা হবে। এককভাবে ওনারা কোনো জায়গায় যাবে না, ওনারা আমাদের সাথে আলোচনা করে, আমরাও দরকার হলে ওনাদেরকে নিয়ে যাবো। কাজেই অভিযান বন্ধ হয়ে গেছে, এ কথাটা ঠিক নয়।’


নাটোরে স্কুলছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা

প্রকাশিত :  ০৫:৫৬, ২৯ মার্চ ২০২৪

নাটোরের নলডাঙ্গায় হিমেল হোসেন (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হাত-মুখ বেঁধে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে সহপাঠীদের বিরুদ্ধে।

নিহত হিমেল হোসেন পিপরুল গ্রামের টিসিবি ডিলার ফারুক সরদারের ছেলে। সে পাটুল-হাঁপানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।

এ ঘটনায় হিমেলের দুই সহপাঠীসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— একই এলাকার পার্থ, মেহেদি, সুজন ও শিমুল। এদের মধ্যে পার্থ ও মেহেদী নিহত হিমেলের সহপাঠী।

গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এ টি এম মাইনুল ইসলাম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে হিমেলকে তার  বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় সহপাঠী পার্থ। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল হিমেল। এ ঘটনায় হিমেলের বাবা ফারুক সরদার নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ করলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ রাতেই পার্থকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অপর সহপাঠী মেহেদী এবং এলাকার ‘সিনিয়র’ বন্ধু সুজন ও শিমুলকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের সাথে নিয়ে রাত দেড়টার দিকে  পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পেছনে পরিত্যক্ত ইউনিয়ন পরিষদের পাশের একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে হিমেলের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এ.টি.এম. মাইনুল ইসলাম বলেন, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর হিমেলের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছিল না পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হিমেলের মুঠোফোনের সূত্র ধরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। নলডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।