img

ট্রাকে ধাক্কা দিয়ে প্রাণ হারালেন দুই মোটরসাইকেল আরোহী

প্রকাশিত :  ০৬:৫৭, ১০ আগষ্ট ২০২০

ট্রাকে ধাক্কা দিয়ে প্রাণ হারালেন দুই মোটরসাইকেল আরোহী

জনমত ডেস্ক : থেমে থাকা ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেল নিয়ে ধাক্কা দিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগে চাকরি করা দুই ব্যক্তি। রবিবার (৯ আগস্ট) রাত আনুমানিক ১১টার সময় পাটকেলঘাটা থানার মির্জাপুর বাজার সংলগ্ন মহাশ্মশানের পাশে মহাসড়কের ওপর এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন খুলনা আবু নাসের হাসপাতালের হিসাবরক্ষক ও খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার কৃষ্ণনগর জলমা গ্রামের আব্দুল লতিফ খানের ছেলে কে এম রোকনুজ্জান লিটু মোল্লা (২৮) এবং খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার ব্রাহ্মগাতি গ্রামের মৃত এসএম বিল্লাল হোসেনের ছেলে ও খুলনা আবু নাসের হাসপাতালের অফিস সহকারী এসএম শাকিব হোসেন (২৭)।

পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, খুলনার আবু নাসের হাসপাতালের দুই স্বাস্থ্যকর্মী ১৫০ সিসি মোটরসাইকেলে করে রবিবার রাত ১১টার দিকে খুলনা থেকে সাতক্ষীরায় আসার পথে সামনে বিকল হয়ে পড়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই তাদের দুজনের মৃত্যু হয়। পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশে হস্তাস্তর করা হয়েছে। খবর পেয়ে খুলনার (চুকনগর) হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ট্রাকটি আটক করে চুকনগর নিয়ে যায়।

img

রাজধানীতে রড দিয়ে পিটিয়ে শিশু গৃহকর্মী খুন, দম্পতির যাবজ্জীবন

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:১০, ১৪ মে ২০২৪

১৮ বছর আগে রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন এলাকায় রড দিয়ে পিটিয়ে শিল্পী বেগম নামে ১১ বছর বয়সি গৃহকর্মীকে খুনের দায়ে নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাসের কারাভোগের আদেশ দেন।

মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আরিফুল ইসলাম সাজার বিষয় নিশ্চিত করেন। 

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ভিকটিম শিল্পী বেগম উত্তর কমলাপুর কবি জসিম উদ্দিন রোডে মতিঝিল থানাধীন এলাকায় আসামি নজরুল ইসলামের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত। ২০০৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমের মা অজ্ঞাত ফোন কলের মাধ্যমে জানতে পারেন, তার মেয়ে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। 

পরে ভিকটিমের মা হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান, তার মেয়ে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি রয়েছে। আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, আসামিরা ভিকটিমকে ঘরের দরজা আটকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত করেছে। এর আগে বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে ভিকটিমকে আঘাত করা হতো বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

ঘটনার তিনদিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিল্পী মারা যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা সিরাজুল ইসলাম মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে মতিঝিল থানার এসআই গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম একই বছরের ৩০ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। 

পরের বছরের ২৬ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।