img

বিসিএ’র সেরা দশ ’রেস্টুরেন্ট অফ দ্যা ইয়ার’ নির্বাচিত

প্রকাশিত :  ১৬:২৩, ০৫ নভেম্বর ২০১৮

বিসিএ’র সেরা দশ ’রেস্টুরেন্ট অফ দ্যা ইয়ার’ নির্বাচিত

জনমত রিপোর্ট ।।  ব্রিটেনের বাংলাদেশী কারী ইন্ড্রাষ্টির বৃহত্তম সংগঠন বাংলাদেশ ক্যাটার্রাস এসোসিয়েশন ( বিসিএ) বর্ণাঢ্য আয়োজনে তাদের ১৩তম বিসিএ এওয়ার্ড প্রদান করতে যাচ্ছে। আগামী ২৫ নভেম্বর রবিবার লন্ডনের , ওয়েসমিনিষ্টার ব্রিজ এর অভিজাত পার্ক প্লাজা হোটেলে অনুষ্ঠিত হবে বিসিএ’র এওয়ার্ড এবং গালা ডিনার। এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হলো আরেকটি অনুষ্ঠান রেস্টুরেন্ট অব দ্যা ইয়ার এর জাজিং।

গত ৩০ অক্টোবর মঙ্গলবার ক্যানারিওয়ার্ফের কানাডা স্কয়ারের লেবেল থার্টি নাইনে দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠানে কারী ইন্ড্রাষ্ট্রির একসপার্টরা প্রায় ৪০টি রেষ্টুরেন্ট থেকে ১০টি রেষ্টুরেন্টকে নির্বাচন করেছেন। নির্বাচিতদের নাম এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষনা এবং পুরস্কৃত করা হবে।
তিনটি ক্যাটাগরীতে এবার বিসিএ কারী এওয়ার্ড প্রদান করা হবে। বিসিএ শেফ অফ দ্যা ইয়ার, বিসিএ রেষ্টুরেন্ট অফ দ্যা ইয়ার, বিসিএ অনার অফ দ্যা ইয়ার।

লন্ডনের অভিজাত ও মর্যাদার্পর্ণ এলাকা ক্যারারীওয়াফের কানাডা স্কয়ারে রেষ্টুরেন্ট অফ দ্যা ইয়ার নির্বাচনের অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন ক্যানারীওয়ার্ফ গ্রুপের এ্যাসোসিয়েট ডাইরেক্টর ফর কমিউনিটি‘র জাকির খান।

বিসিএ রেষ্টুরেন্ট অফ দ্যা ইয়ার নির্বাচনে বিচারকগণ রেষ্টুরেন্টগুলোর ক্রিয়েটিভ কাজের উপস্থাপনা, কাজের নতুনত্ব,কারী ডিশ এর সৃজনশীল উপস্থাপনা ও উদ্ভাবিত খাবারের মৌলিকত্ব , খাবারও রেষ্টুরেস্টুরেন্ট এর হ্যাল্থ এন্ড সেফটি এবং কাষ্টমার সেবা ইত্যাদি মূল্যায়নের জন্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী রেস্টুরেন্টগুলিতে কাষ্টমার সেজে খাবার ও কারী সমাগ্ররী বিক্রিতে সেবা ও পেশা দারিত্ব ইত্যাদি বিষয়গুলো বিচারকরা সামনে রেখেই রেষ্টুরেন্ট অফ দ্যা ইয়ার নির্বাচনে সর্টলিষ্ট করেছেন।

অনুষ্ঠানে বিসিএ সভাপতি কামাল ইয়াকুব বলেন, আমাদের ইন্ড্রাষ্টিতে অনেক প্রতিভাবান শেফ রয়েছেন। তারা অনেক পরিশ্রমী এবং কাজের প্রতি তাদের রয়েছে উদ্ভাবনী চিন্তা। ব্রিটেনে কারী শিল্পে বাংলাদেশী শেফরা নতুন নতুন ডিশ কারীম্যানুতে যুগ করে এই শিল্পকে সমৃদ্ধ করছেন। যা ব্রিটিশ কারী ইন্ড্রাষ্টির জন্য একটি মাইল ফলক কাজ। আমাদের বিশ্বাস বিসিএর এই উদ্যোগ কারীশিল্পের বর্তমান সংকাপন্ন সময়ে আলোর বার্তা বয়ে আনবে।

‘একজন শেফ হিসাবে, আমি জানি এই প্রতিযোগিতা কতটা কঠিন এবং এই প্রতিযোগিতা কেন এই শিল্পের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ। অসম্ভব প্রতিভাবান শেফ আমাদের ইন্ড্রাষ্টিতে আছেন এবং তাদের তৈরী খাবারগুলো ব্রিটিশকারী ইন্ড্রাষ্টিকে সমৃদ্ধ করছে সন্দেহ নেই। বিসিএ কারী এওয়ার্ড উপলক্ষে আমাদের এই প্রতিযোগিতামূলক কাজটি অনেক দক্ষ ক্যাটারার্স, প্রতিভাবান শেফ এবং একই অনেক মজাদার ও সৃজনশৈলীর খাবারের ডিশ কারী ইন্ড্রাষ্টিতে যোগ হবে বলে আমি বিশ্বাস করি- বলেছেন বিসিএ’র সেক্রেটার জেনারেল ওলি খান।
বিসিএ সাংগঠনিক সম্পাদক ও এওয়ার্ড কমিটির প্রধান মিটু চৌধুরী বলেন: বিসিএ এওয়ার্ড হচ্ছে কারী শিল্পের এক মিলনমেলা। এই প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে ক্যাটারার্স ও শেফসহ কারীশিল্পের ষ্টাফদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক জাগরণ সৃষ্টি হয়েছে। যারা নির্বাচনের দায়িত্বে ছিলেন তারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে অত্যন্ত প্রফেশনাল। রেষ্টুরেন্ট এর সাজসজ্জা থেকে শুরু করে খাবারের স্বাদ, উপস্থাপনা এবং কাষ্টমারদের কাছে এর গ্রহনযোগ্যতা ইত্যাদি বিষয়গুলোকে সামনে রেখেই সেরা দশ নির্বাচন করেছেন। নির্বাচিতদের কাছ থেকে কারী ইন্ড্রাষ্টি অনেক ভালো কিছু পাবে বলে বিসিএ বিশ্বাস করে।

শেফ অফ দ্যা ইয়ার এওয়ার্ড কমিটির প্রধান আতিকুর রহমান বলেন, এবারের প্রতিযোগিতায় অনেকে ইতিবাচক দিক এর অন্যমত হচ্ছে এবার চিকেন ও মিট ডিশ এর সাথে ফিশ ও ফিউশন ডিশ এর প্রাধান্যতা। শেফদের খাবার তৈরী ও পরিবেশনে স্বাস্থ্যসচেতনা এবং মৌলিক কাজের ছাপগুলোও স্পস্ট ছিল। অংশগ্রহনকারী সবাই তাদের নিজ নিজ চিন্তায় নতুন ডিশ তৈরী করতে প্রতিযোগিতায় উপস্থাপন করেছেন। যা কারী ইন্ড্রাষ্টিতে অনেক ভালো ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।

বিসিএ রেষ্টুরেন্ট অফ দ্যা ইয়ার নির্বাচনে বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন ডেইমন সো ওয়ারবিক ;সিইও , অব কিংফিরার, ব্রিওরি সামসান সুহেল ;এমডি অফ কোবরা ব্রিওরি, রেজা রহমান, ডাইরেক্টর, টোটাল ফুড, জন হকার; ডাইরেক্টর, এগলি মিডিয়া সলিউশন, জাসবীর সিং; হেড শেফ, হিলটন হোটেল।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বিসিএর প্রেসিডেন্ট কামাল ইয়াকুব, সেক্রেটারী জেনারেল ওলি খান, সংগঠনের সাবেক সভাপতি পাশা খন্দকার এমবিই ও সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল এম এ মুনিম, বিসিএ এওয়ার্ড কমিটির জয়েন্ট হেড কনভেনার মুজাহিদ আলী চৌধুরী, শেফ অন লাইনের সিইও এম এ সালিক।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন এনটিভি ইউরোপ এর সিইও সাবরিনা হোসেন, কাউন্সিলার আবদাল উল্লাহ, শেফ অনলাইনের মার্কেটিং ডাইরেক্টর মো, আক্তারুজ্জামান, লিছা মো এর ইয়াং জনস, ঢাকা রিজেন্সির মোসলেহ উদ্দিন, রাধুনীর মিসেস ফারজানা হোসেন, পে-টাপ এর শাহেদ উদ্দিন।
এছাড়াও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিসিএ এর ডেপুটি সেক্রেটারী হেলাল মালিক, প্রেস এন্ড পাবলিসিটি সেক্রেটারী ফরহাদ হোসেন টিপু, কেন্ট রিজিওনের প্রেসিডেন্ট কামরুজ্জামান জুয়েল।

রেষ্টুরেন্ট অফ দ্যা ইয়ার নির্বাচনের পুরো কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেন মেহেরুল ইসলাম, সাইদুল হক চৌধুরী লিটন, ফায়জুল হক, সেলিম রাব্বানী, আহমদ সুহেল, দিলওয়ার হোসেন, মুজিবুর রহমান ঝুনু ও নাজাম উদ্দিন নজরুল।


বিসিএ শেফ অফ দ্যা ইয়ার এর সেরা দশ ফাইনালিষ্ট হলেন- শেফ মোহাম্মদ আলী – দীপালী রেষ্টুরেন্ট (পামার্স গ্রীন, লন্ডন), আয়সান শেখ – স্নোতি মেহমান (লিটলওয়ার্থ, অক্সফোর্ডশায়ার), আমাদুর রহমান – স্পাইস লাউঞ্জ,(বারফোর্ড, অক্সফোর্ডশায়ার), রাসেল রহমান – স্পাইস লাউঞ্জ (অক্সফোর্ড ), মাহফুজ আহমেদ চৌধুরী – জেনারাস রাজ ( থুরমাস্টন, লেইসেস্টার), মোহাম্মদ আশিক উল ইসলাম – বেঙ্গল লাউঞ্জ (ফারহানহাম, সারে), হাবার্ট রোজারিয়াম – দ্য বেঙ্গল লাউঞ্জ, (ফারনাহম, সারে), টি আহমেদ – কারি গার্ডেন (পটারর্স বার, হার্টফোর্ডশায়ার), নিজাম উদ্দিন, এ্যারোমা (রেডলেট ,হার্টফোর্ডশায়ার), সালমান শাফিয়ান – টিফিন চয়েস (ব্রোমলি, লন্ডন), মোহাম্মদ আনামুল হক – নাজ বাল্তি ( অরপিংটন, লন্ডন), আকরামুল ইসলাম কোয়েসাম – দ্যা গিল্ডফোর্ড স্পাইস ( সারে গিল্ডফোর্ড স্পাইস) , শহীদুর রহমান – রাজ স্পাইস ( রোলি রেজিস, ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস), মাহীদুর রহমান রহমান – আইনাগা, (কনি হল, ওয়েস্ট উইকহ্যাম, লন্ডন), কদর আলী-টাইগার গার্ডেন (মার্লো, বাকিংহামশায়ার), সুজন মিয়া – শালিম ভারতীয় রেষ্টুরেন্ট (ওয়েমাউথ, ডরসেট), আবদুল কুদ্দুস – মহারাণী ইন্ডিয়ান রেষ্টুরেন্ট ( সিটিংবর্ন, কেন্ট মহারাণী ইন্ডিয়ান রেষ্টুরেন্টে), খসরুজ্জামান খসরু – হিমালয় ভারতীয় রেষ্টুরেন্ট ও বার=(স্ট্রাটফোর্ড, লন্ডন) মোহাম্মদ সাইফুল আলম – কারি হাট ( এনফিল্ড, লন্ডন), মুজিব কিবরিয়া – হিমালয় ভারতীয় রেষ্টুরেন্ট ও বার (স্ট্রাটফোর্ড, লন্ডন), ওয়াসিম উদ্দিন – রয়েল তান্দুরী ( চাতাম, কেন্ট ),মো. মিন্টু খান – রয়েল থাই ক্যুজিন (চাতাম, কেন্ট ), মানিক মিয়া – তামাশা স্পাইস অফ লাইফ (হায়ওয়ার্ড হিথ, লিন্ডফিল্ড, ওয়েস্ট সাসেক্স ), শহীদ উদ্দিন চৌধুরী – ইন্ডিয়ান ডিনার (ওয়েস্ট উইকহ্যাম, লন্ডন), মুহাম্মদ আমিন – ভোজন ইন্ডিয়ান রেষ্টুরেন্ট ( ব্রেইনট্রি, এসেক্স), ডালিম আহমেদ – ক্যাফে মাসালা (রিচমন্ড থেমস, লন্ডন), আজিজুর রহমান – জলসা মার্টন ( মিডলবার্গ, নর্থ ইয়র্কশায়ার)।

১৩ তম বিসিএ এওয়ার্ডটি এবার স্পন্সর করছে- কোবরা বিয়ার, কিংফিশার বিয়ার, শেফ অনলাইন, কানসারাস, স্কয়ার মাইল ইন্স্যুরন্সে, সানমার্ক, রাধুনী, ব্লু বক্স ডিল, শাপলা সিটি লিমিটেড, গান্ধী ওরিয়েন্টাল ফুড, এ্যারোমা আইসক্রিম, মাধুস এবং বিসিএ এর চ্যারেটি পার্টনার ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট।

এবারের এওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করবেন এবছরের প্যারিসোপ তারকা ও টিভি ব্যক্তিত্ব তাসমিন লুসিয়া খান ও জনপ্রিয় ব্রিটিশ অভিনেতা আ্যালেকসিস ক্যনরান।
প্রসঙ্গত ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্যাটারার্স এসোসিয়েশন (বিসিএ) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ব্রিটেনে কারী ইন্ড্রাষ্টির বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিতকরণ, উত্তোরণ এবং এই শিল্পের বহুমুখী অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সম্ভাবনার ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে ধারাবাহিক ভাবে কাজ করছে।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.২২ শতাংশ

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৯, ১৩ মে ২০২৪

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার সব চেষ্টার মধ্যেও গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। এর আগের মাসে অর্থাৎ, মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সাত বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। হালনাগাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে, গত এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মার্চে এটি ছিল নয় দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এপ্রিল মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ দিকে গত এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে; আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর, যা ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ


কমিউনিটি এর আরও খবর