img

তারেকের বক্তব্যের নিন্দায় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের প্রতিবাদসভা

প্রকাশিত :  ০৯:৪১, ০৬ নভেম্বর ২০১৮
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৪৬, ০৬ নভেম্বর ২০১৮

তারেকের বক্তব্যের নিন্দায় যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের প্রতিবাদসভা

জনমত রিপোর্ট ।। লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি যুক্তরাজ্য যুবদলের সভায় অসত্য, মিথ্যা ও বিভ্রান্তকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করে এ বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ।

সোমবার, ৫ নভেম্বর পূব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের বাইরে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামী সভা, সমাবেশ করে মিথ্যা, বানোয়াট বক্তব্য রাখছে। কোন সভ্য সমাজে রাজনৈতিক দলের দায়িত্বে থাকা কারোও কাছ থেকে এমন ভাষা এবং এমন অসম্মানজনক বাক্য কউ আশা করে না।

আলতাব আলী পার্কের সমাবেশ থেকে এ ধরনের নীচহীন, অশ্রুতিপূব বাক্যবান বন্ধের আহবান জানানো হয় তারেক রহমানকে। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এও বলা হয় তারেকর এরকম বক্তব্য বন্ধ না হলে জনগণকে সাথে নিয়ে এর কঠোর জবাব দেয়া হবে। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শামসুদ্দিন আহমদ মাস্টারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের পরিচালনায় সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠণ ছাড়াও বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাঙালিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তরা বলেন, তারেক রহমান মানি লন্ডারিং মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন দন্ডিত লন্ডনে পলাতক আসামী। একজন সাজাপ্র্রাপ্ত আসা্মী কিভাবে এমন কথা বলেন। তারেক রহমানের জানা উচিত কার সম্পর্কে কিভাবে কথা বলতে হয়। রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার বহিভূত কথাবার্তা বন্ধ করার আহবান জানান তিনি। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক প্রতিবাদ সমাবেশে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাজ্য যুবদলের সভায় তারেক রহমান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে অসত্য মিথ্যা বানোয়াট কথা বলেছেন। তারেকের বক্তব্য ক্রিমিনাল অফেন্স। আ্মরা আইনীভাবে এর মোকাবেলা করবো এবং একইসাথে ব্রিটিশ সরকারের মন্ত্রী, এমপিদের কাছে তার এহেদাচরনের নালিশ করবো। সারা ব্রিটেনের প্রবাসী বাঙালিদের নিয়ে এমন ঘৃন্য অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চারহবেন বলেও জানান তিনি।
সভায় বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জালাল উদ্দিন, মোজাম্মেল আলী, যুগ্ম সম্পাদক নঈম উদ্দিন রিয়াজ, সাংগঠনিক আব্দুল আহাদ চৌধুরী প্রমুখ।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.২২ শতাংশ

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৯, ১৩ মে ২০২৪

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার সব চেষ্টার মধ্যেও গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। এর আগের মাসে অর্থাৎ, মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সাত বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। হালনাগাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে, গত এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মার্চে এটি ছিল নয় দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এপ্রিল মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ দিকে গত এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে; আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর, যা ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ


কমিউনিটি এর আরও খবর