সাংবাদিকদের ফখরুল

img

সংসদে প্রশ্নবিকৃতি রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ

প্রকাশিত :  ০৩:৪৮, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০
সর্বশেষ আপডেট: ০৩:৫৪, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০

সংসদে প্রশ্নবিকৃতি রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ

জনমত ডেস্ক : সংসদে কথা বলতে দেয়া হয় না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সংসদ সদস্যরা। সেই সঙ্গে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের প্রশ্ন বিকৃতির অভিযোগও করেছেন তারা। অথচ সংসদে প্রশ্নবিকৃতি রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ। 

বুধবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গত নির্বাচন যেটা হয়েছে, এটা কোনো নির্বাচন হয়নি। এটা হচ্ছে, একটা তামাশার নির্বাচন। সে নির্বাচনের মধ্যে বিএনপির যে সংসদ সদস্যরা জনগণের সমর্থন নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তারা আসলেই ভাগ্যবান মানুষ। পার্লামেন্ট হচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের জায়গা। সরকার মনে করে, পার্লামেন্ট সবসময় তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে। আর যারা তাদের বিরুদ্ধে থেকে সংসদে কথা বলতে চান, এসব বিষয় তারা খুব গুরুত্ব দেন না। কিন্তু যখন সরকার এবং সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা কথা বলতে থাকেন তাদের কোনো বাধা দেয়া হয় না। এই সংসদটা আসলেই যে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিতদের জন্য একটি প্রতিষ্ঠান তখনই নিঃসন্দেহে আমাদের কিছু কথা বলার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সরকারি দল তাদের ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য, চিরস্থায়ী করার জন্য এবং একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য পার্লামেন্ট তৈরি করেছে। সেই পার্লামেন্টে আসলে কী করা হচ্ছে- এসব বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্যই আমরা আজকে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছি। আজকে পার্লামেন্টে যারা বিরোধী দলের সংসদ সদস্য আছেন তাদের ন্যূনতম কথা বলার যে অধিকার সে অধিকারটুকু দেয়া হচ্ছে না। সরকার সবসময় জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। আমাদের সংসদ সদস্যরা যে সব প্রশ্ন দিচ্ছেন সেই প্রশ্নগুলো বদলে দেয়া হচ্ছে। চিন্তা করা যায় না। আজকে সংসদের স্পিকারসহ যখন এসব প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাহলে এটাকে আমি কোন ধরনের প্রতারণা বলব। এসব প্রতারণা করে তারা রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ করছে।

বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, আমরা সংসদে গিয়েছি একটাই কারণ, দেশে যে গণতান্ত্রিক ধারা আছে সেটা রক্ষা করার জন্য। গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখার জন্য আমরা পার্লামেন্টে গিয়েছি। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য সংসদে কথা বলতেই আমরা সংসদে গিয়েছি। কিন্তু আমাদের সংসদ সদস্যদের ন্যূনতম যে অধিকার, সেটুকু দেয়া হচ্ছে না। এটা কখনো মেনে নেয়া যায় না। ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, সংসদে একটা শক্তিশালী বিরোধী দল থাকা গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয়। আমি বলি, উনার কথাটা সত্যিকার অর্থে একটি হাস্যকর এবং জাতির সঙ্গে তামাশা করা। এগুলো পরিহার করে আপনারা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর বোঝা যাবে, কারা জনগণের প্রতিনিধি আর কারা প্রকৃতপক্ষে বিরোধীদল


img

মহান মে দিবস আজ

প্রকাশিত :  ২০:৫০, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

আজ বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন, মহান মে দিবস। ১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের ‘হে’ মার্কেটের শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ওইদিন তাদের আত্মদানের মধ্যদিয়ে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় পত্রিকাগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো দিনটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান ও টক শো সম্প্রচার করবে। বাংলাদেশে এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘শ্রমিক মালিক গড়ব দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ।’

মহান মে দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। মহান দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের সব শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্বব্যাপী আর্থসামাজিক উন্নয়নে শ্রমজীবী মানুষের কঠোর পরিশ্রম, ত্যাগ ও ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে শ্রমিকের অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা মে দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। তিনি শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে মজুরি কমিশন গঠন করেন এবং নতুন বেতনকাঠামো ঘোষণা করেন।

মে দিবসে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বাণীতে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাদের সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, সমৃদ্ধি ও নিরাপদ জীবন কামনা করি।’

মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টি—জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং দলের মহাসচিব ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম বাংলাদেশের মেহনতি মানুষদের একই সঙ্গে বিশ্বের মেহনতি সব মানুষকেও আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে জেপির নেতৃদ্বয় বলেন, ‘মেহেনতি মানুষের শ্রম ও ঘামে আমাদের এই সভ্যতা গড়ে উঠেছে। মহান মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা সংগ্রামের এক অনন্য দিন। আমরা এই দিনে বাংলাদেশের তথা বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য সংগ্রামের প্রতি এবং তাদের শ্রমের ন্যায্য মূল্যের দাবির প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন ঘোষণা করছি। আমরা এই দিনে সব মেহনতি মানুষের সর্বাঙ্গীণ সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করছি এবং মহান মে দিবসে যারা আমেরিকার শিকাগোতে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন, সেই শহরের শ্রমিকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।’

মহান মে দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শ্রমিকসমাবেশ, শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা, সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আজ বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। আজ বেলা ৩টায়  বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে এক শ্রমিক জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।