লোহাগড়ায় কুপিয়ে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা
জনমত ডেস্ক : এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নড়াইলে জহিরুল ইসলাম রেজওয়ান (২৬) নামে এক ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যারাত সাড়ে ৭টার দিকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত জহিরুল ইসলাম লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও দিঘলিয়া গ্রামের মৃত সাইফুল শেখের ছেলে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, রাত সাড়ে ৭টার দিকে দিঘলিয়া বাজার থেকে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন জহিরুল ইসলাম রেজওয়ান। পথিমধ্যে দিঘলিয়া বাজার সংলগ্ন কুমড়ি-দিঘলিয়া সড়কে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জহিরুল ইসলাম রেজওয়ানকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের কোপে রেজওয়ানের বাম পা ও বাম হাতের হাড় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একই ঘটনায় তাকে মাথাও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে রাত ৮টার দিকে লোহাগড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়।
লোহাগড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার মো. খালিদ সাইফুল্লাহ বিল্লাল দৈনিক অধিকারকে জানান, ‘রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। রেজওয়ানের বাম পা ও বাম হাতের হাড় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাঁর বেঁচে উঠার সম্ভাবনা কম।’
এ ব্যাপারে কুমড়ি গ্রামের মো. তুহিন শেখসহ আরও কয়েকজন দৈনিক অধিকারকে জানায়, ‘জহিরুল ইসলাম রেজওয়ানের মূল বাড়ি কুমড়ি গ্রামে। দিঘলিয়া এলাকায় নতুন বাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছিলেন তিনি। গুরুতর আহতাবস্থায় নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে রেজওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।’
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান দৈনিক অধিকারকে জানান, ‘জহিরুল ইসলাম রেজওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।’