img

লোহাগড়ায় কুপিয়ে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা

প্রকাশিত :  ১৯:১২, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০

লোহাগড়ায় কুপিয়ে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যা

জনমত ডেস্ক : এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নড়াইলে জহিরুল ইসলাম রেজওয়ান (২৬) নামে এক ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যারাত সাড়ে ৭টার দিকে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত জহিরুল ইসলাম লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও দিঘলিয়া গ্রামের মৃত সাইফুল শেখের ছেলে।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, রাত সাড়ে ৭টার দিকে দিঘলিয়া বাজার থেকে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন জহিরুল ইসলাম রেজওয়ান। পথিমধ্যে দিঘলিয়া বাজার সংলগ্ন কুমড়ি-দিঘলিয়া সড়কে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে জহিরুল ইসলাম রেজওয়ানকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের কোপে রেজওয়ানের বাম পা ও বাম হাতের হাড় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একই ঘটনায় তাকে মাথাও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে রাত ৮টার দিকে লোহাগড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়।

লোহাগড়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার মো. খালিদ সাইফুল্লাহ বিল্লাল দৈনিক অধিকারকে জানান, ‘রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। রেজওয়ানের বাম পা ও বাম হাতের হাড় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাঁর বেঁচে উঠার সম্ভাবনা কম।’

এ ব্যাপারে কুমড়ি গ্রামের মো. তুহিন শেখসহ আরও কয়েকজন দৈনিক অধিকারকে জানায়, ‘জহিরুল ইসলাম রেজওয়ানের মূল বাড়ি কুমড়ি গ্রামে। দিঘলিয়া এলাকায় নতুন বাড়ি বানিয়ে বসবাস করে আসছিলেন তিনি। গুরুতর আহতাবস্থায় নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে রেজওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।’

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান দৈনিক অধিকারকে জানান, ‘জহিরুল ইসলাম রেজওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।’

img

মা-মেয়ের একসঙ্গে এসএসসি পাস

প্রকাশিত :  ০৭:১৩, ১৩ মে ২০২৪

একসঙ্গে এসএসসি পাস করেছে মা ও মেয়ে। এই মা–মেয়ের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের কাঁঠালকান্দি গ্রামে।

রোববার (১২ মে) প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে মেয়ে নাসরিন আক্তার চাতলপাড় ওয়াজউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগ থেকে জিপিএ–২ দশমিক ৬৭ পেয়েছেন। অন্যদিকে নুরুন্নাহার বেগম একই বিদ্যালয়ের কারিগরি (ভোকেশনাল) শাখা থেকে জিপিএ–৪ দশমিক ৫৪ পেয়েছেন।

নুরুন্নাহার (৪৪) চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের দুবারের নির্বাচিত সদস্য। তিনি কাঁঠালকান্দি গ্রামের মো. ফরিদ মিয়ার মেয়ে। তার স্বামী মো. দুলাল মিয়া ইটভাটার ব্যবসা করেন। এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে।

জানা গেছে, ২৩ বছর আগে অষ্টম শ্রেণিতে পড়াকালীন নুরুন্নাহার বেগমের বিয়ে হয়। তিনি বলেন, “বিয়ের পর এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু দুই ছেলে-মেয়ে আর সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন রক্ষণশীল হওয়ায় এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারিনি। এসএসসি পরীক্ষা না দিতে পেরে মনের ভেতর জিদ ছিল—যেদিন সুযোগ পাব, তখনই এসএসসি পরীক্ষা দিব।”

চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক মিয়া বলেন, “একজন ইউপি সদস্য হয়েও নুরুন্নাহার মেয়ের সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষায় বসেছেন। বিষয়টি সত্যিই প্রশংসনীয়। তার এ সাফল্যে আমরা গর্বিত। নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি একজন আদর্শ হয়ে থাকবেন। কারণ, অনেকেই এ কাজ করতে পারবেন না।”