img

মাদক কেলেঙ্কারিতে জড়িত ২৫ বলিউড তারক

প্রকাশিত :  ০৯:১৫, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:২৯, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

মাদক কেলেঙ্কারিতে জড়িত ২৫ বলিউড তারক

বিনোদন ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে বলিউডে ড্রাগের গভীর সংযোগের রহস্য ক্রমশ ফাঁস হচ্ছে। এই কেসের অন্যতম মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

এরপর তাকে গ্রেপ্তার করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। বাইকুল্লা জেলের একটি সলিটারি সেলই আপাতত তাঁর ঠিকানা। রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকেও এই কেসে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রিয়া জামিনের আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেয়।

এনসিবির জেরাতে রিয়া বিটাউনের ২৫ জন তারকার নাম নিয়েছেন। তারা নিজেরা মাদক নিতেন বা ড্রাগ পার্টির আয়োজন করতেন বলে রিয়া জানিয়েছেন। এই ২৫ জন তারকার মধ্যে রিয়া বেশ কিছু নাম খোলাসা করেছেন। শুধু অভিনেতা নন, বলিউড ইন্ডাস্ট্রির নামজাদা প্রযোজক, পরিচালক এই মামলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই তদন্তে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এনসিবির জেরার মুখে রিয়া সারা আলী খান, রাকুল প্রীত সিং, ডিজাইনার সিমোন খমবাট্টার নাম নিয়েছেন বলে দাবি ভারতের এক শীর্ষস্থানীয় চ্যানেলের। সুশান্তের থাইল্যান্ড সফরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সারার নাম।

রিয়া এনসিবিকে আগেও জানিয়েছিলেন যে ‘কেদারনাথ’ ছবির সেট থেকে সুশান্ত ড্রাগ নেওয়া শুরু করেন। এই বলিউড তারকার বক্তব্য, এই ছবির অনেক অভিনয়শিল্পী ড্রাগ নিতেন। রিয়া দাবি করেছিলেন যে সারা আলী খানও সুশান্তের মাদক সেবনের সঙ্গী ছিলেন। ডিজাইনার সিমোনের নাম ধরা পড়েছে রিয়ার ড্রাগ চ্যাটে। রিয়া এনসিবির জিজ্ঞাসাবাদের সময় আরেক বলিউড তারকা রাকুল প্রীত সিংয়ের নাম ফাঁস করেছেন। এনসিবি তাঁদের বিরুদ্ধে সব তথ্য–প্রমাণ সংগ্রহ করে সমন পাঠাবে।

এনসিবি আদালতকে জানিয়েছিল যে তাদের প্রারম্ভিক তদন্তে রিয়া বেশ কিছু বলিউড তারকার নাম ফাঁস করেছেন। বিটাউনের বেশ কিছু ব্যক্তিত্ব ড্রাগ র‍্যাকেটের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে এনসিবি। এই ড্রাগ র‍্যাকেটের মাধ্যমে বিশাল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন হতো। এনসিবি এই এ-লিস্ট ড্রাগ র‍্যাকেটের পর্দা ফাঁস করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তারা এখন এই কেস–সম্পর্কিত সব তথ্য–প্রমাণ সংগ্রহ করতে ব্যস্ত।



img

নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত :  ০৮:৫৫, ০৯ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:২৭, ০৯ মে ২০২৪

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম এবং আদনান সিদ্দিকীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্ত্তী এ রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া আশিষ রায় চৌধুরী ও ইমনসহ বাকিরা খালাস পেয়েছেন।

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন।

সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর তর্কাতর্কি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়।

ঘটনার রাতে সোহেল চৌধুরী তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান। আসামিদের মধ্যে আদনান হত্যাকাণ্ডের পরপরই ধরা পড়েছিলেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। ওই বছরই আসামিদের মধ্যে একজন হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০০৩ সাল থেকে দীর্ঘ ১৯ বছর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি স্থগিত ছিল।

মামলার অভিযুক্ত নয় আসামির মধ্যে পাঁচজন পলাতক। তারা হলেন, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আবদুল আজিজ, ট্রাম্প ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন ও আদনান সিদ্দিকী। এছাড়া আসামি আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন ও ফারুক আব্বাসী জামিনে আছেন। আর কারাগারে আছেন সানজিদুল ইসলাম ইমন।