img

করোনায় আক্রান্ত কোষের ছবি প্রকাশ করলেন বিজ্ঞানীরা

প্রকাশিত :  ০৬:৫৪, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

করোনায় আক্রান্ত কোষের ছবি প্রকাশ করলেন বিজ্ঞানীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাভাইরাস কীভাবে শ্বাসযন্ত্রের কোষগুলোকে আক্রমণ করছে, কীভাবে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ, ছবির মাধ্যমে তা বুঝিয়ে প্রকাশ করলেন বিজ্ঞানীরা। ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ফুসফুসের ভেতরে প্রতিটি কোষে একাধিক সংখ্যক ভাইরাস থাবা বসাচ্ছে নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে। নর্থ ক্যারোলিনা চিলড্রেন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট ইউনিভার্সিটির গবেষক ক্যামিলি এর গবেষণাগারে এই সার্স-কোভ ২ জীবাণুর সংক্রমণের ছবি তুলেছেন এবং তা গ্রাফিক্যাল ব্যাখ্যাসহ প্রকাশ করেছেন। এতে করে এই প্রথম ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটানোর বিস্তারিত সহজবোধ্যভাবে জানা গেলো। ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই’র এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপে ৯৬ ঘণ্টা ধরে লাগাতার গবেষণার মাধ্যমে তোলা হয়েছে শ্বাসযন্ত্রে ভাইরাস সংক্রমণের ছবি। প্রথমে শ্বাসযন্ত্রের কোষ থেকে কলা, কলা থেকে গোটা যন্ত্রে ছড়িয়ে পড়ার ছবি দেখা গিয়েছে সেখানে।

নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে এই গবেষণা পরবর্তী ছবি প্রকাশিত হয়েছে। ছবিগুলো বোঝার সুবিধার জন্য বিভিন্ন রং করা হয়েছে। সেই সঙ্গে স্পষ্ট করে দেখানো হয়েছে, ফুসফুসের বাইরের দিকে এপিথেলিয়াল কোষের গায়ে লোমশ অংশে মিউকাসের মতো পদার্থ তৈরি করছে ভাইরাস। সেখানেই বাড়ছে সংখ্যা। শুধু তা-ই নয়, সেগুলো আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি আসা অন্য ব্যক্তির টিস্যুগুলোতে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।

এই ছবি তৈরির পেছনে গবেষকদের মূল উদ্দেশ্য ছিল মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের গঠন এবং ঘনত্ব নির্ণয় করা। তা করতে সফল হয়েছেন তারা। এই ছবি দেখার পরে বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রথম এত স্পষ্ট ছবি পাওয়া গেলো ভাইরাসের সংক্রমণ পদ্ধতির। এতে প্রতিরোধী গবেষণা করতে আরও সুবিধা হবে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ছবি তৈরির গবেষণাটি মানুষের শ্বাসযন্ত্রের অভ্যন্তরে প্রতিটি কোষে করোনার যে জীবাণু তৈরি হচ্ছে ও বাড়ছে সংখ্যায়, তা দেখতে ও বুঝতে খুবই জরুরি ভূমিকা পালন করবে। ছবিতে এ কথাও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে একসঙ্গে বেশি সংখ্যক জীবাণু আক্রমণ করলে, তা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও যথেষ্ট বেশি। সূত্র: দ্য ওয়াল

img

হ্যাক হতে পারে ওয়াইফাই রাউটার, নিরাপদ থাকতে ১০টি টিপস

প্রকাশিত :  ১২:৩০, ১৮ মে ২০২৪

আমরা একাধিক ডিভাইসে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগের জন্য ওয়াইফাই রাউটার ব্যবহার করি। তবে রাউটার নেটওয়ার্কও হ্যাক করে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে হ্যাকাররা। তাই আগে থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। 

প্রযুক্তিভিত্তিক সাইট সিনেটের প্রতিবেদন থেকে ওয়াইফাই রাউটার হ্যাক হওয়ার থেকে রক্ষা পেতে কিছু প্রয়োজনীয় কৌশল জানা গেছে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই কৌশলগুলো।

ওয়াইফাইয়ের জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করুন: ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড যত শক্তিশালী হবে তত হ্যাকারদের হ্যাক করা কঠিন হয়ে যাবে। কিছুদিন পরপর বা অন্তত ছয় মাসে একবার ওয়াইফাই পাসওয়ার্ড পরিবর্তনও করা জরুরি। আর পাসওয়ার্ড হিসেবে জন্মদিনের তারিখ, ১২৩৪ সংখ্যা, ফোন নম্বর, জন্মস্থান ইত্যাদি ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ হ্যাকাররা খুব সহজেই এসব পাসওয়ার্ড অনুমান করতে পারে। ক্যাপিটাল বর্ণ, সংখ্যা, বিভিন্ন সংকেতের সমন্বয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করুন। 

গেস্ট নেটওয়ার্ক তৈরি করুন: অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে বাসায় আসা অতিথিদের জন্য আলাদাভাবে গেস্ট নেটওয়ার্ক তৈরি করুন। অতিথিরা ওয়াইফাই দিয়ে নিজস্ব ডিভাইসে বিভিন্ন কনটেন্ট ডাউনলোড করার সময় ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার আপনার নেটওয়ার্ককে আক্রমণ করতে পারে। বিভিন্ন আইওটি ডিভাইসের জন্যও গেস্ট নেটওয়ার্ক তৈরি করা ভালো। কারণ ওয়াইফাই ক্যামেরা, স্মার্ট স্পিকারের মতো আইওটি ডিভাইসের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেও হ্যাক করা যেতে পারে। 

রাউটারের লগইন ডেটা পরিবর্তন করুন: রাউটারের জন্য আলাদা পাসওয়ার্ড ও অ্যাডমিনের নাম ব্যবহার করতে হয়। এই পাসওয়ার্ড ও ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড একই বিষয় নয়। রাউটারের সেটিংস থেকে অ্যাডমিন নাম ও পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করা যায়। এ জন্য কোনো ব্রাউজারে রাউটারের আইপি অ্যাড্রেস দিয়ে সার্চ করুন। আইপি অ্যাড্রেস রাউটারের গায়ে লেখা থাকে বা ম্যানুয়াল গাইডে লেখা থাকে। এরপর ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে রাউটারের সেটিংস প্রবেশ করতে হবে। সেটিংস থেকে পাসওয়ার্ড ও ইউজানর নেম পরিবর্তন করতে হবে। আগের ইজার নেম ও পাসওয়ার্ড না জানা থাকলে সংশ্লিষ্ট ওয়াইফাই সেবাদাতাদের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে। 

রিমোট রাউটার অ্যাকসেস ফিচার বন্ধ রাখুন: ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে দূরবর্তী অবস্থান থেকে ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। রিমোট রাউটার অ্যাকসেস ফিচারের মাধ্যমে এই সুবিধা পাওয়া যাবে। তবে প্রয়োজন না হলে ফিচারটি বন্ধ করে রাখাই ভালো। ফিচারটি বন্ধ করার জন্য রাউটারের অ্যাডমিন সেটিংস থেকে পরিবর্তন করতে হবে। 

ঘরের মাঝামাঝি জায়গায় রাউটার রাখুন: রাউটার নিরাপদে ব্যবহার করার জন্য ঘরের মাঝামাঝি জায়গায় রাউটার রাখুন। এর ফলে ঘরের সব জায়গায় নেটওয়ার্ক সমানভাবে পৌঁছাবে। ঘরের মধ্যেই ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক সীমাবদ্ধ থাকবে, বাইরে যাবে না। ফলে হ্যাকাররা এটি সহজে হ্যাকও করতে পারবে না।

ফায়ারওয়াল ও ওয়াইফাই এনক্রিপশন চালু করুন: হ্যাকিং বন্ধে ও রাউটারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অনেক রাউটারেই ফায়ারওয়াল ও ওয়াইফাই এনক্রিপশন ফিচার রয়েছে। এগুলো সাধারণত ডিফল্টভাবে চালু থাকে। তবে ফিচারগুলো চালু রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য রাউটারের সেটিংসে লগ ইন করুন। এরপর ফায়ারওয়াল ও ওয়াই-ফাই এনক্রিপশন ফিচার চালু রয়েছে কি না, তা দেখে নিতে হবে। ফিচারগুলো বন্ধ থাকলে চালু করে নিতে হবে। 

ডাব্লুএপিএ ৩ রাউটার কিনুন: ডাব্লুএপিএ ৩ হলো রাউটারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উন্নত নিরাপত্তা প্রোটোকল। এটি ওয়াইফাইয়ের নেটওয়ার্ককে সুরক্ষিত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। নতুন রাউটার কেনার সময় ওয়াইপিএ ৩-এর সমর্থন রয়েছে কি না, তা দেখতে হবে। 

ডিভাইসের ভ্যারিফিকেশন: নিজের রাউটারের ওয়াফাইয়ের সঙ্গে কোন কোন ডিভাইস যুক্ত, তা মাঝে মাঝে লক্ষ করতে হবে। কোনো ডিভাইস নিয়ে সন্দেহ হলে সঙ্গে সঙ্গে ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে হবে। 

ভিপিএন ব্যবহার করুন: ভালো মানের ভিপিএন ব্যবহার করলে এটি হ্যাকারদের কাছ থেকে রাউটারের আইপি অ্যাড্রেস লুকিয়ে রাখবে। এছাড়া ওয়াইফাই ব্যবহার করে আপনি কী কী করছেন তাও জানতে পারবে না। অনেকেই যাচাই-বাছাই না করেই বিনা মূল্যের ভিপিএন ব্যবহার করেন, তা করা উচিত হবে না। কারণ এতে হিতে বিপরীত হতে পারে।

রাউটার ও ডিভাইসের সফটওয়্যারের আপডেট রাখুন: রাউটার ও সংযুক্ত ডিভাইসকে সুরক্ষা দিতে এবং ত্রুটি দূর করতে কোম্পানিগুলো বিভিন্ন সফটওয়্যারের আপডেট দেয়। এগুলো ডাউনলোড করে ইনস্টল করতে হবে। সেটিংস থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেটের ফিচারটি চালু করে রাখুন।

আপনার রাউটারটি ২০১৮ সালের আগে কেনা হলে এতে ওয়াইপিএ ২-প্রযুক্তি থাকারই সম্ভাবনা বেশি।