img

জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি, সব কারাগারে সতর্কতা

প্রকাশিত :  ১৮:২০, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি, সব কারাগারে সতর্কতা

জনমত ডেস্ক: সম্প্রতি কারাগার থেকে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। ফলে এই অবস্থায় দেশের সব কারাগারকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মোস্তফা কামাল পাশা।

গতকাল রবিবার দেশের কারাগারগুলোতে এ বিষয়ে একটি চিঠি দেন আইজি প্রিজন্স। চিঠিতে সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়াতে ১৮টি নির্দেশনা দেন তিনি।

এদিকে আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন জানান, গতকাল সকালেই দেশের সব ডিআইজি প্রিজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। বিভিন্ন নিরাপত্তার বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারা অধিদপ্তর থেকে আইজি প্রিজন স্যারের নির্দেশনা সম্বলিত একটি চিঠি ইস্যু করে সব কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এতে যেকোনো হামলা প্রতিরোধের ব্যবস্থা হিসেবে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। লালমনিরহাটের একটি হুমকির বিষয়ে আপনারা অবগত। সে বিষয়সহ নানা রকম বিষয় মাথা রেখে দেশের সব কারাগারে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আইজি প্রিজন্সের দেওয়া নির্দেশনারগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রতিটি কারাগারে একজন ডেপুটি জেলার, একজন প্রধান কারারক্ষী ও পাঁচজন কারারক্ষীর সমন্বয়ে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স গঠন করে সম্ভাব্য আক্রমণ প্রতিরোধে প্রস্তুত থাকা। কারাগারের বাইরের গেটে দায়িত্বপালনকারীদের বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট নিশ্চিত করে আগতদের মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা, ডিউটিতে সশস্ত্র সেন্ট্রি নিয়োগ দেয়া, অস্ত্র ও অস্ত্রাগারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

এ ছাড়া চিঠিতে তিনি লিখেছেন, কারাগারের অস্ত্রাগার থেকে প্রয়োজনীয় মুহূর্তে যাতে দ্রুত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করা যায় সেজন্য প্রয়োজনীয় মহড়া আয়োজন, কারাগারের চারপাশের সীমানাপ্রাচীর সুরক্ষিত রাখা ও অ্যালার্ম সিস্টেম পরীক্ষা করে প্রস্তুত করে রাখা, কারাগারে আটক জঙ্গি আইএস, শীর্ষ সন্ত্রাসী, বিডিআর ও বিভিন্ন সংবেদনশীল মামলায় আটক বন্দিদের চলাচল ও গতিবিধি কঠোরভাবে নজরদারি করতে হবে।

img

গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত :  ১৭:৪৪, ০৬ মে ২০২৪

গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

 সোমবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের কিছুটা লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায়। এটি আমরা এক মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশকিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট (বিদ্যুৎকেন্দ্র), বিশেষত অয়েল বেইজড (তেলভিত্তিক) পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো বন্ধ আছে। সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি। তেলের স্বল্পতা ছিল, অর্থস্বল্পতা ছিল-এ বিষয়গুলোকে নজরদারি করে আমরা এখন একটি ভালো পরিস্থিতিতে আছি।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘এ বিষয়গুলো সংসদে আলোচনা হয়েছে। সার্বিকভাবে সবাই, যারা সংসদ-সদস্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও ওয়াকিবহাল। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যেন গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ যত দ্রুত পারা যায় ব্যবস্থা করতে। আমরা সেই ব্যবস্থা করছি।’

উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ডের পরও লোডশেডিং কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। সেটার মধ্যে তো একটা পার্থক্য আছে। কারণ, এবার আপনারা দেখেছেন বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেই তাপমাত্রার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের যতটুকু পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব, তার সবটুকুই করা হয়েছে। এর ওপরে যাওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টাও ছিল। আমরা করতেও পারতাম। কিন্তু মুশকিলটা হলো অর্থ এবং তেলের সংস্থান। এ দুটো জিনিসকে সমন্বয় করতে হবে। সেটা করতে আমাদের যে সময়টুকু লেগেছে, তখন বেশকিছু জায়গায়, গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গায় লোডশেডিং করতে হয়েছে।’

নসরুল হামিদ বলেন, সোমবার দেখেন জিরো লোডশেডিং। আস্তে আস্তে কিন্তু কমে আসছে। আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো আসছে। যারা তেল আনার কথা তারা আনতে পারছিলেন না। তারা দেরি করছিলেন। আমদানি করা তেলের সংকটের কারণে দেড় হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। আমরা অভ্যন্তরীণ সোর্স (বিপিসি) থেকে জ্বালানি সমন্বয় করে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। জ্বালানি স্বল্পতার কারণে বন্ধ থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ধীরে ধীরে উৎপাদনে আসছে।

অর্থ ও জ্বালানি সমস্যা আছে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ সমস্যা অনেকটা কমে যাচ্ছে। গ্রামে লোডশেডিংও ধীরে ধীরে কমে যাবে। গরমে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে, আবার চাহিদাও আছে।

গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ালে শহরে কি লোডশেডিং বাড়বে-এমন প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, আমার মনে হয় না কোথাও লোডশেডিং করে অন্য জায়গায় দেওয়ার ব্যবস্থাটা করতে হবে। তবে আমি মনে করি, আগের থেকে ভালো অবস্থায় এখন আমরা আছি।