ব্রেক্সিট জটিলতা

img

ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে বেড়েছে ডলারের দাম

প্রকাশিত :  ০৬:৪৭, ১০ নভেম্বর ২০১৮
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৫৬, ১০ নভেম্বর ২০১৮

ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে বেড়েছে ডলারের দাম

 জনমত ডেস্ক ।। চলমান ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটিশ অর্থনীতিতে ইতিবাচক সম্ভাবনা কমে আসার সঙ্গেসঙ্গেই গতকাল শুক্রবার দেশটির মুদ্রা পাউন্ড স্টারলিংয়ের বিপরীতে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে মার্কিন ডলার।

বিশেষ করে, মুদ্রাবাজারের বিনিয়োগকারীরা ব্রেক্সিট চুক্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠায় পাউন্ডের এমন দরপতন হয়েছে। এদিন মুদ্রাবাজারে প্রতি পাউন্ডের বিপরীতে ১ দশমিক ৩১ ডলারের লেনদেন সংগঠিত হয়।

তবে ব্রেক্সিট আলোচনায় শেষ মুহূর্তে কতটুকু ছাড় পাবে ব্রিটেন এই নিয়ে চাপা শঙ্কা বিরাজ করছে বিনিয়োগকারীদের মাঝে। বিশেষ করে, উত্তর আয়ারল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডকে পৃথককারী সীমান্ত নিয়ে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সঙ্গে একমত নয় ব্রিটিশ সরকার।

এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সমর্থক নর্দার্ন আইরিশ পার্টি জানিয়েছে, ব্রেক্সিট আলোচনায় আইরিশ সীমান্ত ইস্যু নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তারা এমন কোন পরিকল্পনাকে সমর্থন করবেনা যা যুক্তরাজ্যকে বিভাজিত করবে।

তবে পাউন্ডের দরপতনের পেছনে শুক্রবার মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের ঘোষণাও আংশিক দায়ী। ফেড রিজার্ভ গতকাল জানায়, মার্কিন অর্থনীতি ভালো ফল করায় তারা চলতি মাসে সুদের হার বৃদ্ধি করছেন না।

তবে ডিসেম্বরে এমনটি করার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরেই মুদ্রাবাজারের বিনিয়োগকারীরা আগামীতে মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনায় ডলারে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেন।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে চান না ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৯:০৯, ১২ মে ২০২৪

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী রাফায় ইসরায়েল পূর্ণ মাত্রায় অভিযান পরিচালনা করলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে অস্ত্রের চালান স্থগিতের যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তার সঙ্গে একমত নয় যুক্তরাজ্য সরকার।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মনে করেন, ইসরাইলের ওপর যুক্তরাজ্যের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা হামাসকে আরও শক্তিশালী করবে। খবর বিবিসির

ক্যামেরন জানান, গাজার রাফাহ শহরে বড় ধরনের স্থল অভিযানকে সমর্থন করেন না তিনি। তবে দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পথে হাঁটার পক্ষে না তিনি। 

এদিকে দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জনাথন অ্যাশওয়ার্থ বলেছেন, তিনি চান না যুক্তরাজ্যের তৈরি অস্ত্র রাফায় ব্যবহার হোক।

ইসরাইল প্রতিবছর যে অস্ত্র কেনে তার মাত্র ১ শতাংশ যুক্তরাজ্য থেকে যায় বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন।

যু্ক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা আরও কয়েকটি দেশ ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছে, যদি তারা রাফায় সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে তবে সেখানে গণহারে বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা নিহত হবে এবং বড় ধরণের মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে।

এদিকে সব সতর্কবার্তা এবং হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফায় স্থল অভিযান পরিচালনা করবেন।

ইসরাইলের দাবি, রাফায় হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধা অবস্থান করেছে। তাই সেখানে পূর্ণমাত্রায় অভিযান ছাড়া গাজায় হামাসকে নির্মূল করার তাদের লক্ষ্য পূরণ হবে না।

সোমবার থেকে রাফায় আকাশ হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। মিশর সীমান্তবর্তী এই নগরীতে স্থল অভিযানের প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা। এজন্য রাফার বাসিন্দা এবং সেখানে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।

গাজায় ইসরাইলের আকাশ হামলায় তিন ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার পর ক্যামেরন নিজেই ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

সে কথা উল্লেখ করে ক্যামেরন আরও বলেন, শেষবার আমি যখন ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে বলেছিলাম তার মাত্র কয়েকদিন পর ইরান নিষ্ঠুরভাবে ইসরাইলে হামলা করে বসে। তাই আমি আজ খুব সাধারণ ভাবে ঘোষণা দিতে চাই যে, আমরা আমাদের অস্ত্র রপ্তানির কৌশল পরিবর্তন করলে সেটা হামাসকে আরও শক্তিশালী করবে এবং এটা জিম্মিদের মুক্ত করে আনার চুক্তিকে আরও কঠিন করে তুলবে।