img

১৯৯৭ সালে ইহুদিবিরোধী মন্তব্যে মেয়রপ্রার্থিতা থেকে বাদ পড়লেন গীতা

প্রকাশিত :  ০৮:৪৬, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

১৯৯৭ সালে ইহুদিবিরোধী মন্তব্যে মেয়রপ্রার্থিতা থেকে বাদ পড়লেন গীতা

জনমত ডেস্ক: দুই দশকেরও বেশি সময় আগে ইহুদিবিরোধী মন্তব্য করায় লন্ডনের মেয়র সাদেক খানের বিরুদ্ধে লড়তে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা ও মানবাধিকার কর্মী গীতা শিধু রব।

আগামী বছর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। অর্গানিক খাবার ও জুস পণ্যের ফার্ম নোশ ডেটক্সের প্রতিষ্ঠাতা গীতা।

লন্ডনের মেয়র পদে লড়তে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সংক্ষিপ্ত তালিকায় গীতার নাম ছিল।-খবর এনডিটিভির

কিন্তু ১৯৯৭ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় তার একটি ইহুদিবিরোধী মন্তব্যের ভিডিও সামনে চলে আসায় দল থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। যদিও ওই মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ ও অনুতপ্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

চলতি বছরের মে মাসে লন্ডনের মেয়র নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে নির্বাচন স্থগিত করে এক বছর পরে অনুষ্ঠিত হবে।

মেয়র সাদিক খানের প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে কনজারভেটিভ পার্টির শাওন বেইলি রয়েছেন।

মনোনয়ন থেকে গীতা বাদ পড়ায় লিব ডেমের জন্য প্রার্থী বাছাই কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ দলটির আগের পছন্দ সইবান বেনিতা নির্বাচনী দৌড় থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

লিব ডেমের দলীয় মুখপাত্র বলেন, দল থেকে গীতা শিবুকে বরখাস্ত করা হয়েছে। লন্ডনের মেয়রপ্রার্থী হিসেবে দল থেকে তাকে প্রার্থী করা হচ্ছে না।

তবে এ ঘটনায় তদন্ত চলছে বলেও তিনি জানান।

তেইশ বছর আগে ব্ল্যাবার্নে কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থী হিসেবে তিনি লেবার পার্টির এমপি জ্যাক স্ট্রর বিরুদ্ধে লড়ছিলেন। তখন এক মন্তব্যে তিনি বলেন, ‘একজন ইহুদিকে ভোট দেবেন না, জ্যাক স্ট্র একজন ইহুদি’।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

img

ইরানের ওপর ব্রিটেন-আমেরিকার নতুন নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত :  ১৮:২২, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:০৮, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ইহুদিবাদী ইসরায়েলের প্রধান মিত্রদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইরানের ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশ দুটি। খবর পলিটিকো ইইউ ও আল জাজিরার।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের ইউএভি (ড্রোন) উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত ১৬ ব্যক্তি এবং ২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এরা ইরানের শাহেদ ড্রোন নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত। ওই ড্রোন ১৩ এপ্রিলের হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যও ইরানের ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত দেশটির সামরিক বাহিনী-সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে।

শনিবার রাতে ইসরাইলে প্রত্যাশিত ও অভাবনীয় হামলা চালায় ইরান। ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ইসরাইলের বিমান হামলায় কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা নিহতের প্রতিশোদ হিসেবে ওই হামলা চালানো হয়।

এ হামলায় তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইরান। এগুলোর বেশির ভাগই আকাশে ধ্বংস করার দাবি করেছে ইসরাইল। এ হামলা রুখতে ইসরাইলকে সহায়তা করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জর্ডান।

এ হামলার জবাবে ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, নিজেদের সুরক্ষার অধিকার ইসরাইলের রয়েছে।

ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়ে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, আজকে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সমন্বয় এবং অংশীদার ও মিত্রদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা ইসরাইলে ইরানের নজিরবিহীন হামলার জবাব দিতে দ্রুত ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছি।

ইরানের মারাত্মক কর্মকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো ব্যাহত ও নস্যাৎ করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক উপকরণগুলো (টুল) ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আগামীতে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষগুলোর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।