কে হচ্ছেন হেফাজতের আমির?

প্রকাশিত :  ১২:১৮, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

কে হচ্ছেন হেফাজতের আমির?

জনমত ডেস্ক: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত‌্যুর পরপরই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে, অনুপস্থিতিতে কে দলটিকে (হেফাজতে ইসলাম) সামনে থেকে নেতৃত্ব দিবেন? কে হচ্ছেন আমির? রাজধানী ঢাকা থেকে, না কি চট্টগ্রামেই থাকবে হেফাজতের মূল নেতৃত্ব, এই নিয়ে সংগঠনের ভেতর আলোচনা চলছে।

জানা গেছে, হেফাজতের আমির আল্লাম শফীর মৃত‌্যুর পর সংগঠনের এক নম্বর সহ-সভাপতি হচ্ছেন আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী। তিনি বয়সেও সবার বড়। তাকে হেফাজতে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে আপাতত নেতৃত্বে দেখা যেতে পারে। যদি তিনি দায়িত্ব নিতে অপারগ হন, তাহলে সহ-সভাপতিদের মধ্য থেকে যে কাউকেই ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্বে দেখা যেতে পারে।

তবে, আল্লামা শফীর দাফনের পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে হেফাজতের নেতারা জরুরি বৈঠক করে ভারপ্রাপ্ত আমিরের বিষয়টি নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে।

দলটির মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, উনার (আল্লামা শফী) মতো মানুষ আর পাওয়া যাবে না। উনার চলে যাওয়াতে কিছু প্রভাব পড়বে। তবে ইনশা আল্লাহ এটি কাটিয়ে উঠার আশা রয়েছে। দলের অবস্থান আগের মতোই সুসংগঠিত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

হেফাজতের এক নেতা জানান, হেফাজতের বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ছাড়াও সহ-সভাপতি মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমিকে হেফাজতের ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে দেখা যেতে পারে। তিনি বর্তমানে একইসঙ্গে ঢাকা মহানগর হেফাজতের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ঢাকাকেন্দ্রিক হেফাজতের সব কর্মসূচি তার নেতৃত্বে পরিচালিত হয়ে আসছে।

এছাড়া, ভারপ্রাপ্ত আমির হিসেবে হেফাজতের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাসের নাম আলোচনায় রয়েছে।


গাজীপুরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে ২ জন নিহত

প্রকাশিত :  ০২:২৮, ২৯ মার্চ ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০২:২৯, ২৯ মার্চ ২০২৪

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় গরু চুরি সন্দেহে গণপিটুনিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামের চান মিয়ার বাড়িতে একজন ও একই ইউনিয়নের বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেত অপর একজন নিহত হন। কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত ২টার দিকে কাপাসিয়া থানাধীন সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামে মো. চান মিয়ার বাড়িতে কিছু লোক গরু চুরির উদ্দেশে প্রবেশ করেন। এ সময় চান মিয়া গরু চুরির বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাডাকি করে এলাকাবাসীকে জড়ো করেন। এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে একজনকে ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। অন্যজনকে স্থানীয়রা ধাওয়া দিলে পার্শ্ববর্তী বড়িবাড়ি গ্রামে ধানক্ষেতের আড়ালে লুকান। পরে উত্তেজিত এলাকাবাসী তাকে ধানক্ষেতের আড়াল থেকে খুঁজে বের করে পিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তিনিও নিহত হন।

সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ জানান, গরু চুরিরোধে এলাকায় গ্রামবাসী পাহারা বসিয়েছিল। শুক্রবার রাতে গাড়িতে করে একটি কৃষকের গরু চুরি করতে কয়েকজন আসেন। গ্রামবাসী গরু চুরির বিষয়টি টের পেয়ে একজোট হয়ে দুইজনকে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নামিলা গ্রামে একজন ও পাশ্ববর্তী বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেতে আরেকজন নিহত হন।

তিনি বলেন, আরও চার-পাঁচজন গরু চোর এখনো এলাকায় আছে, গ্রামবাসী তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

কাপাসিয়া থানার ডিউটি অফিসার আরিফ হোসেন বলেন, রাত ২টার দিকে কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামে ও বড়িবাড়ি গ্রামে গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। 

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর মিয়া বলেন, গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।