ভারতের পেঁয়াজ ঢুকতে না ঢুকতেই কেজিতে কমল ২০ টাকা

প্রকাশিত :  ১৫:৫২, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

ভারতের পেঁয়াজ ঢুকতে না ঢুকতেই কেজিতে কমল ২০ টাকা

জনমত ডেস্ক : ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর টানা পাঁচ দিন আটকে থাকা পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাকগুলো হিলি স্থলবন্দর প্রবেশ করতে শুরু করেছে। প্রথম দিনে ১১ ট্রাকে ২৪৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভারত থেকে জিরো পয়েন্ট গেট অতিক্রম করে হিলি বন্দরে ১১ ট্রাক পেঁয়াজ প্রবেশ করে।

পেঁয়াজ আমদানির খবরে বন্দর এলাকায় ভিড়েছে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকার। তবে পেঁয়াজের গুনগত মান নিয়ে দুশ্চিন্তায় আমদানিকারকরা। এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসায় স্থানীয় খুচরা বাজারে কেজিতে ২০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম।

হিলি পানামা পোর্ট জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাপ মল্লিক বলেন, গত সোমবার কোনো কারণ ছাড়াই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার। ফলে আগের টেন্ডার করা শতশত পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক ভারতের অভ্যন্তরে আটকা পরে যায়। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক শেষে আজ বিকেলে পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। দেশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে বন্দরে আসা পেঁয়াজ গুলো দ্রুত ছাড়ার ব্যবস্থা করছি। যাতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানায়, পেঁয়াজগুলোর গুনগত মান নষ্ট হয়েছে। পেঁয়াজ নষ্ট হওয়ায় ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। প্রতি গাড়িতে ৫ থেকে ৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ পঁচে নষ্ট হয়েছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।


বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাবার নষ্ট হয় : জাতিসংঘ

প্রকাশিত :  ১৭:৫৩, ২৮ মার্চ ২০২৪

জাতিসংঘের নতুন এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার নষ্ট হচ্ছে। যদিও এর বিপরীতে প্রতিদিন অনাহারে থাকছে প্রায় ৮০ কোটি মানুষ।

বুধবার (২৭ মার্চ) জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। খাবার অপচয়ের এ ঘটনাকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে।

জাতিসংঘের ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন লাখ কোটি ডলার মূল্যের খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন।

বাড়িঘরগুলোতে প্রতি বছর যে পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হয়, তা এক বছরে বিশ্বে মোট উৎপাদিত খাদ্যের এক পঞ্চমাংশ। জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক প্রকল্প ইউনাইটেড নেশন্স এনভায়র্নমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গের অ্যান্ডারসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় একটি বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি। শুধুমাত্র এই অপচয়ের কারণে প্রতিদিন বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে থাকেন।’

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় কেবল মানুষের আদর্শগত ব্যর্থতা নয়, বরং পরিবেশের জন্যও হুমকি। অপচয়িত বা ফেলে দেওয়া খাবার থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। আমাদের হাতে থাকা তথ্য বলছে, , ফেলে দেওয়া খাবার থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়, বিশ্বে প্রতিদিন বিমান চলাচলজনিত কারণে নির্গত হওয়া গ্রিনহাউস গ্যাসের তুলনায় তা পাঁচগুণ বেশি।

প্রতিবেদনটির তথ্য সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণের কাজে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে র‌্যাপ নামের একটি অলাভজনক গবেষণা সংস্থা। ইউএনইপির কর্মকর্তা ক্লেমেন্টেন ও’কনর এএফপিকে বলেন,‘আমরা এখানে শুধু বাড়িঘরগুলোর তথ্য দিয়েছি। এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে জরিপের ভিত্তিতে। এছাড়া রেস্তোরাঁয় খাদ্য অপচয়ের তথ্য এখানে দেওয়া হয়নি। তাই আমাদের বিশ্বাস, বাড়িঘর ও রেস্তোরাঁয় অপচয় হওয়া খাদ্যের প্রকৃত আরও অনেক, অনেক বেশি।

এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি। প্রতিবেদনটি তৈরিতে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে অলাভজনক সংস্থা ডব্লিউআরএপি। সূত্র: সিএনএন