দরজা খুলতেই নীহারিকাকে জড়িয়ে ধরেন নওয়াজ
সাংবাদিক সন্ধ্যা মেননের কাছে নীহারিকা সিং অভিযোগ করেছেন, নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছিলেন। নীহারিকা সিংয়ের সেই অভিযোগ টুইটারে প্রকাশ করেছেন সন্ধ্যা মেনন।
তিনি লিখেছেন, নীহারিকার সঙ্গে নওয়াজের পরিচয় হয় ২০১২ সালে ‘মিস লাভলি’ ছবির শুটিংয়ে। একবার সারা রাত শুটিং করে সকালে নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী ফিরছিলেন। ফোনে তিনি নীহারিকাকে জানান, তার বাড়ির খুব কাছাকাছি তিনি আছেন। নীহারিকা তাকে প্রাতরাশ করার জন্য বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান। নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী আসার পর বাড়ির দরজা খুলতেই তিনি নীহারিকাকে জড়িয়ে ধরেন। নীহারিকা তার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে খুব অস্বস্তির মধ্যে ছিলেন নীহারিকা।
নীহারিকা জানতে পেরেছিলন, নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী নিজের জীবনের অনেক সত্য তার কাছে লুকিয়েছিলেন। তিনি যে বিবাহিত, এ কথা নীহারিকা অন্যদের কাছ থেকে জেনেছিলেন। নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকীর জীবনের এসব ঘনটা জানার পর নীহারিকা এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন।
নীহারিকা চিত্র পরিচালক সাজিদ খান এবং চিত্রনির্মাতা ও টি-সিরিজের মালিক ভূষণ কুমারের বিরুদ্ধেও যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনেছেন।
টুইটারে নীহারিকা লিখেছেন, সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার পর রাজ কানওয়ার তাকে একটি ছবিতে সুযোগ দিতে চান। কিন্তু ভূষণ কুমার কানওয়ারকে জানান, ওই ছবি থেকে নীহারিকাকে ছেড়ে দেয়া হোক। কারণ তিনি একটি ছবিতে তাকে নিতে চান।
নীহারিকাকে নিজের অফিসে ডেকেও পাঠান তিনি। একটি খামে দুটি ৫০০ টাকার নোট দেয়া হয় নীহারিকাকে।
সুদর্শনী এ অভিনেত্রীর অভিযোগ, ওই রাতে ভূষণের টেক্সট মেসেজ আসে। তাতে লেখা ছিল-‘তোমাকে আরও গভীরভাবে জানতে চাই। আমরা কি দেখা করতে পারি?’
নীহারিকা জবাব দেন-‘অবশ্যই। ডাবল ডেট হোক। আপনি স্ত্রীকে নিয়ে আসুন, আর আমি বয়ফ্রেন্ডকে।’ তার পর আর কোনো দিন মেসেজ পাঠাননি ভূষণ।
পরিচালক সাজিদ খানের প্রসঙ্গ দিয়ে লেখা শেষ করেছেন নীহারিকা। অভিযোগ করেছেন, একটি রেস্তোরাঁ উদ্বোধনের সময় সাজিদ নিজের তৎকালীন বান্ধবী সম্পর্কেও কটু মন্তব্য করেছিলেন আর তার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন-‘এ তো কিছু দিনের মধ্যেই আত্মহত্যা করবে।’