img

৪ অক্টোবর থেকে চার ধাপে চালু হচ্ছে পবিত্র ওমরাহ

প্রকাশিত :  ০৬:৪৪, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

৪ অক্টোবর থেকে চার ধাপে চালু হচ্ছে পবিত্র ওমরাহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী ৪ অক্টোবর থেকে পবিত্র ওমরাহ চালু হচ্ছে। তবে ওমরাহ পালনের সময় মুসল্লিদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণায়।

আরব নিউজ জানিয়েছে, তিনটি ধাপে ওমরাহ চালু হতে যাচ্ছে। প্রথম ধাপে শুধু সৌদি আরবের স্থানীয়রা ৪ অক্টোবর থেকে উমরাহ হজে অংশ নিতে পারবেন।

প্রথম অবস্থায় উমরাহ হজের মোট ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৩০ শতাংশ অর্থাৎ একদিনে ছয় হাজার জনকে পবিত্র মসজিদুল হারামে ঢোকার সুযোগ দেয়া হবে। উমরাহ হজের সম্পূর্ণ সময়ে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বাধ্যতামূলক থাকবে।

দ্বিতীয় ধাপে ১৮ অক্টোবর থেকে একদিনে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার জন উমরাহ করতে পারবে। এই সময়ে একসঙ্গে ৪০ হাজার মুসল্লি পবিত্র মসজিদুল হারামে ঢুকতে পারবেন। যা সম্মিলিতভাবে মোট ধারণক্ষমতার ৭৫ শতাংশ।

তৃতীয় ধাপে ১ নভেম্বর থেকে সৌদি আরবে অবস্থান করা এবং বাইরে থেকেও হজ ও ইবাদতের উদ্দেশে সব মুসলিমকে মসজিদুল হারামে ঢুকতে দেয়া হবে। সে সময় প্রতিদিন ২০ হাজার জন উমরাহ হাজি এবং ৬০ হাজার ইবাদতকারীকে মসজিদুল হারামে ঢুকতে দেয়া হবে, যা মোট ধারণক্ষমতার সমান।

আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে সৌদি আরবে অবস্থানকারীরা উমরাহ হজের অনুমতির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে আবেদন করার আগে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

এছাড়া পবিত্র স্থানগুলাতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা মেনে চলা, মুখোশ পরা, অন্যের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা এবং শারীরিক যোগাযোগ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।


img

শেষ দিনে ভিসার অপেক্ষায় ৩৭ শতাংশ হজযাত্রী

প্রকাশিত :  ১০:৫৯, ১১ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৪, ১১ মে ২০২৪

হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করার জন্য দ্বিতীয় দফায় আবেদনের জন্য বাড়ানো সময় শেষ হচ্ছে আজ শনিবার।  কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়নি। 

শনিবার সকালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

হজ এজেন্সি মালিক ও ধর্ম মন্ত্রণালয় আশা করছে, শনিবারের মধ্যে বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে। অল্প কিছু বাকি থাকলে, সেটাও দু-একদিনের মধ্যে করার জন্য সময় পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না- এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই।

ধর্ম মন্ত্রণালয় এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল । এরপর সেটি ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সবশেষ ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিন পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন ৬ হাজার ৩৯২ জন যাত্রী। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে সাতটি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ২ হাজার ৭৬৯ জন যাত্রী। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ৯টি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ৩ হাজার ৬২৩ জন হজযাত্রী। 

এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৬৬৮ জন, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১টি ফ্লাইটে ৪৪৫ জন, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৫১০ জন সৌদি আরব গেছেন। দুই দিনে তিন বিমান সংস্থার ১৬টি ফ্লাইটে ৬ হাজার ৩৯২ হজযাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন।

বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। কোনো অভিযোগ ছাড়াই যাত্রীরা ঢাকা ত্যাগ করছেন।

এদিকে বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে যাদের ভিসা হয়নি তারা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। যদিও ধর্মমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন ভিসা নিয়ে জটিলতা কেটে যাবে। ২৫৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সির অনেকেই প্রথম দফার বর্ধিত সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ না করায় দ্বিতীয় দফা সময় বাড়ানো হয়েছে।