img

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত :  ১৪:০৬, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

জনমত ডেস্ক: এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূকে (১৯) ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কলেজ কর্তৃপক্ষ জরুরি বৈঠকে বসে এই কমিটি গঠন করে। তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সালেহ উদ্দিন আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, \'এমসি কলেজের গণিত বিভাগের প্রধান আনোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক, হোস্টেল সুপার জামাল উদ্দিন ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জীবন কৃষ্ণ ভট্টাচার্যকে সদস্য করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।\'

এর আগে, শুক্রবার সন্ধ্যায় স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এমসি কলেজে বেড়াতে আসেন ওই তরুণী। ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের ৭ কর্মী মিলে স্বামীসহ ওই তরুণীকে তুলে নেয় কলেজ ছাত্রাবাসে। পরে তারা স্বামীকে বেঁধে মারধর করে বধূকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী শুক্রবার রাতে বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেছেন। মামলায় এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে ৬ জনকে। সেই সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলো- এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এরা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আসামিদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র।

img

বানিয়াচংয়ে ৩ জন নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

প্রকাশিত :  ১০:২৯, ১৩ মে ২০২৪

হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ১৩নং মন্দরি ইউনিয়নের আগুয়া গ্রামে সিএনজি স্ট্যান্ড নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত বদরুল আলম ওরফে বদিকে আটক করেছে বানিয়াচং থানা পুলিশ। সে ওই গ্রামের মৃত হিরা মিয়ার পুত্র।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তার শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার নুরপুর গ্রামের একটি পুকুরপাড়ের  তার এক আত্নীয়র বাড়ি থেকে বদিকে আটক করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) পলাশ রঞ্জন দে,বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন,তদন্ত ওসি আবু হানিফের নেতৃত্ব থানার প্রায় ২৫ জন পুলিশ অভিযানে অংশ নেন। অভিযানে সহায়তা করেন নাসিরনগর থানা পুলিশের একটি দল।

পলাশ রঞ্জন দে বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, গোপন সংবাদ ও তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আমরা নাসিরনগর থানা পুলিশের সহায়তায় আসামী বদরুল আলম ওরফে বদিকে আমরা আটক করি। যেহেতু এখনো কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি তাকে ১৫৪ ধারায় আটক দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বানিয়াচং থানায় মামলা রয়েছে।

তিনি আরো জানান, হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে অন্য অভিযুক্তদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। সংঘর্ষের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখে জড়িতদের সনাক্ত করা হবে। তবে ট্রিপল হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এর আগে গত শুক্রবার  সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান-বিপিএম (বার) পিপিএম। শুক্রবার বিকেলে পরিদর্শনে যান তিনি। ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান-বিপিএম (বার ) পিপিএম এসময় ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন এবং দ্রুত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারদের নির্দেশনা প্রদান করেন ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান-বিপিএম (বার) পিপিএম। 

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলার ১৩নং মন্দরি ইউনিয়নের আগুয়া বাজারে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হন। নিহতরা হলেন-আগুয়া গ্রামের শুকুর মিয়ার পুত্র আব্দুল কাদির (২৫),বজলু মিয়ার পুত্র সিরাজ মিয়া (৫০) ও আলীরাজ মিয়ার পুত্র লিলু মিয়া (৪০)। এ ঘটনায় আহত হন উভয়পক্ষের প্রায় শতাধিক লোক।

সিলেটের খবর এর আরও খবর