img

ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান ব্রিটেনের

প্রকাশিত :  ০৯:০১, ১৩ নভেম্বর ২০১৮

ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান ব্রিটেনের

জনমত ডেস্ক ।। ইয়েমেনে সামরিক আগ্রাসন বন্ধ করতে সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ব্রিটেন । সোমবার রিয়াদ সফরের প্রাক্কালে এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট। তিনি বলেন, ইয়েমেন যুদ্ধে মানবিক ক্ষতি ধারণাতীত। লাখ লাখ মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়া, দুর্ভিক্ষ, মহামারি ও রক্তপাত বন্ধে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তই একমাত্র সমাধান হতে পারে। এর মাধ্যমেই অস্ত্রের ঝনঝনানির বদলে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। এ প্রক্রিয়ায় সবাইকে অঙ্গীকারাবদ্ধ করতেই উপসাগরীয় অঞ্চলে আমার এ সফর।

সফরে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুলআজিজ আল সৌদ, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবায়েরের সঙ্গে বৈঠক করবেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এসব বৈঠকে ইয়েমেন ইস্যু ছাড়াও সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাবেন জেরেমি হান্ট। ইতোমধ্যেই এ হত্যাকাণ্ডের বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের জন্য রিয়াদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।

২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে টুকরো টুকরো করে হত্যার পর এটাই কোনও ব্রিটিশ মন্ত্রীর প্রথম সৌদি সফর। তার এ সফরের একদিন আগে রবিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র দূতের সঙ্গে দেখা করেছেন সৌদি আরবের রাজা সালমান বিন আব্দুল আজিজ। রাজধানী রিয়াদে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)-এর খবরে বলা হয়, বৈঠকে রাজা সালমান ব্রিটিশ দূত সাইমন ম্যাকডোনাল্ডের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছেন। তবে ওই খবরে আলোচনার বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট মন্তব্য করেছিলেন, মূল্যবোধের মিল থাকলেই কেবল কোনও দেশের সঙ্গে মিত্রতা হতে পারে।

এদিকে সাংবাদিক জামাল খাশোগির খুনিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরবের মিত্র হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন। রবিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে নিজ দেশের এমন অবস্থানের জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। যদিও এ হত্যাকাণ্ডের নির্দেশদাতা হিসেবে অভিযোগের আঙ্গুল খোদ সৌদি যুবরাজের বিরুদ্ধে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হেদার নুয়ার্ট জানান, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেছেন, সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে যুক্তরাষ্ট্র জবাবদিহিতার আওতায় আনবে। সৌদি আরবকেও একই ব্যবস্থা নিতে হবে। সূত্র: আল জাজিরা।

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে চান না ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৯:০৯, ১২ মে ২০২৪

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী রাফায় ইসরায়েল পূর্ণ মাত্রায় অভিযান পরিচালনা করলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে অস্ত্রের চালান স্থগিতের যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তার সঙ্গে একমত নয় যুক্তরাজ্য সরকার।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মনে করেন, ইসরাইলের ওপর যুক্তরাজ্যের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা হামাসকে আরও শক্তিশালী করবে। খবর বিবিসির

ক্যামেরন জানান, গাজার রাফাহ শহরে বড় ধরনের স্থল অভিযানকে সমর্থন করেন না তিনি। তবে দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পথে হাঁটার পক্ষে না তিনি। 

এদিকে দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জনাথন অ্যাশওয়ার্থ বলেছেন, তিনি চান না যুক্তরাজ্যের তৈরি অস্ত্র রাফায় ব্যবহার হোক।

ইসরাইল প্রতিবছর যে অস্ত্র কেনে তার মাত্র ১ শতাংশ যুক্তরাজ্য থেকে যায় বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন।

যু্ক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা আরও কয়েকটি দেশ ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছে, যদি তারা রাফায় সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে তবে সেখানে গণহারে বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা নিহত হবে এবং বড় ধরণের মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে।

এদিকে সব সতর্কবার্তা এবং হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফায় স্থল অভিযান পরিচালনা করবেন।

ইসরাইলের দাবি, রাফায় হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধা অবস্থান করেছে। তাই সেখানে পূর্ণমাত্রায় অভিযান ছাড়া গাজায় হামাসকে নির্মূল করার তাদের লক্ষ্য পূরণ হবে না।

সোমবার থেকে রাফায় আকাশ হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। মিশর সীমান্তবর্তী এই নগরীতে স্থল অভিযানের প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা। এজন্য রাফার বাসিন্দা এবং সেখানে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।

গাজায় ইসরাইলের আকাশ হামলায় তিন ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার পর ক্যামেরন নিজেই ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

সে কথা উল্লেখ করে ক্যামেরন আরও বলেন, শেষবার আমি যখন ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে বলেছিলাম তার মাত্র কয়েকদিন পর ইরান নিষ্ঠুরভাবে ইসরাইলে হামলা করে বসে। তাই আমি আজ খুব সাধারণ ভাবে ঘোষণা দিতে চাই যে, আমরা আমাদের অস্ত্র রপ্তানির কৌশল পরিবর্তন করলে সেটা হামাসকে আরও শক্তিশালী করবে এবং এটা জিম্মিদের মুক্ত করে আনার চুক্তিকে আরও কঠিন করে তুলবে।