img

এমসির ধছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: আসামি মাহফুজ ৫ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত :  ০৮:৩৫, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০

এমসির ধছাত্রাবাসে গণধর্ষণ: আসামি মাহফুজ ৫ দিনের রিমান্ডে

জনমত ডেস্ক: সিলেট এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার মাহফুজুর রহমান মাসুমের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

বুধবার সিলেট চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবুল কাশেম এ আদেশ দেন। দুপুরে শাহপরাণ থানা পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল কুমার চৌধুরী জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

আদালতে আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। সোমবার রাতে সিলেট জেলা ডিবি ও কানাইঘাট থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর এলাকা থেকে মাহফুজুর রহমান মাসুমকে গ্রেপ্তার করে।

এর আগে মামলায় গ্রেপ্তারদের মধ্যে সাইফুর, অর্জুন ও রবিউলকে সোমবার এবং রনি, রাজন ও আইনুদ্দিনকে মঙ্গলবার পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেয় শাহপরাণ থানা পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

এ ঘটনায় তরুণীর স্বামীর দায়ের করা মামলায় আসামিরা হলেন- সাইফুর রহমান (২৮), সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

img

হবিগঞ্জে হাওর থেকে স্কুল শিক্ষিকা রুপা দাশের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত :  ১১:৩৩, ১৪ মে ২০২৪

হবিগঞ্জ জেলার ভাটি অঞ্চল লাখাইয়ের হাওর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রুপা দাশ (৪০) নামের ওই শিক্ষক ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

রোববার (১২ মে) বিকেলে ঝনঝনিয়া ব্রিজের কাছ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রুপা দাশ লাখাই মুক্তিযোদ্ধা কলেজের শিক্ষক অজয় চন্দ্র দাশের স্ত্রী।

লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের জানান, ভবানীপুরের হাওরে ঝনঝনিয়া ব্রিজের কাছ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সন্ধ্যায় মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

রুপা দাশের শরীরে কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার সঙ্গে থাকা ব্যাগ, মোবাইল ফোন, চেক বইয়ের পাতা ও ব্যাংকের এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। তার কাছে বিষের দুটি বোতলও পাওয়া গেছে। একটি খালি এবং অপরটিতে বিষ রয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।