img

সময়মতো এসএসসি পরীক্ষার আয়োজন নিয়েও শঙ্কা

প্রকাশিত :  ০৬:০৫, ১১ অক্টোবর ২০২০

সময়মতো এসএসসি পরীক্ষার আয়োজন নিয়েও শঙ্কা

জনমত ডেস্ক : দেশে করোনা ভাইরাস দ্বিতীয় ধাপে শুরু হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। যে কারণে এ বছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা অনিশ্চিত। মূলত শীতে  এ ভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। আর এতে ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সাধারণত বছরের জুলাই মাসে দশম শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনী আর অক্টোবরে নির্বাচনী পরীক্ষা নেয়া হয়। দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী বা অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা জুলাই-আগস্টে এবং ডিসেম্বরে নির্বাচনী পরীক্ষা হয়। এরপর নভেম্বরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করা হয়। 

ইতোমধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা বাতিল হয়ে গেছে। আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাও হয়নি। একাদশ শ্রেণিতে কলেজ পর্যায়ে নেয়া বিভিন্ন ক্লাস টেস্ট আর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে এসব শিক্ষার্থীকে ‘অটো পাস’ দেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, করোনা দেশের অর্থনীতির ক্ষতির পাশাপাশি চরম ক্ষতি করেছে শিক্ষা খাতের। প্রায় এক বছর নষ্ট হয়েছে ইতোমধ্যে। তবে সরকার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনলাইন ক্লাস, টেলিভিশন পাঠদান চলমান রাখলেও সে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ। সামনে করোনার দ্বিতীয ঢেউ আসলে পাঠদানের ক্ষতির পাশাপাশি এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে নতুন সংশয় তৈরি হবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। করোনাকালে প্রাতিষ্ঠানিক পাঠদান বন্ধ। সরাসরি পরীক্ষা বা ক্লাস টেস্ট নেয়ারও কোনো সুযোগ নেই। এ কারণে পরীক্ষা যথাসময়ে শেষ করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষা ও ক্লাস সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়া বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।

নভেম্বরে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হবে, তখন সংক্রমন আরও বাড়তে পারে। সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ঢেউ এলে, সংক্রমণ বাড়লে তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সে হিসেবে এ বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা অনিশ্চিত। তাছাড়া শীতকালে করোনার প্রকোপ থাকলে সে হিসেবে নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যাবে কিনা তা নিয়েও সংশয় রয়েছে।

জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, যেহেতু শীত প্রধান দেশে এর প্রকোপ বেশি। আমাদের দেশে শীত শুরু হয় মূলত নভেম্বরের শেষ থেকে। ডিসেম্বর থেকে এর প্রকোপ বাড়তে থাকে। এ সময়ের মধ্যে করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে। আর করোনা বাড়লে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সুযোগ নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে শিক্ষার্থীদের সশরীরে কোনো ক্লাস বা পরীক্ষা নেয়া যাবে না। পরিস্থিতি অনুযায়ী সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।

img

জিপিএ-৫ ও পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা

প্রকাশিত :  ০৯:২৩, ১২ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৪২, ১২ মে ২০২৪

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ অর্জনের দিক দিয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। পাসের গড় হারের দিক দিয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। ১১টি বোর্ডে এবার গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। সেখানে ছাত্রীদের পাসের হার ৮৫ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সেই হিসাবে পাসের হারে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা ২ দশমিক ৬১ শতাংশ এগিয়ে।

এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন মোট ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্রী ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ জন এবং ছাত্র ৮ লাখ ৬ হাজার ৫৫৩ জন। সেই হিসাবে ৫৯ হাজার ৪৭ জন ছাত্রী বেশি পাস করেছে।

অন্যদিকে, জিপিএ-৫ অর্জনের দিকে দিয়েও বেশ এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। এ বছর এসএসসিতে সব বোর্ড মিলিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। তাদের মধ্যে মেয়ে ৯৮ হাজার ৭৭৬ এবং ছেলে ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন। সেই হিসাবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে ১৫ হাজার ৪২৩ জন।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ছাত্রীরা কয়েক বছর ধরেই এগিয়ে। হঠাৎ এবারই যে তারা ভালো করেছে, তা নয়। তাই ছাত্রীদের এগিয়ে থাকা নিয়ে প্রশ্ন না তুলে ছাত্ররা কেন পিছিয়ে যাচ্ছে, সেটা নিয়ে ভাবা উচিত।

তিনি বলেন, দেখুন, এবার ছাত্রদের চেয়ে প্রায় ৩৬ হাজার ছাত্রী বেশি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। ছাত্রীরা একাডেমিক পড়ালেখায় সবসময় ভালো। ছাত্ররা অনেক সময় মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও হেলায় সময় নষ্ট করে দু-একটা বিষয়ে খারাপ করায় পুরো ফলাফলে প্রভাব পড়ে। হয়তো সে আর জিপিএ-৫ পেতে পারে না। পড়ালেখা থেকে ছাত্রীদের চেয়ে এখন ছাত্রদের ঝরে পড়ার হারও বাড়ছে। সবমিলিয়ে ফলাফলে হয়তো সেটারই প্রভাব পড়েছে।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মার্চ। এরপর ১৩ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এবছর ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।

শিক্ষা এর আরও খবর