img

সুন্দর ত্বক পেতে যা করতে হবে

প্রকাশিত :  ১৫:৪৭, ১৩ অক্টোবর ২০২০

সুন্দর ত্বক পেতে যা করতে হবে

প্রতিটি মানুষই চায় সুন্দর ত্বকে নিজেকে সুন্দর করে তুলতে। বাজার চলতি যে সকল বিউটি প্রোডাক্ট রয়েছে, সেগুলো কতটা ভরসাযোগ্য তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন রয়েছে। আপনার মসৃণ ও কোমল ত্বকের রহস্য কিন্তু আপনার হাতের মুঠোতেই। তবে সেই মুঠো খুলতে হলে আপনাকে কিন্তু আজকের লেখাটি পড়তেই হবে। আপনার রোজকার ব্যবহৃত কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদান ঠিক কীভাবে ব্যবহার করবেন সুন্দর ত্বক পাওয়ার জন্য আজ সেটাই আপনাদের জানাবো।

ফেসওয়াশ

আপনার ত্বকের সঙ্গে মানানসই ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। ভুল নির্বাচন ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।

লেবুর রস

ত্বক পরিষ্কার করতে লেবুর রস অব্যর্থ ভূমিকা নেয়। লেবুর রস মুখে মেখে আধ ঘণ্টা পর মুখ ধুয়ে নিন। এরপরে মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

টক দই

টক দইয়েও এমন উপাদান রয়েছে যা ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। দই আধ ঘণ্টা মুখে মেখে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের কালো ছোপ বা অন্যান্য সমস্যা এতে দূর হবে, ত্বক উজ্জ্বল হবে।

দুধের ব্যবহার

দুধ ক্লেনজার হিসাবে দারুণ কাজ করে। ত্বকে কাঁচা দুধ মাখুন। ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করে নরম কাপড় দিয়ে ধুয়ে নিন।

ডিমের সাদা অংশ

ডিমের সাদা অংশ ডিমের সাদা অংশ ত্বকের উপকারে আসে। এটি ত্বকে লাগিয়ে তার উপরে টিস্যু পেপার দিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে টেনে তুলে ফেলুন। এর ফলে মুখে থাকা ব্ল্যাক ও হোয়াইট হেডস উঠে আসবে।

গরম ভাপ নেওয়া

ত্বকের মধ্যে থাকা ছোটো ছোটো ছিদ্রগুলি গরম জলের ভাপ নিলে খুলে যায়। ফলে সেখানে জমে থাকা ধুলো-ময়লা বেরিয়ে এসে ত্বক উজ্জ্বল করে।

হাইড্রেটেড থাকুন

হাইড্রেটেড থাকুন ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া খুবই প্রয়োজন। এতে শরীরের স্থিতিস্থাপকতা বজায় থাকে। ফলে ত্বকে সহজে ভাঁজ পড়ে না।

পরিমিত ঘুম

পরিমিত ঘুম সারাদিন আপনি যাই করুন না কেন, রাতে পরিমিত ঘুম অবশ্যই প্রয়োজন। ভালো ঘুম না হলে ত্বকের যেমন ক্ষতি, তেমনই শরীরেরও নানাভাবে ক্ষতি হয়।

ময়েশ্চারাইজার ক্রিম সঠিকভাবে ম্যাসাজ করুন

কোনো ভালো ও নামই ব্র্যান্ডের ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ভালো করে সঠিক পদ্ধতিতে মুখের ত্বকে ম্যাসাজ করুন প্রতি রাতে। ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মুখের ত্বকে ম্যাসাজ করুন ক্রিম। ত্বক ম্যাসাজের ফলে ত্বকের নিচের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। এতে করে ত্বকে আসে গোলাপি আভা।

তাই ত্বকের যত্নটা হোক মনমত সুন্দরভাবে। ত্বকের যত্ন নিন।


 

img

কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১০:৩১, ০৯ মে ২০২৪

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কেবল বয়স্কদের থাকে এ ধারণাটি সঠিক নয়। অল্প বয়সের মানুষের মধ্যে রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে। অপেক্ষাকৃত ২০ থেকে ৪০ বছরের কমেও এটি হতে পারে। দেশের অল্প বয়সী জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশ পুরুষ আর ৯ শতাংশ নারী। 

অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ার পেছনে তরুণ প্রজন্মের কিছু বদভ্যাস দায়ী। অতি লবণযুক্ত ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, ওজন বৃদ্ধি ও কায়িক শ্রমের অভাব অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই তরুণদের ৬৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপের কোনো উপসর্গ নেই।

চিকিৎসকেরা বলেন, রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে মানেই একই সঙ্গে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকিও। অল্প বয়সেই কোনও গুরুতর রোগের আশঙ্কা এড়িয়ে চলতে যে নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন: 

ব্যস্ততার মধ্যে কিছুটা সময় বের করে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত চার দিন সাইকেল চালানো, সাঁতার বা যে কোনও খেলাধুলো করতে পারলে ভালো। এছাড়া, সকালে ঘুম থেকে উঠে, বিকেলে ও রাতে খাবার পরে হাঁটাহাঁটি করতে পারলে স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী। 

ছোট থেকেই প্রোটিন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো। পাশাপাশি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। না হলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এই উপাদানগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।  

বয়স কম হলেও নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে হবে। বিশেষ করে যদি পরিবারে এমন কোনও রোগ থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে সময় থাকতেই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। 

তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।