img

বেক্সিট বাতিলের শেষ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন ইউরোপীয় নেতারা

প্রকাশিত :  ১৮:২৭, ১৫ অক্টোবর ২০২০

বেক্সিট বাতিলের শেষ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন ইউরোপীয় নেতারা

জনমত ডেস্ক: বাসেলসে শুরু হয়েছে দুই দিনের বিশেষ ইউরোপীয় সম্মেলন। এর ঠিক আগে ব্রিটশি প্রধানমন্ত্রী বরিস চনসন ইউরোপীয় নেতাদের সেপ্টেম্বরে বলা তার কথা আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন ১৫ অক্টোবরের মধ্যেই দুই পক্ষের মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি হতেই হবে। বিবিসি

তিনি বলেন, ‘যদি তা না হয়, তবে আমাদের দু পক্ষের মধ্যে কোনও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সম্ভব না তা মেনে নিতে হবে।’ অর্থাৎ আলোচনার সমাপ্তিরই হুমকি দিয়েছেন বরিস জনসন। সে হিসেবে বৃহস্পতিবার যদি ব্রেক্সিট চুক্তি না হয়, হয়তো কখনই হবে না। দ্য গার্ডিয়ান

ইউরোপীয়ন কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট আর ইউরোপীয়ান কমিশন প্রেসিডেন্টকে করা ফোনকলে তিনি জানান, বৃহস্পতিবারের মধ্যে ইউরোপীয় নেতারা কোনও সিদ্ধান্তে আসতে না পারলে শুক্রবারই নিজ সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে যুক্তরাজ্য। কারণ বছর শেষ হয়ে এসেছে। আর অপেক্ষা করার সুযোগ নেই।

তবে ব্রাজেসলস এখনই যুক্তরাজ্যের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবার অবস্থায় নেই। কারণ ইউরোপীয় নেতারা যুক্তরাজ্যের শর্ত মানতে নারাজ। উত্তর আয়ারল্যান্ড কাস্টমসের ব্যাপারেও এখনও একমত হতে পারেনি কোনও পক্ষ। দ্য সান

\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n\r\n

তাই বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, কখনও ব্রেক্সিট চুক্তি নাও হতে পারে। ফলে যুক্তরাজ্য ও ইইউ উভয়েই আর্থিক সঙ্কটে পড়ে যাবে। যার প্রভাবে বিশ্ব মন্দা তীব্র আকার থারণ করতে পারে। ডেইলি মেইল

যুক্তরাজ্য এর আরও খবর

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিহত ৫ | JANOMOT | জনমত

img

ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে চান না ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৯:০৯, ১২ মে ২০২৪

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় নগরী রাফায় ইসরায়েল পূর্ণ মাত্রায় অভিযান পরিচালনা করলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে অস্ত্রের চালান স্থগিতের যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তার সঙ্গে একমত নয় যুক্তরাজ্য সরকার।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন মনে করেন, ইসরাইলের ওপর যুক্তরাজ্যের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা হামাসকে আরও শক্তিশালী করবে। খবর বিবিসির

ক্যামেরন জানান, গাজার রাফাহ শহরে বড় ধরনের স্থল অভিযানকে সমর্থন করেন না তিনি। তবে দেশটির কাছে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের পথে হাঁটার পক্ষে না তিনি। 

এদিকে দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জনাথন অ্যাশওয়ার্থ বলেছেন, তিনি চান না যুক্তরাজ্যের তৈরি অস্ত্র রাফায় ব্যবহার হোক।

ইসরাইল প্রতিবছর যে অস্ত্র কেনে তার মাত্র ১ শতাংশ যুক্তরাজ্য থেকে যায় বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যামেরন।

যু্ক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা আরও কয়েকটি দেশ ইসরাইলকে সতর্ক করে বলেছে, যদি তারা রাফায় সর্বাত্মক অভিযান শুরু করে তবে সেখানে গণহারে বেসামরিক ফিলিস্তিনিরা নিহত হবে এবং বড় ধরণের মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে।

এদিকে সব সতর্কবার্তা এবং হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফায় স্থল অভিযান পরিচালনা করবেন।

ইসরাইলের দাবি, রাফায় হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধা অবস্থান করেছে। তাই সেখানে পূর্ণমাত্রায় অভিযান ছাড়া গাজায় হামাসকে নির্মূল করার তাদের লক্ষ্য পূরণ হবে না।

সোমবার থেকে রাফায় আকাশ হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। মিশর সীমান্তবর্তী এই নগরীতে স্থল অভিযানের প্রস্তুতিও নিচ্ছে তারা। এজন্য রাফার বাসিন্দা এবং সেখানে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী।

গাজায় ইসরাইলের আকাশ হামলায় তিন ব্রিটিশ ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার পর ক্যামেরন নিজেই ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

সে কথা উল্লেখ করে ক্যামেরন আরও বলেন, শেষবার আমি যখন ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে বলেছিলাম তার মাত্র কয়েকদিন পর ইরান নিষ্ঠুরভাবে ইসরাইলে হামলা করে বসে। তাই আমি আজ খুব সাধারণ ভাবে ঘোষণা দিতে চাই যে, আমরা আমাদের অস্ত্র রপ্তানির কৌশল পরিবর্তন করলে সেটা হামাসকে আরও শক্তিশালী করবে এবং এটা জিম্মিদের মুক্ত করে আনার চুক্তিকে আরও কঠিন করে তুলবে।