img

বাংলাদেশের নিজস্ব ব্র্যান্ডের গাড়ি তৈরি শুরু আগামী বছর: শিল্পমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ০৯:৫৪, ১৬ অক্টোবর ২০২০

বাংলাদেশের নিজস্ব ব্র্যান্ডের গাড়ি তৈরি শুরু আগামী বছর: শিল্পমন্ত্রী

জনমত ডেস্ক : ঢাকা আগামী বছর তার প্রথম ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ গাড়ি চালু করবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

ইউএনবিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মন্ত্রী বলেন, ‘খুব শিগগিরই অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট পলিসি-২০২০ চূড়ান্ত করা হবে। আমরা আগামী বছর থেকে বাংলাদেশে গাড়ি তৈরি শুরু করব।’

মন্ত্রী জানান, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড জাপানের মিতসুবিশি করপোরেশনের কারিগরি সহায়তায় গাড়ি তৈরি শুরু করবে।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো’র সাথে তার বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত বলেছেন, মিতসুবিশি করপোরেশনসহ জাপানের অন্য অটোমোবাইল শিল্প উদ্যোক্তারা ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী’।

‘তিনি (নাওকি ইতো) বলেছেন, জাপানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নিজস্ব ব্র্যান্ডের মোটরগাড়ি উৎপাদনে কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করা হবে। এছাড়া, তিনি বাংলাদেশে অটোমোবাইল এবং লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প সম্পর্কিত ভেন্ডর শিল্পের বিকাশ এবং বাংলাদেশে একটি অটোমোবাইল টেস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্থাপনে সহায়তা করারও প্রস্তাব দিয়েছেন,’ বলেন শিল্পমন্ত্রী।

শিল্প মন্ত্রণালয় গাড়ি শিল্পসহ অন্যান্য শিল্প খাতের উন্নয়নে ইতোমধ্যে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এ কর্মপরিকল্পনা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডআই) আকর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে ‘

দেশীয় গাড়ি উৎপাদনের বিভিন্ন সুবিধা সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, আমদানি শুল্কের কারণে বাংলাদেশে বিদেশি গাড়িগুলোর দাম বেশি হয়।

‘কিন্তু দেশে গাড়ি তৈরি হলে এর দাম কমবে। জনগণ সাশ্রয়ী মূল্যে গাড়ি কিনতে পারবে। দেশে নিজস্ব ব্র্যান্ডের গাড়ি উৎপাদন হলে, ক্রেতার অভাব হবে না,’ বলেন তিনি।

শিল্পমন্ত্রী দেশের যুবসমাজকে ‘উদ্ভাবনী কর্মশক্তি’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘তরুণদের কাজে লাগিয়ে এ শিল্প গড়ে তুললে দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে গাড়ি এবং মোটরসাইকেল বিশ্ববাজারে রপ্তানির সুযোগও তৈরি হবে।’

img

বজ্রপাতের সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সুরক্ষায় যা করবেন

প্রকাশিত :  ১১:৫২, ১৩ মে ২০২৪

কালবৈশাখীর সময় হঠাৎ ঝড়, বজ্রপাত আর বৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক। এসময় বজ্রপাতে টিভি, ফ্রিজ, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নষ্ট হওয়ার অনেক খবর পাওয়া যায়। তাই এই সময়ে আপনার ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে সতর্ক থাকুন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক বজ্রপাত বা বৃষ্টির সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস কীভাবে সুরক্ষায় রাখবেন।

ঝড়বৃষ্টি বা বজ্রপাতের সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সুরক্ষার উপায়সমূহ—

* আপনার বাড়ির সব ধরনের বৈদ্যুতিক সংযোগের সঙ্গে আর্থিং ব্যবস্থা করুন। সম্ভব হলে বজ্রপাতের সময় মেইন লাইনের সঙ্গে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখুন।

* ফ্রিজ বা এসির সঙ্গে সরাসরি বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকলে বজ্রপাতের সময় তা খুলে রাখাই নিরাপদ। এমনকি এ সময় এসি চালানো থেকেও বিরত থাকুন।

* বজ্রপাতের সময় ফোন ব্যবহার বিপজ্জনক নয়। তবে তা ঘরের মধ্যে। ছাদে বা রাস্তায় খোলা জায়গায় থাকলে ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। বজ্রপাতের সময় ফোন ব্যবহার করলে আপনি বজ্রপাতের শিকার হতে পারেন।

* বজ্রপাতের সময় বা বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর টিভি বন্ধ রাখুন। এই সময় ডিশ বা ইন্টারনেটের সংযোগ খুলে রাখতে পারেন।

* ঝড়বৃষ্টির সময় রাউটার বন্ধ রাখুন। এতে অনেক দিন পর্যন্ত রাউটার ভালো থাকবে। এমনকি এর সঙ্গে সরাসরি কোনো ডিভাইস সংযুক্ত থাকলে সেটিও রক্ষা পাবে।

* বজ্রপাতের সময় ল্যাপটপ, স্মার্টফোন কিংবা যে কোনো ডিভাইস চার্জ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। চার্জারের সঙ্গে লাগানো থাকলে তা খুলে দিন।

* বাড়ির ডেস্কটপ বা কম্পিউটারের সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে তা বন্ধ করে দিন। এমনকি এ সময় ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ চালানো থেকেও বিরত থাকুন। যদিও রাউটারের সঙ্গে ওয়াইফাই সংযোগে থাকা মোবাইল বা ল্যাপটপের ক্ষেত্রে তাদের বজ্রাঘাতে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বাড়ির বিদ্যুতের সঙ্গে ল্যাপটপ বা রাউটারের সংযোগ থাকলে তা বিছিন্ন করে দিন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাতের সময় ঘরের ভেতরে থাকলে স্মার্টফোন ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু এই সময় ইন্টারনেট বন্ধ রাখাই ভালো। তবে যদি মারাত্মক আকারে বজ্রপাত হয় সে ক্ষেত্রে ফোনটি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারেন। না হলে স্মার্টফোনটির তো বটেই, যিনি সেটি ব্যবহার করছেন, তারও বিপদ হতে পারে।