img

নিউ জিল্যান্ডের ক্ষমতায় আবারও আসছেন জাসিন্ডা?

প্রকাশিত :  ০৭:৫৮, ১৭ অক্টোবর ২০২০

নিউ জিল্যান্ডের ক্ষমতায় আবারও আসছেন জাসিন্ডা?

জনমত ডেস্ক : নভেল করোনাভাইরাসের কারণে বিলম্বিত হওয়া নিউ জিল্যান্ডের সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই ভোটগ্রহণ চলে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বুথ ফেরত জরিপে এগিয়ে রয়েছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্নের দল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিশ্চিতভাবেই তিনি আবারও প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন। 

মোট ১৭ জন প্রার্থীর অংশগ্রহণ থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা আসলে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা জাসিন্ডা ও ন্যাশনাল পার্টি প্রধান জুডিথ কলিন্সের মধ্যে। বিবিসি বলছে, নির্বাচনে জাসিন্ডার দল যে সর্বোচ্চ আসন পেতে যাচ্ছে, তা প্রায় নিশ্চিত। তবে পার্লামেন্টারি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তার দল ক্ষমতায় আসবে কিনা, তা নিশ্চিত নয়। তেমনটা ঘটলে তা হবে নজিরবিহীন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে মিক্সড মেম্বার প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টশন ধারার পার্লামেন্টারি ব্যবস্থা চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কেউ এই ধারার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি।

গত মাসে (সেপ্টেম্বর) এই ভোট হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে নির্বাচন পিছিয়ে যায়। অর্ধকোটির কিছু বেশি বাসিন্দার দেশ নিউজিল্যান্ডে গত ৩ অক্টোবর থেকে চলা আগাম ভোটে অংশ নিয়েছে ১০ লাখের বেশি মানুষ।

ক্রাইস্টচার্চ হামলাসহ বিভিন্ন সংকটে নেতৃত্বের জন্য বিশ্বজুড়েই আলোচিত নাম জাসিন্ডা। কোভিড নাইনটিন নিয়ন্ত্রণে সাফল্য নির্বাচনী মাঠে বহুগুণ এগিয়ে দিয়েছে তাকে। সবগুলো জরিপেই একচ্ছত্র শ্রেষ্ঠত্ব ৪০ বছর বয়সী কিউই প্রধানমন্ত্রীর।

আর্ডার্ন বলেছেন, আমরা চাই তারা ভোটাধিকার প্রয়োগের চর্চা করুক ব্যস্ত নাগরিকরা। আমাদের লক্ষ্য দলের জন্য প্রতিটি ভোট নিশ্চিত করা। শক্তিশালী, স্থিতিশীল সরকার গঠনে যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার।

অবশ্য জরিপের ফলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রক্ষণশীল ন্যাশনাল পার্টি প্রধান জুডিথ কলিন্স। দাবি, আগে বহুবারই ভুল প্রমাণিত হয়েছে জরিপ। জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী জুডিথ সরকারের অর্থনীতি, স্বাস্থ্যসেবা আর আবাসন খাতে ব্যর্থতার প্রশ্ন সামনে আনতে চান।

জুডিথ কলিন্স বলেন, আমি মনে করিনা, আমি হারবো। কারণ, এমন দলের ওপর আস্থা রাখা কঠিন, যারা কথা দিয়ে কথা রাখে না। তারা নতুন নতুন বহু অঙ্গীকার করেছে অথচ আগের প্রতিশ্রুতি পালনেই ব্যর্থ।

এদিকে, নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট বেশির ভাগ বিশেষজ্ঞ বলছেন, জাসিন্ডার দ্বিতীয় দফা জয় নিশ্চিত। আর এক ধাপ এগিয়ে কয়েকটি জনমত জরিপ বলছে, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও আর্ডার্নের জয়লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এখনই তেমন কিছু বলা যাচ্ছে না।

img

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৪১

প্রকাশিত :  ০৭:০৫, ১৩ মে ২০২৪

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা এবং আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও ১৭ জন। 

সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় দুর্যোগ সংস্থার এক কর্মকর্তা।

কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা ভারী বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যার কারণে রাস্তা-ঘাঁট, বাড়ি-ঘর, মসজিদ প্লাবিত হয়েছে।

পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মকর্তা ইলহাম ওয়াহাব এএফপিকে বলেন, গত রাত পর্যন্ত আমরা ৩৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তবে আজ সকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে।

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, এখনও ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে। নিখোঁজদের মধ্যে আগাম জেলায় তিনজন এবং তানাহ দাতারে ১৪ জন। বন্যার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এই দুই এলাকায় কয়েক লাখ মানুষের বসবাস।

এখন পর্যন্ত কতজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেননি ইলহাম ওয়াহাব। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অনুসন্ধান, উদ্ধার, সরিয়ে নেওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা এবং তল্লাশি অভিযানের দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

বন্যার কারণে রাস্তাঘাট যেন নদীতে পরিণত হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় মসজিদ এবং ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা লাহার নামেও পরিচিত। আগ্নেয়গিরির প্রধান উপাদান যেমন ছাই, বালি এবং নুড়ি পাথর বৃষ্টির কারণে আগ্নেয়গিরির ঢালে নেমে আসে। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং রাস্তাঘাট ভেসে গেছে।

বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা বেড়ে যায়। কিছু এলাকায় বন উজাড়ের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। দীর্ঘ সময় মুষলধারে বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

২০২২ সালে সুমাত্রা দ্বীপে বন্যায় প্রায় ২৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সে সময় দুই শিশুর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।