img

ব্যাট-বলে সানজিদার গায়ে হলুদ

প্রকাশিত :  ১৮:২৬, ২০ অক্টোবর ২০২০

ব্যাট-বলে সানজিদার গায়ে হলুদ

স্পোর্টস ডেস্ক: সামাজিত যোগাযোগ মাধ্যমে সাড়া ফেলেছে ক্রিকেটার সানজিদা ইসলামের গায়ে হলুদের সাজে ব্যাটিংয়ের ছবি। জাতীয় নারী ক্রিকেটার দলের টপ অর্ডার ব্যাচার সানজিদা শনিবার জীবনের ইনিংসে জুটি বেঁধেছেন মীম মোসাদ্দেকের সঙ্গে। যিনিও একজন ক্রিকেটার।

বিয়ের আগের দিন ছিল সানজিদার গায়ে হলুদ। আর এদিন হলুদ শাড়ি, মাথা ও হাতে কপালে ফুলের সাজেই ব্যাট করতে নেমে যান তিনি! না, কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ নয়। আবার ছবির জন্য পোজ দেওয়া তাও নয়। আসলে মুহূর্তেই ঘটে যায় এমনটা। হলুদের সাজে তার ব্যাটিংয়ে ছবি ধরা পড়ে সতীর্থের ক্যামেরায়। যে ছবিটাই এখন স্বপ্নের এক ছবিতে পরিণত হয়েছে সানজিদার।

সানজিদা জানালেন, হলুদের ছবি তুলতে রংপুর স্টেডিয়ামে গিয়েছিলেন। এসময় অপ্রত্যাশিতভাবে তার ব্যাট হতে নেমে পড়া। সানজিদার মুখ থেকেই জানা যাক পুরোটা, ‘এরকম ছবি তোলার আসলে একদমই কোনো পরিকল্পনা ছিল না। আমরা স্টেডিয়ামের ভেতরে কাশবনে ছবি তুলতে যাচ্ছিলাম। ওখানে বাচ্চারা খেলছিল। অনেক দিন খেলি না তো, ওদের কাছ থেকে ব্যাটটা নিয়ে একটু শ্যাডো করছিলাম। সঙ্গে দুই সতীর্থ ছিল শবনম মুশতারী ও হাসনাত সিনথিয়া। ওদের ক্লিক থেকেই এই ছবি। ন্যাচারালিই তোলা, কোনো প্রস্তুতি ছাড়া।’

বাংলাদেশে হয়ে এখন পর্যন্ত ১৬টি ওয়ানডেও ৫৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন রংপুরের মেয়ে সানজিদা। বিকেএসপিতে ক্রিকেটার হিসেবে বেড়ে উঠা। ২০১৪ সালে বিকেএসপি পাঠ চুকিয়ে ফিরে যান রংপুরে। এরপর সেখানকার একাডেমিতে অনুশীলন শুরু। সেখানেই ক্রিকেটার মোসাদ্দেকের সঙ্গে পরিচয়। দুজনেরই দুজনকে ভালো লেগে যায়। শুরু হয় মনের আদান-প্রদান। ৬ বছরের প্রেম অবশেষে পরিণয় পায়।

সানজিদার বর মীম মোসাদ্দেক স্ত্রীর মতো শীর্ষ পর্যায়ে না খেললেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেন রংপুর বিভাগীয় দলের হয়ে। ঢাকায় খেলেছেন প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে।


img

যে কারণে বাদ সাইফউদ্দিন

প্রকাশিত :  ১০:৪৯, ১৪ মে ২০২৪

অনেক অপেক্ষার পর অবশেষে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে। এই দলে রয়েছে বেশ কয়েকটা চমকও। ইনজুরিতে থাকা তাসকিন আহমেদকে আইসিসির এই মেগা আসরে টাইগারদের সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে দলে জায়গা মেলেনি পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। তার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় উৎরে গেছেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।

৩৬ মিনিটের সংবাদ সম্মলেনে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে সাইফুদ্দিনের বাদ পড়া আর তানজীমের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে। প্রধান নির্বাচকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাকি দুই নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক ও হান্নান সরকার। 

এক প্রশ্নের উত্তর লিপু বলেন, ‘এখানে সবাই খুব ক্লোজ লড়াই করেছে। যে দলটা দিয়েছিলাম ৩০ তারিখে সেটা এক প্রেক্ষাপটে দিয়েছিলাম। সেখানে দুটো চিন্তা ছিল যে বর্তমান ক্রিকেটারদের নিয়েই দল করা। আর একটা চিন্তা ছিল ইনজুরি থেকে ফেরা ক্রিকেটাররা যেমন সাইফউদ্দিন কেমন করে তা দেখা। তো আমাদের যে আস্থার জায়গাটা। সেখানে সাইফউদ্দিনের চেয়ে তানজিম একটু এগিয়ে ছিল। এজন্য ওকে আমরা দলে রেখেছি।’

সদ্য শেষ হওয়া জিম্বাবুয়ে সিরিজে সাইফুদ্দিন খেলেছেন ৪ ম্যাচ। চট্টগ্রামে প্রথম তিনটি আর ঢাকায় শেষ ম্যাচটি। চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচে ছিলেন দুর্দান্ত, ১৫ রানে নেন ৩ উইকেট। এরপরের তিন ম্যাচে সাইফুদ্দিনের পারফরম্যান্স যথাক্রমে ১ উইকেটে ৩৭, ৩ উইকেটে ৪২ ও ১ উইকেটে ৫৫ রান।

শেষ ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে হাত খুলে রান দেয়াটাই কাল হয়েছে সাইফুদ্দিনের। এই ম্যাচটি বাংলাদেশ হারে শেষ পর্যন্ত। অন্যদিকে তানজীম হাসান সাকিব দুই ম্যাচ খেলেন। চট্টগ্রামে ১ ম্যাচে ২৬ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট, ঢাকায় চতুর্থ ম্যাচে ৪২ রান দিয়ে কোনো উইকেট পাননি। 

৪ ম্যাচে সাইফুদ্দিন ৮ উইকেট নিয়েও কেন বাদ? অন্যদিকে মাত্র ১ উইকেট নেওয়া তানজীমে কেন নির্বাচকদের আস্থা? সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক, ‘সাকিবকে (তানজীম) শ্রীলঙ্কা সিরিজেও আমরা দেখেছি। তার একাগ্রতা, মাঠে দেয়ার চেষ্টা সেটা সাইফুদ্দিনের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে রেখেছে।’

‘আমরা যে কারণে সাইফউদ্দিনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম যে ডেথ ওভারে ইয়র্কার করা, সেটা ঘরোয়া ক্রিকেটে যেমন ছিল তার চেয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একটু ব্যতিক্রম মনে হয়েছে। তাই আমরা একটু ভিন্ন চিন্তা করেছি। ৩০ তারিখে যে দলটা দিয়েছিলাম সেখান থেকে একমাত্র এ জায়গাটাতেই পরিবর্তন হয়েছে। আমাদের আসলে সাইফউদ্দিন ও সাকিবের সঙ্গেই লড়াই চলছিল’-আরও যোগ করেন প্রধান নির্বাচক। 

বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করে নির্বাচকদের নজরে আসেন ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করা সাইফুদ্দিন। ৯ ম্যাচে ১৫ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাট হাতে করেন ৬৩ রান। ফরচুন বরিশালের চ্যাম্পিয়নে রাখেন বড় ভূমিকা। তবে সেই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেননি জিম্বাবুয়ে সিরিজে। তাই তো দলে থেকেও শেষ পর্যন্ত নাই হয়ে গেলেন।