মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউ শুরু: ইংল্যান্ডে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর হুঁশিয়ারি
করোনার প্রাদুর্ভাব রুখতে বর্তমান স্তর ভিত্তিক লকডাউন সিষ্টেম পর্যাপ্ত নয়
জনমত রিপোর্টঃ করোনাভাইরাসের সংক্রমণের উর্ধগতি থামাতে ব্যর্থতার কারণে গোটা ইংল্যান্ডজুড়ে প্রাদুর্ভাবের দ্বিতীয় ঢেউয়ে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু অনিবার্য বলে হুঁিশয়ারি উচ্চারণ করেছেন সরকারের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্ঠারা।
লন্ডন স্কুল অব হাইজিন এন্ড ট্রপিকাল মেডিসিনের অধ্যাপক জন এডমন্ডস বুধবার (২১ অক্টোবর) পার্লামেন্ট মেম্বারদের বলেন, আরো বেশি পদক্ষেপ নেয়া না হলে টিয়ার্ড বা স্তর-ভিত্তিক কৌশলের কারণে প্রতিদিন উচ্চহারে নতুন সংক্রমণ ঘটবে। এর ফলে এনএইচএস এর ওপর অভাবনীয় চাপ পড়বে এবং মৃত্যুর সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকবে।
তিনি বলেন, আপনি যদি লক্ষ্য করে এখন আমরা কোন পর্যায়ে রয়েছি, তাহলে হাজার হাজার লোকের মৃত্যু গণনা ছাড়া প্রাদুর্ভাবের দ্বিতীয় ঢেউ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসার কোন উপায় নেই। এডমন্ডস হচ্ছে যুক্তরাজ্যের একজন শীর্ষস্থানীয় মহামারী বিশেষজ্ঞ, যিনি বুধবার হাউজ অব কমন্সে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক এবং হেলথ এন্ড সোশ্যাল কেয়ার বিষয়ক সিলেক্ট কমিটির যৌথ শুনানাতি কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, আমরা হয় এরি মধ্যে একটি নির্দিষ্ট পয়েন্টে পৌঁছে গেছি অথবা পয়েন্টের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছি, যেখানে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের এনএইচএস অর্থাৎস্বাস্থ্যসেবার ওপর অভাবনীয় চাপ পড়বে। এমনকি আমরা যদি সংক্রমণের বিস্তার এখনই থামাই, তারপরও নতুন আক্রান্ত, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার উর্ধ হার অব্যাহত থাকবে আগামী ১০ দিন কিংবা দুই সপ্তাহ।
অক্সফোর্ড মারটিন প্রোগ্রাম অন গ্লোবার ডেভেলপমেন্ট এর ডিরেক্টর, ডক্টর ম্যাক্স রোজার কমিটিকে বলেন, এশিয়ার অনেক দেশেই প্রতি এক মিলিয়নে মৃতের সংখ্যা যেখানে ১০ বার তারও কম, সেখানে ইউকেতে প্রতি মিলিয়নে মৃতের সংখ্যা ৬৪৪ জন।
সরকারের তিন স্তর বিশিষ্ট লকডাউন সিস্টেম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে প্রফেসর এডমন্ডস বলেন, সরকারের এই স্ট্র্যাটেজি তিনি অনুসরণযোগ্য মনে করেন না।