img

‘ইসলামবিদ্বেষী কনটেন্ট’ বন্ধে ফেসবুক সিইওকে ইমরান খানের চিঠি

প্রকাশিত :  ০৭:২০, ২৬ অক্টোবর ২০২০
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:২৩, ২৬ অক্টোবর ২০২০

‘ইসলামবিদ্বেষী কনটেন্ট’ বন্ধে ফেসবুক সিইওকে ইমরান খানের চিঠি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফেসবুকে ইসলামবিদ্বেষী কন্টেন্টগুলো বন্ধ করার দাবি জানিয়ে ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গকে চিঠি লিখেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। চিঠিতে ইমরান লিখেছেন– এ ধরনের পোস্টগুলো মুসলমানদের মনে ক্ষোভের জন্ম দিচ্ছে। এমনকি মুসলিমদের মধ্যে চরমপন্থাও উসকে দিচ্ছে।

টুইটারে পাকিস্তান সরকারের অ্যাকাউন্ট থেকে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে। খবর এনডিটিভি ও রয়টার্সের।

চিঠিতে ইমরান খান লিখেছেন, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকে ক্রমবর্ধমান ইসলামোফোবিক পোস্টগুলো শেয়ারের ফলে বিশ্বব্যাপী চরমপন্থা ও সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। এ ধরণের পোস্ট ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানছে।

মার্ক জুকারবার্গের কাছে ইমরান খানের আর্জি, হলোকাস্ট নিয়ে বিভিন্ন পোস্টের বিষয়ে ফেসবুকে যেমন বিধিনিষেধ আছে, ইসলামবিদ্বেষী পোস্টগুলোর ক্ষেত্রেও যেন একই ধরনের বিধি আরোপ করা হয়।

ইমরানের লেখা এ চিঠির বিষয়ে জানতে রয়টার্সের পক্ষ থেকে ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

সম্প্রতি ফ্রান্সে নবী মুহাম্মদ (স.) কে ব্যাঙ্গ করে কার্টুন প্রকাশের ঘটনার প্রসঙ্গ চিঠিতে তুলেছেন ইমরান খান।  ইমরান খান অভিযোগ করেন, ব্যঙ্গকারীদের সমর্থন দিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইসলামের ওপর আক্রমণ করছেন।

img

আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঠেকাতে জরুরি বৈঠক নেতানিয়াহুর

প্রকাশিত :  ১৯:০৪, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) এবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, তার নেতৃত্বাধীন যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য এবং ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর বেশ কয়েক জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর পাশবিক অভিযান এবং তাতে আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে এ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এই পদক্ষেপ ঠেকাতে নিজ কার্যালয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু।

গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল।

প্রতিবেদন মতে, শিগগিরই এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পরিকল্পনা আইসিসির রয়েছে বলে বিশেষ সূত্রে নিশ্চিত হয়েছে ইসরায়েল সরকার। সম্ভাব্য 

বৈঠকে ইসরায়েলের বর্তমান যুদ্ধকালীন বিশেষ মন্ত্রিসভার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ইয়ারিভ লেভিন, স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এবং সরকারপন্থী বেশ কয়েকজন আইনজীব ও আইন বিশেষজ্ঞ উপস্থিতি ছিলেন।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানালিনা বেয়ারবক বুধবার জেরুজালেম সফরে গিয়েছিলেন। তাদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ও আইসিসির সম্ভাব্য গ্রেপ্তারি পরোনার প্রসঙ্গটি নেতানিয়াহু তুলেছিলেন বলে জানা গেছে। পরোয়ানা ঠেকাতে তিনি এই দুই দেশের সরকারের সহযোগিতাও চেয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে হামাস এবং আইডিএফের মধ্যে ব্যাপক সংঘাত হয়েছিল। সেই যুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধগুলো নিয়ে ২০১৯ সালে তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেয় আইসিসি। পরে করোনা মহামারির কারণে প্রায় দেড় বছর এই কাজ স্থগিত থাকার পর ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ফের তদন্ত শুরু করে আইসিসি।

সেই তদন্তের অংশ হিসেবে গত ডিসেম্বরে ইসরায়েল সফরে এসেছিলেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান। ইসরায়েলি প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর আপত্তির কারণে গাজা সফরে যেতে পারেন নি তিনি। তবে সেই সফর শেষে ফিরে যাওয়ার আগে তিনি বলেছিলেন, গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা এবং তার জবাবে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান কোনো স্বতঃস্ফূর্ত ঘটনা নয়। যেসব সহিংসতা পূর্বে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে, সেসব হামাস এবং আইডিএফের পূর্ব পরিকল্পিত বলে তিনি মনে করছেন। 

এ সংক্রান্ত কিছু সাক্ষ্যপ্রমাণও তার হাতে রয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন তিনি।

করিম খানের সফরের তিন মাস পর এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রক্রিয়া আইসিসি শুরু করেছে বলে জানা গেছে, যা নিয়ে উদ্বেগে পড়েছে ইসরায়েলের সরকার।