img

করোনায় শীত, আপনি কতটা ফিট?

প্রকাশিত :  ০৭:৫৯, ২৭ অক্টোবর ২০২০

করোনায় শীত, আপনি কতটা ফিট?

জনমত ডেস্ক : দেশের উত্তর অঞ্চলের প্রকুতি ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে। ঘর থেকে বাইরে বের হলে গা শিউরে ওঠে। কারণ শীত এসেছে। ভোরের শিশির সূর্যের আলোতে মুক্তার মতো আলো ছড়িয়ে জানান দিচ্ছে, আসছে শীত। কুয়াশামাখা প্রকৃতি আর মাঠে মাঠে ফসলের সম্ভাবনার ঘ্রাণ, কৃষকের চোখে-মুখে আনন্দের রেখা।

তবে এবারের শীত আনন্দের না হয়ে আতঙ্কের বার্তা নিয়ে হাজির হচ্ছে। দেশব্যাপী রয়েছে মরণঘাতি করোনার ছোবল। এর মধ্যে শীতকালে তার দ্বিতীয় ধাক্কা শুরু হবে বলে সতর্ক করেছেন দেশের স্বাস্থ্য বিশারদরা। শীতকালে এমনিতে নানা রকম ঠান্ডা জনিত রোগ বালাই একটু বেশি হানা দেয়। এর মধ্যে করোনা বা কোভিড-১৯ ভাইরাস শীতে আধিক্য থাকে বলে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। 

তবে এখন থেকেই শীত জয়ের প্রস্তুতি নিলে আরামে কাটাতে পারেন শীত। স্বাস্থ্য সচেতন হলেই পারেন শীত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। শীতকালের দিন ছোট হওয়াতেও অনেকেই আলাদা করে রূপচর্চা করতে পারেন না। তাই সহজেই যাতে আপনি মোহনীয় হয়ে উঠতে পারেন তার জন্য কিছু টিপস রইলো। 

শীতের দিনে হালকা গরম পানিতে গোসল করুন। গোসল শেষে সারা শরীরে ময়েশ্চারাইজার লাগান। এতে আপনার ত্বকের আদ্রতা ফিরে আসবে। উজ্জ্বল মুখে, সুন্দর চোখে আপনি সহজেই আকর্ষণীয় উঠতে পারবেন।  


শীত মোকাবিলার প্রস্তুতি জেনে নিন

১. শীতে বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই হাতে গ্লাভস পরে বের হবেন। কারণ শরীরের হিট গুলো হাতের মাধ্যমে বেড়িয়ে যায়। তাই হাতের গ্লাভস শরীরকে গরম রাখতে সাহায্য করবে।

২. শীতকালে শরীরের ওজন বৃদ্ধি করা যায় খুব সহজেই। তাই আপনাদের মধ্যে যারা খুব রোগা আছেন তারা বেশি করে খাবার খান। তবে যারা মোটা তারা অবশ্যই এই সময় খাবারটা ডায়েট করে খাবেন। কারণ আপনি অতিরিক্ত মোটা হয়ে যেতে পারেন।

৩. এই সময় সকালে বা দুপুরে কাজে বের হওয়ার সময় সানক্রিম মেখে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ শীতকালে সূর্য পৃথিবীর অনেক কাছে চলে আসে। আর তাই এই সময় ৮০ শতাংশ ক্ষতিকারক রে আমাদের স্কিনের ক্ষতি করতে পারে।

৪. আমরা অনেকেই মনে করি যে শীতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় বাড়ির বাইরে বের হলে আমাদের শরীর হয়ত খারাপ করবে। তবে আপনি জানেন কি? ঠান্ডাতে আমাদের শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার অনেক বেড়ে যায় ফলে শরীর খারাপ হবার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে।

৫. শীতকালে শরীরকে গরম করতে অনেকেই মদ্য পান করে থাকে। কিন্তু আপনি জানেন কি, মদ্য শুধু আমাদের শরীরের ত্বককে গরম করে এবং শরীরের ভিতরের হিট আস্তে আস্তে কমিয়ে দেয়। মদ্য পান না করাই ভালো হবে।

৬ শীতকালে আমাদের জল তেষ্টা খুব কম পায়। তাই গরমকালের তুলনায় শীতকালে জল খাওয়ার পরিমাণ অনেক কমে যায়। কিন্তু শরীর ঠিক রাখতে গেলে আমাদের প্রতিদিন অন্তত ২ লিটার পানি খাওয়া আবশ্যক। না খেলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া কিডনির সমস্যা, হজমের সমস্যা প্রভৃতিও দেখা দেয়। তাই জল তেষ্টা না পেলেও কিছু সময়ের ব্যবধানে বেশি করে জল খান। এতে দেখবেন শীতকালে শরীরের কোনও সমস্যাই দেখতে পাওয়া যাবে না।

৭ শীতকালে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে আমরা অনেক গরম জামা পরি। কিন্তু প্রয়োজনের থেকে বেশি গরম জামা পরার ফলে আমাদের শরীরের ভেতরে ঘাম হয়ে যায়। যার জন্য ঠান্ডার লাগার সমস্যাও দেখা দেয়। তাই বেশি গরম জামা না পরে ঠান্ডা লাগার হাত থেকে বাঁচতে যেটুকু দরকার সেইটুকু পরাই উচিত।

img

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের সম্পর্ক

প্রকাশিত :  ১৩:৪৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫৭, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক। প্রতি রাতে যারা ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্যা ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে জামা নেটওয়ার্ক ওপেন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের বরাতে বলা হয়েছে, যারা প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার কম সময় ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৬ শতাংশ। এই ক্ষতি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেও পূরণ করা যাবে না।

যুক্তরাজ্যের প্রায় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের উপর গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রাতে সাত ঘণ্টার বেশি ঘুমান তাদের তুলনায় যারা তিন থেকে চার ঘণ্টা ঘুমান তাদের ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা ৪১ শতাংশ বেশি। যুক্তরাজ্যে আনুমানিক ৪.৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং ১৩.৬ মিলিয়ন মানুষ তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইপ-টু ডায়াবেটিস শরীরের চিনি বা গ্লুকোজ প্রক্রিয়ার ক্ষমতায়কে প্রভাবিত করে এবং শরীরে ইনসুলিন শোষণে বাধা দেয়; যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। সময়ের সাথে সাথে এটি গুরুতর শারীরিক ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে স্নায়ু এবং রক্তনালির।

 যুক্তরাজ্যের বায়োব্যাঙ্কে সংরক্ষিত ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুসের চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার ১২ বছরের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়েছে।

এতে গবেষকরা দেখেছেন, যারা স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন, সপ্তাহে দুইবারের কম লাল মাংস, প্রতিদিন চার চামচের বেশি শাকসবজি, প্রতিদিন দুই বা তিন টুকরার বেশি ফল গ্রহণ করেন এবং সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাছ খান, এমন ৭,৯০৫ জনের টাইপ-টু ডায়াবেটিস দেখা দিয়েছে।

সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গবেষক ক্রিশ্চিয়ান বেনেডিক্ট বলেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস মেনে চলা ব্যক্তিদের টাইপ-টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ২৫ শতাংশ কম এবং যারা এই খাদ্যাভাস মেনে চলেছেন কিন্তু ৬ ঘণ্টার কম ঘুমিয়েছেন তাদের আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা বেশি।