img

কারাবাখের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে গাড়িসহ উড়িয়ে দিল আজারবাইজান, ভিডিও

প্রকাশিত :  ১৭:১৩, ২৭ অক্টোবর ২০২০

কারাবাখের প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে গাড়িসহ উড়িয়ে দিল আজারবাইজান, ভিডিও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: অস্বীকৃত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জালাল হারুতুনিয়ানকে গাড়িসহ উড়িয়ে দেয়ার দাবি করেছে আজারবাইজানের সেনাবাহিনী।  তারা এমন দাবির স্বপক্ষে একটি ভিডিও ছেড়েছে।  

মঙ্গলবার আজেরি সংবাদ মাধ্যম আজভিশনে ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়। তবে আর্মেনীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে ওই জেনারেল সামান্য আহত হয়েছেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি সঠিক না।  

আজেরি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, সামরিক বহরে থাকা একটি গাড়িতে গোলাবর্ষণ করা হয়।  এতে গাড়িটিতে আগুন লেগে ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। তবে উদ্ধারের জন্য সেনা সদস্য এগিয়ে গেলেও আগুনের কারণে উদ্ধার সম্ভব হয়নি।  তবে এই তথ্যটি যাচাই করা সম্ভব হয়নি। 

জালাল আনাতোলি হারুতুনিয়ান অস্বীকৃত প্রজাতন্ত্র আর্টসাখের লেফট্যানেন্ট জেনারেল।  বর্তমানে তিনি ডিফেন্স আর্মির কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।  একইসঙ্গে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন। 

এদিকে অস্বীকৃত আর্টসাখের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ভাহরাম পোগোসায়ানের ফেসবুক পোস্টকে উদ্ধৃতি করে আর্মেনীয় সংবাদমাধ্যম পাবলিক রেডিও অব আর্মেনিয়া বলছে, জালাল হারুতুনিয়ান আহত হয়েছেন। তবে তিনি এখন বিপদমুক্ত। তার জীবন ঝুঁকিতে নেই। 

ওই মুখপাত্র বলেন, তিনি সৌভাগ্যক্রমে গুরুতর আহত হননি এবং তিনি খুব শ্রীগ্রই সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন।  

সংবাদমাধ্যমটিতে বলা হয়, আজারবাইজানের গণমাধ্যমে জালাল হারুতউনইয়ানকে হত্যার তথ্য প্রকাশের পর তিনি এমন মন্তব্য করেন। 

 অন্যদিকে, আজারবাইজানের সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, অস্বীকৃত বিচ্ছিন্নতাবাদী সরকার যতটা সম্ভব জালাল হারুতুনিয়ানের মৃত্যুকে আড়াল করার চেষ্টা করে।

আন্তর্জাতিক এর আরও খবর

img

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে অস্ত্র সমর্পণ করবে হামাস

প্রকাশিত :  ০৯:১৯, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:২১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

টানা প্রায় সাত মাস ধরে গাজায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে এরপরও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে পরাজিত করতে পারেনি ইসরায়েল।

নির্বিচার এই হামলার জেরে নিহত হয়েছেন ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ। লাগাতার হামলায় গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে।

এমন অবস্থায় অনেকটা শান্তির বার্তাই সামনে আনলো হামাস। স্বাধীনতাকামী এই গোষ্ঠী বলছে, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি তাদের অস্ত্র সমর্পণ করবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন ও ওয়াশিংটন পোস্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েলের দখল করা অঞ্চলগুলোতে ফিলিস্তিনিরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পেলে হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম ছেড়ে দিতে পারে বলে হামাসের কিছু কর্মকর্তা ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সিএনএন বলছে, সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটির কিছু কর্মকর্তার দেওয়া এই বার্তাটি হামাসের অবস্থান কিছুটা নরম হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। কারণ গাজা ভূখণ্ডের শাসন ক্ষমতায় থাকা এই দলটি দীর্ঘদিন ধরে ইহুদি রাষ্ট্র তথা ইসরায়েলকে ধ্বংস করার আহ্বান জানিয়ে আসছে।

হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর ইস্তাম্বুল-ভিত্তিক সদস্য বাসেম নাইম বৃহস্পতিবার সিএনএনকে বলেছেন, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে স্বাধীনতাকামী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি নিজেদেরকে নিরস্ত্র করতে রাজি হবে।

হামাসের সশস্ত্র শাখার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তনের অধিকার সংরক্ষণের পাশাপাশি যদি জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়, তাহলে আল কাসামকে (ভবিষ্যত) জাতীয় সেনাবাহিনীতে একীভূত করা যেতে পারে।’


হামাস ঐতিহ্যগতভাবে একটি দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে এসেছে। এই সমাধান নীতি অনুযায়ী, ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত থাকবে। বরং এর পরিবর্তে হামাস এতোদিন সমস্ত ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে কথা বলে এসেছে।

প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল ইনিশিয়েটিভের প্রেসিডেন্ট মোস্তফা বারঘৌতি বলেছেন, তিনি হামাসের অস্ত্র সমর্পণের প্রস্তাব সম্পর্কে আগে থেকে অবগত নন। তবে তিনি বলেন, এটি সত্য হলে তা হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

তিনি ১৯৬৭ সালে দখল করা ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোতে ইসরায়েলের সামরিক নিয়ন্ত্রণের কথা উল্লেখ করে সিএনএনকে বলেছেন, ‘এটা এই অর্থে গুরুত্বপূর্ণ যে, ফিলিস্তিনিরা দখলদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করছে কারণ এখানে দখলদারিত্ব চলছে। যদি কোনও ধরনের দখলদারিত্ব সেখানে না থাকে, তবে তাদের প্রতিরোধ করারও দরকার নেই।'

মূলত ১৯৬৭ সালে দখল করা ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোতে এখনও লাখ লাখ ফিলিস্তিনি বাস করেন। যদিও এসব এলাকায় ইসরায়েলের সামরিক নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

অন্যদিকে হামাসের একজন শীর্ষ রাজনৈতিক কর্মকর্তা দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, ইসলামিক এই গোষ্ঠীটি ইসরায়েলের সঙ্গে পাঁচ বছর বা তার বেশি সময়ের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে ইচ্ছুক এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্ত অনুযায়ী একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে তারা তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে এবং রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হতে ইচ্ছুক।

ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, গত বুধবার দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে হামাসের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা খলিল আল-হাইয়ার এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো যখন গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য গত কয়েক মাস আলোচনা চললেও তা কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে।

এছাড়া হামাস নিজেদের নিরস্ত্রীকরণ করবে এমন ইঙ্গিতটি হামাসের পক্ষ থেকে উল্লেখযোগ্য ছাড় বলে মনে হচ্ছে। কারণ হামাস এমন এক সশস্ত্র গোষ্ঠী যারা বরাবরই ইসরায়েলকে ধ্বংস করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল।