img

সাকিব আল হাসান কলঙ্কমুক্ত হচ্ছেন আজ

প্রকাশিত :  ০৫:৪১, ২৮ অক্টোবর ২০২০

সাকিব আল হাসান কলঙ্কমুক্ত হচ্ছেন আজ

স্পোর্টস ডেস্ক: লকডাউনের সময় ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে অনেকেরই মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। এদের মধ্যে ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলেকে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, ‘আমি বোকার মতো ভুল করেছি।’

সেই ভুল এই অলরাউন্ডারের ক্রিকেট-জীবন থেকে এরই মধ্যে কেড়ে নিয়েছে একটি বছর। তাও আবার কোন সময়ে? যখন ২০১৯-এর বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স দিয়ে তিনি নিজেকে তুলে নিয়েছিলেন অন্য উচ্চতায়। আট ম্যাচে ৬০৬ রান করার পাশাপাশি ১১ উইকেট নেওয়ার মতো অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে এমনকি বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাওয়ার দৌড়েও ছিলেন সামনের সারিতেই।

কিন্তু জুলাইয়ে বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার প্রায় চার মাস পর অক্টোবরের শেষে গিয়ে জানা যায়, ২০১৮ সালে একাধিকবার জুয়াড়ির সঙ্গে যোগাযোগের খবর চেপে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছিল। চালাচ্ছিল বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট (আকসু)। তদন্তে নিজের দোষ স্বীকার করে শাস্তিও মাথা পেতে নেওয়ায় গত বছরের ২৯ অক্টোবর তাকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় আইসিসি। এর মধ্যে পরের এক বছর স্থগিত করা হয় নিষেধাজ্ঞা।

অর্থাৎ নতুন করে এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডে না জড়ালে নিষেধাজ্ঞা এক বছরেরই। সেই নিষেধাজ্ঞাই এত দিন ধরে ভোগ করে আসছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টারবয়, যা তার ভাষায় ‘বোকার মতো ভুলের’ প্রায়শ্চিত্তই। যা এরই মধ্যে করেও ফেলেছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক। আজই তার নিষেধাজ্ঞার শেষ দিন। আগামীকাল থেকে সব ধরনের ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে ফিরতে আর কোনো বাধা থাকছে না।

কোয়ারেন্টিন জটিলতায় অক্টোবর-নভেম্বরে শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের তিন টেস্টের সফর স্থগিত না হয়ে গেলে অবশ্য আর দুই-চার দিনের মধ্যেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতেন সাকিব। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) সেরকম প্রস্তুতিই নিয়ে রেখেছিল। সফরের সূচি অনুযায়ী ২৪ অক্টোবর থেকে সিরিজের প্রথম টেস্টেই ফেরার সুযোগ ছিল না।

তবে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দ্বিতীয় টেস্ট থেকেই তাকে খেলানোর কথা বলেছিলেন খোদ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। সে জন্য নিষেধাজ্ঞা ওঠার আগেই বিশেষ ব্যবস্থায় আলাদাভাবে তাকে শ্রীলঙ্কায় নিয়ে প্রস্তুতির সুযোগ করে দেওয়ার চিন্তাও ছিল দেশের সর্বোচ্চ ক্রিকেট প্রশাসনের।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দিয়েই মাঠে ফেরার প্রস্তুতি নিতে গত ২ সেপ্টেম্বর ভোররাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশেও ফিরেছিলেন এই অলরাউন্ডার। ৫ অক্টোবর থেকে নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে দুই ক্রিকেট গুরু নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের অধীনে নিবিড় অনুশীলনে নিজেকে ফিরে পাওয়ার লড়াইও শুরু করেছিলেন। তবে শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হয়ে যাওয়ায় সেই পর্ব স্থগিত করে সাকিবও ফিরে যান যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রী-সন্তানের কাছে। নভেম্বরের মাঝামাঝি শুরু হতে যাওয়া ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি দিয়েই ফিরবেন ক্রিকেটে। দেশেও ফিরবেন এর ঠিক আগেই।


img

জিম্বাবুয়ে সিরিজে শুরুতে কেন খেলবেন না, জানালেন সাকিব

প্রকাশিত :  ১২:৫৮, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সাকিব আল হাসান জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজের কয়েকটি ম্যাচে খেলবেন না। শোনা যাচ্ছে সেসময় তিনি শেখ জামালের হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) খেলবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

সাকিব জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কয়টি ম্যাচ খেলবেন। এই সিরিজের দল ঘোষণার পরই প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ লিপু জানিয়েছেন, সাকিবকে সিরিজের শুরুর দিকে পাওয়া যাবে না। 

জিম্বাবুয়ে সিরিজে শুরু থেকে না খেলে তখন কেন ডিপিএল খেলবেন সাকিব? যুক্তরাষ্ট্রে একটি অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে এই অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

৩ মে থেকে শুরু হবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

সাকিব জানিয়েছেন, জিম্বাবুয়ে সিরিজে অবশ্যই খেলব। দেশে হয়তো এ নিয়ে একটা কনফিউশন চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটা নিয়ে কথা চলছে যে আমি জিম্বাবুয়ে সিরিজে শুরু থেকে খেলব না, ডিপিএল খেলব...আসলে কোচ, অধিনায়ক সবার সঙ্গে আগে কথা বলে রেখেছিলাম। কোচ বলেছিলেন দুটো ম্যাচ খেললেই হবে। এর পর অধিনায়ক ও নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলি, তারা বলেছে দুটো না তিনটা ম্যাচ খেল, তা হলে আমাদের জন্য ভালো হয়। আমি বলেছি সমস্যা নেই। এটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, যেটা নিয়ে দেশে এত কনফিউশন দেখতে পাচ্ছি। খুবই অবান্তর আলোচনা।’

সাকিব আরও বলেন, আসলে এগুলো আলোচনার মাধ্যমেই হয়, আমার ইচ্ছামতো হয় না। যেহেতু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুটি ম্যাচ থাকবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচ খেলার আগে। সেহেতু দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে। এ ছাড়া প্রস্তুতিটাও ভালো হবে। সে কারণে আসলে এ দুটা ম্যাচ খেলা। এখানে এর বেশি নেই।’

সাকিব আরও বলেছেন, আমেরিকা থাকলে ফেসবুকে বেশি সময় কাটানো হয়, দেশে থাকলে সময় পাই না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব দেখলে আমার একটু হাসিই পায় যে মানুষ কত রকম চিন্তা করতে পারে। যা হয়েছে বিসিবি আর আমার আলোচনার মধ্যেই হয়েছে। কারণ আমাদের অন্যান্য খেলোয়াড়েরও দেখা জরুরি। বিভিন্ন ধরনের কম্বিনেশন তৈরি করতে হলে আমাদের কী অবস্থায় থাকতে হবে, সে প্রস্তুতিটা নিতে পারি।’

১ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে। এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে সাকিব বলেছেন, বিশ্বকাপ পাওয়ার মতো অবস্থায় আসছি কিনা, এটা বলাটা একটু মুশকিল। তবে টি-টোয়েন্টিতে যে কেউ যে কাউকে হারাতে পারে, বড়-ছোট দল নেই। আমাদের বিশ্বাসটা দরকার। ওই বিশ্বাসটা নিয়ে যদি খেলতে পারি, আমরা ভালো করব।