কুষ্টিয়ায় বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে তিন যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ০৬:৫১, ২৮ অক্টোবর ২০২০
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৫৭, ২৮ অক্টোবর ২০২০

কুষ্টিয়ায় বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে তিন যুবকের মৃত্যু

জনমত ডেস্ক : কুষ্টিয়ায় বিষাক্ত অ্যালকোহল পান করে তিন যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পর আজ বুধবার ভোররাতে ৩জনের মৃত্যু হয়। 

এরা হলেন, রিপন কুমার ঘোষ (৩২), নিতাই বিশ্বাস (৩৫) ও অনিক বিশ্বাস (২১)।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ভর্তি ইনচার্জ ছানোয়ার হোসেন জানান, অ্যালকোহলের বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়লে মিরপুর উপজেলার কান্তদাহ গ্রামের মৃত দেবেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে নিতাই বিশ্বাসকে প্রথমে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসতাপালে ভর্তি করা হয়। এরপর সদর উপজেলার বড় আইলচারার তপন বিশ্বাসের ছেলে অনিক বিশ্বাসকে ভোররাত ৪টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভোররাত পৌনে ৫টার দিকে খোকসা উপজেলার কালিবাড়ি বাজারের অবেশ ঘোষের ছেলে রিপন কুমার ঘোষকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন যুবকই মারা যায়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, এদের মৃত্যুর বিষয়ে পুলিশ খতিয়ে দেখছে। ময়নাতদন্তের পরেই বোঝা যাবে আসলে এদের মৃত্যু কিভাবে হয়েছে।

নাটোরে স্কুলছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা

প্রকাশিত :  ০৫:৫৬, ২৯ মার্চ ২০২৪

নাটোরের নলডাঙ্গায় হিমেল হোসেন (১৫) নামে এক স্কুল ছাত্রকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হাত-মুখ বেঁধে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে সহপাঠীদের বিরুদ্ধে।

নিহত হিমেল হোসেন পিপরুল গ্রামের টিসিবি ডিলার ফারুক সরদারের ছেলে। সে পাটুল-হাঁপানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।

এ ঘটনায় হিমেলের দুই সহপাঠীসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— একই এলাকার পার্থ, মেহেদি, সুজন ও শিমুল। এদের মধ্যে পার্থ ও মেহেদী নিহত হিমেলের সহপাঠী।

গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এ টি এম মাইনুল ইসলাম।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে হিমেলকে তার  বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় সহপাঠী পার্থ। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিল হিমেল। এ ঘটনায় হিমেলের বাবা ফারুক সরদার নলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ করলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ রাতেই পার্থকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অপর সহপাঠী মেহেদী এবং এলাকার ‘সিনিয়র’ বন্ধু সুজন ও শিমুলকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের সাথে নিয়ে রাত দেড়টার দিকে  পিপরুল ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পেছনে পরিত্যক্ত ইউনিয়ন পরিষদের পাশের একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে হিমেলের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এ.টি.এম. মাইনুল ইসলাম বলেন, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর হিমেলের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছিল না পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে হিমেলের মুঠোফোনের সূত্র ধরে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। নলডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।