img

ফের করোনা সংক্রমণ ও প্রাণহানি: ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ

প্রকাশিত :  ০৭:৫৯, ২৮ অক্টোবর ২০২০

ফের করোনা সংক্রমণ ও প্রাণহানি: ইউরোপজুড়ে উদ্বেগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শুরু থেকেই করোনার ভুক্তভোগী গোটা ইউরোপ। মাঝে কিছুটা উত্তাপ কমলেও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা তুলে নেয়ায় গতমাস থেকে ভয়াবহ আকার ধারণ করে করোনা পরিস্থিতি। 

বিশেষ করে চলতি মাস থেকেই শোচনীয় অবস্থায় দাঁড়ায়। যা আগামীতে আরও নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যা রীতিমতো উদ্বেগ বাড়িয়েছে দেশগুলোতে। 

এমতাবস্থায় ফ্রান্স, স্পেন ও যুক্তরাজ্যে কারফিউ জারির পাশাপাশি জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে জনসমাগমে।

বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডেমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, নতুন করে করোনার মারাত্মক প্রভাব পড়েছে ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে। দেশটিতে সবমিলে প্রায় ১২ লাখের মতো মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণহানি সাড়ে ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে।  

স্পেনে জরুরি অবস্থা এবং কারফিউয়ের মেয়াদ বাড়িয়ে ৬ মাস করার কথা ভাবছে দেশটির সরকার। এ পর্যন্ত ১১ লাখ ৭৪ হাজারের বেশি আক্রান্ত নিয়ে মৃত্যু ৩৫ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে, আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যায় এখনো শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরেই ভারতের স্থান। 

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ইউরোপে গেল সপ্তাহের চেয়ে ৪০ শতাংশ আক্রান্ত বেড়েছে। বিশ্বে ৪ কোটি ৪২ লাখের বেশি আক্রান্ত নিয়ে মৃত্যু ছাড়িয়েছে ১১ লাখ ৭১ হাজার। 

img

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৪১

প্রকাশিত :  ০৭:০৫, ১৩ মে ২০২৪

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা এবং আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও ১৭ জন। 

সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় দুর্যোগ সংস্থার এক কর্মকর্তা।

কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা ভারী বৃষ্টির কারণে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যার কারণে রাস্তা-ঘাঁট, বাড়ি-ঘর, মসজিদ প্লাবিত হয়েছে।

পশ্চিম সুমাত্রার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার কর্মকর্তা ইলহাম ওয়াহাব এএফপিকে বলেন, গত রাত পর্যন্ত আমরা ৩৭ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। তবে আজ সকাল পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে ৪১ জনে দাঁড়িয়েছে।

উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, এখনও ১৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ চলছে। নিখোঁজদের মধ্যে আগাম জেলায় তিনজন এবং তানাহ দাতারে ১৪ জন। বন্যার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এই দুই এলাকায় কয়েক লাখ মানুষের বসবাস।

এখন পর্যন্ত কতজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেননি ইলহাম ওয়াহাব। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অনুসন্ধান, উদ্ধার, সরিয়ে নেওয়া ব্যক্তিদের সুরক্ষা এবং তল্লাশি অভিযানের দিকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।

বন্যার কারণে রাস্তাঘাট যেন নদীতে পরিণত হয়েছে। বেশ কিছু এলাকায় মসজিদ এবং ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা লাহার নামেও পরিচিত। আগ্নেয়গিরির প্রধান উপাদান যেমন ছাই, বালি এবং নুড়ি পাথর বৃষ্টির কারণে আগ্নেয়গিরির ঢালে নেমে আসে। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে।

এর আগে চলতি মাসের শুরুর দিকে ইন্দোনেশিয়ার মধ্যাঞ্চলে বন্যা এবং ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। সে সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে বহু বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং রাস্তাঘাট ভেসে গেছে।

বর্ষাকালে ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসের প্রবণতা বেড়ে যায়। কিছু এলাকায় বন উজাড়ের কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। দীর্ঘ সময় মুষলধারে বৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

২০২২ সালে সুমাত্রা দ্বীপে বন্যায় প্রায় ২৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। সে সময় দুই শিশুর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে।