img

করোনা মোকাবেলায় বাংলা হাউজিং এসোসিয়েশনের সচেতনতামূলক কর্মসূচি

প্রকাশিত :  ০৬:৫০, ২৯ অক্টোবর ২০২০

করোনা মোকাবেলায় বাংলা হাউজিং এসোসিয়েশনের সচেতনতামূলক কর্মসূচি

জনমত ডেস্ক : করোনা মোকাবেলায় কমিউনিটিতে সচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ইস্ট লন্ডনের হ্যাকনিতে অবস্থিত বাংলা হাউজিং এসোসিয়েশন।

সংস্থাটি জাতীয় কোভিড লোটারি রিকভারি প্লান বাংরাদেশী কমিউনিটি নিয়ে কাজ করার জন্য মনোনীত হয়েছে। পরামর্শ প্রজেক্ট হিসেবে বাংলা হাউজিং এসোসিয়েশন ও স্পিটার্সফিল্ড হাউজিং এসোসিয়েশন যৌথভাবে বাংলাদেশীদের করোনা বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করবে। আর এই প্রকল্পের আওতায় সহায়তা পাবে হ্যাকনি ও টাওয়ার হ্যামলেটের ১০ হাজার বাঙ্গালী পরিবারের অন্তত ৪০ হাজার বাসিন্দা।

বাংলা হাউজিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী বশির উদ্দিন বলেন, লন্ডনের পাবলিক হেলথ এর দেওয়া তথ্যমতে, গ্রীষ্মের সময় অন্যান্য কমিউনিটির তুলনায় বাঙালী কমিউনিটি করোনার কারনে অন্যতম ঝুকিপূর্ন কমিউনিটি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

বশির উদ্দিন বলেন, আমাদের এমন তথ্য ছড়িয়ে দিতে হবে যা মানুষের জীবন রক্ষার্থে সহায়তা করে। তাই অবশ্যই আমাদের সঠিক ও সময় উপযোগী বার্তা দিতে হবে। কোভিডের ভয়াবহ ছোবলে আমাদের পরিচিত অনেকেই মারা গেছেন। এটি পরিষ্কার যে আপনি কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন সে সম্পর্কে বার্তাগুলো হয়তো সঠিক ভাবে পৌছায়নি।

তিনি বলেন, মূলত বাংলাদেশী কমিউনিটির মধ্যে যারা ঝুঁকিপূর্ণ এবং ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে তাদের কাছে আমরা সঠিক বার্তা পৌছে দেবো। কোভিড-১৯ এর হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করা কতটা গুরুতর এবং কোভিড থেকে রক্ষার নিয়মগুলো না মানেন তবে পরিণতি কতটা গুরুতর হতে পারে তা আমাদের কমিউনিটিকে জানানো প্রয়োজন। আর এই কাজে সরকার আমাদের ফান্ড দিয়ে যে সহায়তা করেছে তার জন্য সেজন্য ধন্যবাদ।

স্পিটালফিল্ডস হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন,বিএমই লন্ডন ল্যান্ডলর্ডস গ্রুপের সদস্য। যারা বাংলা হাউজিং এসোসিয়েশনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে । বাংলাদেশী কোভিড পরামর্শ প্রকল্পটি ২টি কোভিড সচেতন ভিডিও বাংলা ভাষায় তৈরি করবে, বাংলা ভাষায় লিফলেটসহ বিভিন্ন তথ্য প্রচার করবে। এছাড়া হ্যাকনি এবং টাওয়ার হ্যামলেটস এনএইচএস ,স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ করার জন্য দু’জন কর্মী নিয়োগ করা হবে। আর এই কর্মী মূলত নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে এই দুই এলাকার বাংলাদেশী কমিউনিটির সাথে কাজ করবে।

চলতি বছরের জুলাই মাসে বিএমই লন্ডন ল্যান্ডলর্ডসের পরিচালকের বৈঠকেই বশির উদ্দিন করোনা ভাইরাসের প্রকপ থেকে বাঙালীদের রক্ষার্তে বিএমইএলকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহবান করেন। মূলত করোনার প্রথম ছোবলে অনেক বাঙালীর মৃত্যুর কারন ও দ্বিতীয় ছোবল থেকে বাঙালীদের কিভাবে রক্ষা করা যায় সেই উদ্দ্যেশ্যেই তিনি হাউজিং এসোসিয়েশনগুলোকে পদক্ষেপ নিতে বলেন।

বাংলা হাউজিং এসোসিয়েশন ও স্পিটার্সফিল্ডস হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন মূলত এক সাথে কাজ করার বেশ কিছু উদ্দ্যেশ্য রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে, এই দুই এলাকায় অনেক বাঙালী আছে যারা এই দুই হাউজিং এসোসিয়েশনের ভাড়াটে হিসেবে বসবাস করছে। তাই বাসিন্দাদের জরুরী প্রয়োজনে সরাসরি হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন সহায়তা করতে পারবে।

বশির উদ্দিন বলেন, করোনা ঝুকি থেকে কিভাবে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব সে বিষয়ে পরামর্শ প্রদানই আমাদের মূল লক্ষ্য। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই আমরা করোনার ভয়াল থাবা থেকে আমরা আমাদের রক্ষা করতে পারবো। কোভিড ১৯ পরামর্শ প্রকল্পটি চলবে ২০২১ সালে মার্চ পর্যন্ত।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.২২ শতাংশ

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৯, ১৩ মে ২০২৪

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার সব চেষ্টার মধ্যেও গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। এর আগের মাসে অর্থাৎ, মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সাত বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। হালনাগাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে, গত এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মার্চে এটি ছিল নয় দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এপ্রিল মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ দিকে গত এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে; আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর, যা ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ


কমিউনিটি এর আরও খবর