img

ব্রিটিশ-বাংলাদেশি এমপি আফসানার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

প্রকাশিত :  ০৬:৩৪, ৩০ অক্টোবর ২০২০
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩৯, ৩০ অক্টোবর ২০২০

ব্রিটিশ-বাংলাদেশি এমপি আফসানার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ

জনমত ডেস্ক : লন্ডনের বাংলাদেশী অধ্যুষিত পপলার এন্ড লাইমহাউস আসনের ব্রিটিশ বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত পার্লামেন্ট মেম্বার আফসানার বেগমের বিরুদ্ধে হাউজিং ফ্রড বা আবাসন জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি প্রভাব খাটিয়ে মাত্র ৬ মাসের মধ্যে কাউন্সিল ফ্লাট নিয়েছেন। ৩০ বছর বয়সী আফসানা স্থানীয় আইলস অফ ডগ এর মত জায়গায় ৩০০ হাজার পাউন্ডের ফ্লাট গ্রহন করেন।

দ্যা মেইল পত্রিকা জানায় আগামী ১০ ডিসেম্বর তাকে আদালতে হাজির হতে হবে। যদি তিনি আইনী পক্রিয়ায় হেরে যান তাহলে হয়ত তাকে পার্লামেন্ট পদ হারাতে হতে পারে, এমনকি জেলেও যেতে হতে পারে।

লেবার পার্টির সাবেক লিডার জেরেমি করবিনের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত আফসানা ২০১১ সালে প্রথম ঘরের জন্য আবেদন করেন। তখন তিনি তার বাবা-মার সাথে ছিলেন।

পরে ২০১৪ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর বাবা-মার ঘর থেকে স্বামীর সাথে চলে আসেন। কিন্তু স্বামীর সাথে তার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে তিনি ঘরের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার তালিকায় থাকলেও মাত্র ৬ মাসের মধ্যে ঘর পেয়ে যান। যদি বলা হয়েছে স্বামীর সাথে বিচ্ছেদের পর তার কোন সন্তানও ছিলোনা, এর পরও তিনি ঘর পেয়ে যান।

আফছানা পূর্বে বলেছেন, স্বাধীনভাবে নিরাপদে বেঁচে থাকার জন্য তার ঘরের প্রয়োজন ছিলো। তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রত্যাখান করেছেন। আইনজীবির পরামর্শ ছাড়া এর চেয়ে বেশি কিছু বলবেন না বলে তিনি মিডিয়াকে জানিয়েছেন।

গত বছর ব্রিটিশ নির্বাচনে টাওয়ার হ্যামলেটস বারার পপলার এন্ড লাইম হাউস আসন থেকে প্রথমবার নির্বাচন করেই জিতে যান ৩০ বছর বয়সী আফসানা। তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা টাওয়ার হ্যামলেটসে হলেও বাংলাদেশে তার বাবার বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে। আফসানার বাবা মনির উদ্দিন টাওয়ার হ্যামলেটসের কাউন্সিলর ছিলেন।


কমিউনিটি এর আরও খবর

img

এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০.২২ শতাংশ

প্রকাশিত :  ১২:৫১, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৯, ১৩ মে ২০২৪

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার সব চেষ্টার মধ্যেও গত এপ্রিলে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৩৫ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এপ্রিলে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে। এর আগের মাসে অর্থাৎ, মার্চে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি গত মার্চের তুলনায় এপ্রিলে সাত বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৭৪ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।

আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। হালনাগাদের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে, গত এপ্রিলে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৩০ বেসিস পয়েন্ট কমে নয় দশমিক ৩৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মার্চে এটি ছিল নয় দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এপ্রিল মাসে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে; গত মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

মার্চ মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ দিকে গত এপ্রিল মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ হয়েছে; আগের মাসে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি এখন অর্থনীতির অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর, যা ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার চাপ বাড়ায়। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতি বেশি বেড়ে গেলে গরিব ও মধ্যবিত্তের সংসার চালাতে ভোগান্তি বাড়ে। এমনিতেই জিনিসপত্রের দাম বেশ চড়া। তার সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে মানুষ


কমিউনিটি এর আরও খবর