img

জগন্নাথপুরে তরুণীকে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত :  ১১:১৩, ৩০ অক্টোবর ২০২০
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:২৬, ৩০ অক্টোবর ২০২০

জগন্নাথপুরে তরুণীকে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ

জনমত ডেস্ক : জগন্নাথপুরে এক তরুণীকে জোরপূর্বক বাড়িতে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তরুণীর মা বাদী হয়ে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত বৃহস্পতিবার মামলা গ্রহণ করে জগন্নাথপুর থানা পুলিশকে তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন।

জানা যায়, উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নোওয়াগাঁও গ্রামের সুনু মিয়ার বখাটে ছেলে মিরজু মিয়া (৩৮) গত ২৪ অক্টোবর তরুণী (১৬) কে সড়ক থেকে তুলে নিয়ে তার বাড়িতে জোরপূর্বক আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণ করে। এঘটনায় তরুণীর মা মোছা. আফিয়া বেগম বাদী হয়ে সুনামগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।

তরুণীর মা জানান, আমার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত করে আসছিল বখাটে মিরজু মিয়া। বিষয়টি আমি তার বড় ভাই ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিকে অবহিত করলেও বখাটে বেপরোয়া হয়ে উঠে। গত ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় আমার মেয়ে গ্রামের ভেতর দোকান থেকে মালামাল ক্রয় করতে যায়। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে বখাটে আমার মেয়েকে মুখে কাপড় বেঁধে তার বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি আমি জানার পর জগন্নাথপুর থানা পুলিশ কে অবগত করলে পুলিশ তদন্তে নামে। পরে আমি আদালতে গিয়ে মামলা দায়ের করি।

একই গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বজলুর রহমান জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি আমরা শুনেছি। ওই যুবক এলাকায় খারাপ চরিত্রের হিসেবে পরিচিত। এর আগেও এসব অভিযোগে ১২ বছর জেল খেটেছে।

জগন্নাথপুর থানার উপ পরিদর্শক এস আই সাফায়েত জানান, ঘটনাটি জানার পর তদন্ত শুরু করি। এলাকাবাসী অভিযুক্ত যুবক খারাপ বলে জানিয়েছেন। অভিযোগকারীরা থানায় এজাহার না দিয়ে আদালতে গিয়ে মামলা দায়ের করেছেন বলে শুনেছি।

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, আদালতের আদেশ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

img

বিশ্বনাথের মেয়রের বিরুদ্ধে নারী কাউন্সিলরের শ্লীলতাহানির মামলা

প্রকাশিত :  ১৫:১৪, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:১৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান, দুই কাউন্সিলরসহ আটজনের বিরুদ্ধে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা হয়েছে। বুধবার বিশ্বনাথ থানায় মামলাটি করেন পৌরসভার এক নারী কাউন্সিলর।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সম্প্রতি পৌরসভার সাত কাউন্সিলর মেয়র মুহিবুর রহমানের দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার বিভাগে অনাস্থা প্রস্তাব দেন। বিষয়টি নিয়ে মেয়র কাউন্সিলরদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে পৌরসভার দক্ষিণ মিরেরচর এলাকায় মেয়রের নেতৃত্বে কয়েকজন নারী কাউন্সিলরদের নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করেন। প্রতিবাদ করলে মেয়র ও তার সহযোগীরা বাদীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।

মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় ওই কাউন্সিলর গতকাল বিকেলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। বুধবার ভোরে লিখিত অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়। মামলায় মেয়র ছাড়া পৌরসভার কাউন্সিলর ফজর আলী ও বারাম উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে মেয়র মুহিবুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি।

বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী জানান, নারী কাউন্সিলরের অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।