img

নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণের ঘটনায় মসজিদ কমিটির সভাপতি গ্রেফতার

প্রকাশিত :  ০৫:৩৪, ৩১ অক্টোবর ২০২০

নারায়ণগঞ্জে বিস্ফোরণের ঘটনায় মসজিদ কমিটির সভাপতি গ্রেফতার

জনমত ডেস্ক : নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পশ্চিম তল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় এবার মসজিদ কমিটির সভাপতি আব্দুল গফুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শুক্রবার রাতে তল্লার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

সিআইডির নারায়ণগঞ্জ বিশেষ পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফতুল্লা থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।

জানা গেছে, এ বিষয়ে হতাহতের ঘটনায় চার্জশিট (অভিযোগপত্র) চূড়ান্তের পথে। এতে ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করা হতে যাচ্ছে।  সিআইডি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৩৬ জনের বিষয়ে কাজ চলছে।

এ ৩৬ জনের মধ্যে তিতাসের ৮ জন, ডিপিডিসির দুইজন ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতিসহ ২৬ সদস্য রয়েছে। তবে এটা কম বেশি হতে পারে।

এর মধ্যে তিতাস গ্যাসের ফতুল্লা অঞ্চলের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপক মাহমুদুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী সহকারী এস এম হাসান শাহরিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী মানিক মিয়া, কর্মী ইসমাইল প্রধান, সাহায্যকারী হানিফ মিয়া, সিনিয়র উন্নয়নকারী আইউব আলী ও সিনিয়র সুপারভাইজার মনিবুর রহমান চৌধুরী এবং অভিযোগপত্রে ডিপিডিসি নারায়ণগঞ্জ পূর্ব অঞ্চলের মিটার রিডার আরিফুর রহমান ও বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি মোবারক হোসেন রয়েছেন।

তাদের মধ্যে তিতাসের আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডিপিডিসির দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি মোবারক হোসেন আদালতে স্বীকারােক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিতাসের আটজন কর্মকর্তা-কর্মচারী জামিন পেয়েছেন। 

উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর মসজিদে বিস্ফোরণে ৩৭ জন দগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর ফতুল্লা থানার এসআই হুমায়ন কবির বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।

img

কুমিল্লায় পানিতে ডুবে একদিনে ৪ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত :  ১৭:০১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

কুমিল্লার চান্দিনা ও দাউদকান্দিতে পানিতে ডুবে একদিনে চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে দাউদকান্দি উপজেলার বিটেশ্বর ইউনিয়নের বরকোটা এবং দুপুরে চান্দিনা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড তুলাতলী গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।

চান্দিনায় মারা যাওয়া শিশুরা হচ্ছে- উপজেলার তুলাতলী গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস মন্টুর মেয়ে নাদিয়া (৭) ও এই গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে সাদিয়া (৮)। সম্পর্কে তারা দুজন খালা-ভাগনি। অপরদিকে দাউদকান্দিতে মারা যাওয়া দুই শিশু হচ্ছে- উপজেলার বরকোটা গ্রামের মো. নজরুলের ছেলে ফয়সাল (৮) এবং একই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে রিফাত (৭)।

চান্দিনায় নিহত দুই শিশুর স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সাইকেল নিয়ে খেলতে ঘর থেকে বের হয়ে দুই শিশু। দুপুর ১২টার দিকে বাড়ি থেকে ২শ গজ দূরে বট গাছের কাছের সাইকেল ও জুতো দেখতে পায় নিহত সাদিয়ার নানা আব্দুল জব্বার। এ সময় তাদের খুঁজে না পেয়ে সাইকেল ও জুতো বাড়িতে নিয়ে যান তিনি। তারপর থেকে তাদের কোথাও খুঁজে পায়নি তাদের পরিবার। দুপুর ২টায় নিহত নাদিয়ার দাদি একই স্থানে আরও একটি পেন্ট পেয়ে সন্দেহ করে পাশের মৎস্য প্রজেক্টে নামে পরিবারের সদস্যরা। এরপর পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত নাদিয়ার দাদা আব্দুল লতিফ জানান, দুজনকে পানি থেকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

দাউদকান্দিতে নিহত দুই শিশুর স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে শিশু ফয়সাল ও রিফাত বাড়ির পাশে খেলা করছিল। হঠাৎ তাদের দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির পর ডোবার পানিতে ভাসমান দেহ দেখা যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্ত্যবরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত প্রতিবেশী দুই শিশু বরকোটা এলাকার একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো বলে জানা গেছে।