চতুর্থ দিনে আয়কর সংগ্রহ ২৫৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা

প্রকাশিত :  ০৮:০৪, ১৮ নভেম্বর ২০১৮

চতুর্থ দিনে আয়কর সংগ্রহ ২৫৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা

জনমত ডেস্ক ।। সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলার চতুর্থ দিনে শুক্রবার আয়কর সংগ্রহ হয়েছে ২৫৩ কোটি \r\n১৫ লাখ ৮১ হাজার ৫৪০ টাকা। করদাতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও ব্যাপক সাড়ার\r\n মধ্য দিয়ে শুক্রবার দেশের আটটি বিভাগ, ৫৬টি জেলা এবং তিনটি উপজেলাসহ মোট \r\n৬৭টি স্পটে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারাদেশে করদাতারা ব্যাপক উৎসাহ \r\nউদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কর প্রদান ও সেবা গ্রহণ করেছেন। বিশেষ করে অনলাইন \r\nরিটার্ন দাখিল বুথে পেশাজীবী, চাকুরিজীবী ও নারী করদাতাদের উপস্থিতি ছিল \r\nলক্ষণীয়।

\r\n
\r\nমেলায় আয়কর রিটার্ন দাখিল, ই-টিআইএন গ্রহণ, ই-ফাইলিং, ই-পেমেন্টের ব্যবস্থা\r\n রয়েছে। মেলায় আসা মুক্তিযোদ্ধা, নারী, প্রতিবন্ধী ও প্রবীণ করদাতাদের জন্য\r\n রয়েছে আলাদা বুথ। মেলায় করদাতাদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য রাজধানীর \r\nটিএসসি, রামপুরা, বেইলি রোড, মতিঝিল, মিরপুর ও উত্তরা থেকে ১৫টি শাটল বাস \r\nনিয়োজিত রয়েছে।
\r\n
\r\nভবিষ্যৎ আয়কর দাতা সৃষ্টি ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে কর সচেতনতা সৃষ্টির \r\nলক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অন্যতম উদ্ভাবনী পদক্ষেপ ‘কর শিক্ষণ ফোরাম’। \r\nদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের \r\nশিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রতিদিন আয়কর মেলায় আয়োজন করা হচ্ছে ‘কর \r\nশিক্ষন’অনুষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের মেলা পরিদর্শন ও কর বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করার\r\n পর কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
\r\n
\r\nশুক্রবার এ প্রতিযোগিতায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৪০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। 
\r\n
\r\nপ্রতিযোগিতায় ১০জন শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। বিজয়ী প্রথম তিনজন \r\nশিক্ষার্থীকে পুরস্কার হিসেবে প্রাইজবন্ড, সনদপত্র ও বই প্রদান করা হয়। \r\nএছাড়া বিজয়ী ১০জন শিক্ষার্থীকে সনদপত্র ও বই প্রদান করা হয়। পাশাপাশি ঢাকা \r\nমেডিকেল কলেজকে সনদপত্র প্রদান করা হয়। 
\r\n
\r\nশিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ \r\nবিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন \r\nভূইয়া। সূত্র: বাসস

বিশ্বে প্রতিদিন ১০০ কোটি টন খাবার নষ্ট হয় : জাতিসংঘ

প্রকাশিত :  ১৭:৫৩, ২৮ মার্চ ২০২৪

জাতিসংঘের নতুন এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিশ্বে প্রতিদিন প্রায় ১০০ কোটি টনের বেশি খাবার নষ্ট হচ্ছে। যদিও এর বিপরীতে প্রতিদিন অনাহারে থাকছে প্রায় ৮০ কোটি মানুষ।

বুধবার (২৭ মার্চ) জাতিসংঘ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। খাবার অপচয়ের এ ঘটনাকে উল্লেখ করা হয়েছে ‘বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে।

জাতিসংঘের ফুড ওয়েস্ট ইনডেক্স শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের প্রায় ৮০ কোটি মানুষ যখন না খেয়ে আছে, তখন লাখ কোটি ডলার মূল্যের খাবার ময়লার ঝুড়িতে ফেলা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২২ সালে যত খাবার নষ্ট হয়েছে, তার ২৮ শতাংশ নষ্ট হয়েছে রেস্তোরাঁ, ক্যান্টিন ও হোটেলের মতো খাদ্য পরিষেবা ব্যবস্থাগুলোতে। কসাই ও মুদিদোকানে নষ্ট হয়েছে ১২ শতাংশ খাবার। তবে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৬০ শতাংশ খাবার নষ্ট হয়েছে বাসাবাড়িতে। এর পরিমাণ ৬৩ কোটি ১০ লাখ টন।

বাড়িঘরগুলোতে প্রতি বছর যে পরিমাণ খাদ্য নষ্ট হয়, তা এক বছরে বিশ্বে মোট উৎপাদিত খাদ্যের এক পঞ্চমাংশ। জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক প্রকল্প ইউনাইটেড নেশন্স এনভায়র্নমেন্ট প্রোগ্রামের (ইউএনইপি) নির্বাহী পরিচালক ইঙ্গের অ্যান্ডারসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় একটি বৈশ্বিক ট্র্যাজেডি। শুধুমাত্র এই অপচয়ের কারণে প্রতিদিন বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে থাকেন।’

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যের অপচয় কেবল মানুষের আদর্শগত ব্যর্থতা নয়, বরং পরিবেশের জন্যও হুমকি। অপচয়িত বা ফেলে দেওয়া খাবার থেকে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত হয়, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। আমাদের হাতে থাকা তথ্য বলছে, , ফেলে দেওয়া খাবার থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত হয়, বিশ্বে প্রতিদিন বিমান চলাচলজনিত কারণে নির্গত হওয়া গ্রিনহাউস গ্যাসের তুলনায় তা পাঁচগুণ বেশি।

প্রতিবেদনটির তথ্য সংগ্রহ ও তা বিশ্লেষণের কাজে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে র‌্যাপ নামের একটি অলাভজনক গবেষণা সংস্থা। ইউএনইপির কর্মকর্তা ক্লেমেন্টেন ও’কনর এএফপিকে বলেন,‘আমরা এখানে শুধু বাড়িঘরগুলোর তথ্য দিয়েছি। এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে জরিপের ভিত্তিতে। এছাড়া রেস্তোরাঁয় খাদ্য অপচয়ের তথ্য এখানে দেওয়া হয়নি। তাই আমাদের বিশ্বাস, বাড়িঘর ও রেস্তোরাঁয় অপচয় হওয়া খাদ্যের প্রকৃত আরও অনেক, অনেক বেশি।

এখন পর্যন্ত বিশ্বে খাবারের অপচয় নিয়ে জাতিসংঘের সংকলিত দ্বিতীয় প্রতিবেদন এটি। প্রতিবেদনটি তৈরিতে জাতিসংঘকে সহযোগিতা করেছে অলাভজনক সংস্থা ডব্লিউআরএপি। সূত্র: সিএনএন