img

কিডনির পাথর দূর করুন ৫টি ঘরোয়া উপায়ে

প্রকাশিত :  ০৪:৪২, ১৯ নভেম্বর ২০১৮
সর্বশেষ আপডেট: ০৪:৫০, ১৯ নভেম্বর ২০১৮

কিডনির পাথর দূর করুন ৫টি ঘরোয়া উপায়ে

জনমত  ডেস্ক ।। মানব দেহের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি। এটি ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব ভাবাই যায় না। কিডনির কাজ দেহে প্রবেশ করা ক্ষতিকর বিষাক্ত উপাদান ছেকে বের করে দেয়া। দেহে পানি, কেমিক্যাল ও ধাতুর সমতা ঠিক রাখে এই অঙ্গ।

বর্তমান সমেয় কিডনির সবচেয়ে বড় সমস্যা পাথর। অনেকের কিডনিতেই পাথর ধরা পড়ছে।পাথর ছোট হয়ে তা ছড়িয়েও পড়ে।

কিডনিতে পাথর হলে কিডনি ধীরে ধীরে অকার্যকর হয়ে পড়ে।প্রচন্ড ব্যথা হয়ে থাকে।

কিডনিতে পাথর হলে সাধারণ চিকিৎসা হচ্ছে অস্ত্রোপচার করে দেহ থেকে পাথর বের করে দেয়া।

তবে ঘরোয়া উপায়েও কিডনির পাথর বের করা যায়।

লেবুর রস-অলিভ অয়েল

যারা অস্ত্রোপচার ছাড়া সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে কিডনির পাথর থেকে মুক্তি পেতে চান, তারা পাতিলেবুর রস ও অলিভ অয়েলের মিশ্রণ খান।রোজ নিয়ম করে এই মিশ্রণটি খেলে পাথর গলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে যতদিন না স্টোন সম্পূর্ণ গলে যাচ্ছে, ততদিন এটি খেয়েই যেতে হবে।

পর্যাপ্ত পানি

মিনারেলস ও নিউট্রেশন গলিয়ে দিতে কিডনিকে সাহায্য করে পানি। অযাচিত টক্সিন দেহ থেকে বের করে দেয়ার কাজেও অপরিহার্য পানি। যাদের কিডনিতে স্টোন রয়েছে তাদের প্রচুর পানি খাওয়া উচিত। দিনে অন্তত সাত থেকে আট গ্লাস পানি খেতে হবে কিডনির অসুখ থেকে বাঁচতে।

আপেলের রস

আপেলে থাকে সাইট্রিক অ্যাসিড। গরম পানিতে দুচামচ আপেলের রস মিশিয়ে খেলে কিডনির পাথর গলিয়ে দেয়। তারপর মূত্রের সাহায্যে সেটি দেহ থেকে বের করে দেয়। এছাড়া অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দিতেও সাহায্য করে আপেল।

ডালিম

রোজ ডালিম খেলে শরীরে রক্তের পরিমাণ যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনই কিডনির পাথর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

এছাড়া ডালিমে প্রচুর পুষ্টিকর উপাদান থাকে। ফলে স্বাস্থ্যের পক্ষে এটি খুব উপকারী। দেহকে হাইড্রেট করতে এই ফল ভালো কাজ দেয়।

ভুট্টার গুড়া

পানির সঙ্গে ভুট্টার তুষ মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। নিয়মিত এই মিশ্রণ খান। ধীরে ধীরে চলে যাবে কিডনির পাথর। এটি প্রশ্রাবের সমস্যাও দূর করে। 

img

বৃষ্টির সময় নিরাপদে থাকতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১২:৩২, ১৩ মে ২০২৪

ঝড়-বৃষ্টির কাল গ্রীষ্মে বৃষ্টি হবেই। এতে প্রশান্তির পরশ যেমন রয়েছে, তেমনই মুখোমুখি হতে হয় নানা অসুবিধারও। তাই বলে তো নিজের অফিস আর বাসার কাজ থেমে থাকে না। তবে বাসা থেকে কোথাও যাওয়ার লক্ষ্যে বের হওয়ার পর বৃষ্টি শুরু হলে তা মহাবিপদের। না হয় সঠিক সময়ে কাজে পৌঁছানো, না থাকে নিজের পোশাক ঠিক। আবার বৃষ্টির মধ্যেই যত দুর্ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুরক্ষা রাখা জরুরি।

বৃষ্টির সময় নিরাপদে থাকার উপায়সমূহ-

১. বাসা বা বাড়ির বাইরে থাকলে নিরাপদ কোনো জায়গায় থাকা প্রয়োজন। রাস্তায় কিংবা খোলা কোনো জায়গায় কখনোই থাকা যাবে না। প্রয়োজনে নিকটবর্তী কোনো নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিন।

২. বৃষ্টি বা ঝড় হলে তখন গাড়ি চালানো একদমই উচিত নয়। এ সময় রাস্তার পাশে নিরাপদ জায়গা দেখে গাড়ি থামিয়ে সেখানে আশ্রয় নিন। আর অবশ্যই গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখুন।

 ৩. রাস্তায় যদি বৃষ্টির সময় কোনো খোলা তার বা রাস্তায় তার পড়ে থাকতে দেখেন তাহলে তার আশপাশে যাবেন না। সেই তার যদি পানির স্পর্শে থাকে তাহলে সেই পানি থেকেও সাবধান। সম্ভব হলে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দিন। আর এ সময় যদি রাস্তা পারাপার হতে হয় তাহলে অবশ্যই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করবেন।

৪. বাড়ির ছোট সন্তানদের ভেতরে রাখুন। তাদের কোনোভাবেই বাইরে যেতে দিবেন না।

৫. বৃষ্টির সময় কোনো গাছের নিচে দাঁড়ানো উচিত নয়। এ সময় গাছের ডাল ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

৬. বাসায় বা বাড়ি থাকলে টর্চ লাইট, হারিকেন বা আলোর বিকল্প উপায় রাখুন। বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ বিপর্যয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৭. গ্রীষ্ম বা বর্ষার সময় মোবাইল ফোনে সব সময় যথেষ্ট চার্জ রাখুন। যাতে করে যেকোনো প্রয়োজনে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

৮. বাসা বা বাড়ির বাইরে থাকলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। কেননা, মোবাইল ফোন থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকে।