নবাগত মার্কিন রাষ্ট্রদূত

img

পূর্বসূরিদের কাছ থেকে অনেক কিছু জেনেছি, সেপথেই হাঁটতে চাই

প্রকাশিত :  ০৫:১২, ১৯ নভেম্বর ২০১৮
সর্বশেষ আপডেট: ১০:২৭, ১৯ নভেম্বর ২০১৮

পূর্বসূরিদের কাছ থেকে অনেক কিছু জেনেছি, সেপথেই হাঁটতে চাই

জনমত রিপোর্ট  ।। বাংলাদেশের নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের  চান বলে জানিয়েছেন নবনিযুক্ত মার্কিন কূটনীতিক আর্ল রবার্ট মিলার। 

রবিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে সেগুনবাগিচা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতে মার্সিয়া ব্লুম বার্নিকাটের স্থলাভিষিক্ত হওয়া এই নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত।

রবার্ট মিলার বলেন, ‘আমি আমার পূর্বসূরিদের কাছ থেকে বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছি। তারা এখানকার অনেক ঘটনার সাক্ষী।’

বাংলাদেশের অনেক ইতিবাচক দিক রয়েছে উল্লেখ করে রবার্ট মিলার বলেন, ‘পূর্বসূরিদের কাছ থেকে লব্ধ জ্ঞান আমার চলার পথে সহায়ক হবে।’

‘আমি তাদের দেখানো পথেই হাঁটতে চাই। আমাদের উন্নয়ন অংশীদার বাংলাদেশকে আরো সমৃদ্ধকরণে কাজ করতে আমি প্রস্তুত। ’

এর আগে রবিবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি এসে পৌঁছান। এ সময় ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাকে স্বাগত জানান। আজ নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করবেন বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।

চলতি বছরের ১৭ জুলাই বতসোয়ানায় দায়িত্ব পালনরত এই মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনীত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মিলার ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে কনস্যুল জেনারেল ছিলেন। তিনি নয়াদিল্লি, বাগদাদ ও জাকার্তায় আঞ্চলিক নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও কূটনীতিক নিরাপত্তা সেবা বিষয়ক মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছেন মিলার।

বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাটের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে। বার্নিকাট ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়রিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলাকালে ঢাকায় যোগদান করেন। তার আগে ২০১৪ সালের ২২ মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ১৫তম রাষ্ট্রদূত হিসেবে মার্সিয়া বার্নিকাটকে মনোনীত করেন। 

img

চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চাইলেন শেখ হাসিনা

প্রকাশিত :  ১১:১০, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১১:১২, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগের পাশাপাশি  হাসপাতাল ও চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডকে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ একটি নিকট প্রতিবেশী হিসেবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বন্ধুত্ব ঐতিহাসিক, ভাষাগত এবং অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের। দুই দেশের মধ্যে উষ্ণ সৌহার্দ্যপূর্ণ সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে, যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শুক্রবার (এপ্রিল ২৬) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশি চিকিৎসা কর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি তাকে (থাই প্রধানমন্ত্রী) বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাবও দিয়েছিলাম।

দ্বিপক্ষীয় ও একান্ত বৈঠকের পরে, পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি-একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি আগ্রহপত্র (এল ও আই) - স্বাক্ষরিত হয় দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে।   

বৈঠকে দুই নেতা পারস্পরিক ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রাণবন্ত অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে আমরা থাইল্যান্ডকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গতিশীল অংশীদার হিসেবে দেখছি।

বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়ে, তারা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বর্তমান আয়তন বাড়ানোর জন্য দীর্ঘ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।  

শেখ হাসিনা বলেন, থাই প্রধানমন্ত্রীকে (থাভিসিন) বাংলাদেশে বিনিয়োগ সহজিকরণ এবং ব্যবসা সহজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছি। থাই পক্ষকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কগুলোতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগের এবং বিশেষভাবে একটি এসইজেড নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি।

দুই পক্ষ ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য মন্ত্রীরা এই বিষয়ে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন (এলওআই)।

থাই এবং বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মধ্যে সহজ যোগাযোগের সুবিধার্থে, ঢাকা এবং ব্যাংকক অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ইতোমধ্যে কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য একটি চুক্তি রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জন্য থাইল্যান্ড জ্বালানি সহযোগিতায় নিয়োজিত একটি সম্ভাব্য অংশীদার। জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে, শক্তি সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর এখানে স্বাক্ষরিত দ্বিতীয় নথি।

শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তার বিষয়ে তৃতীয় সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, থাই জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সেরা পর্যটন অনুশীলন থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য, আমরা পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি।

তিনি বলেন, জনগণের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, দুই পক্ষ কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ করেছে।

সামুদ্রিক যোগাযোগের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, রণং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি শিপিং লাইন নিয়ে দুই পক্ষ আলোচনা করেছে।  

থাই পক্ষকে দুই দেশের মধ্যে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বিশেষ করে কৃষি, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

দুই প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক কাঠামোর অধীনে আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করেছেন। চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শীর্ষ সম্মেলনে বর্তমান সভাপতি ও আয়োজক হিসেবে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের কাছে সভাপতিত্ব হস্তান্তর করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে বিমসটেক মোট ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন জনসংখ্যার আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি। রোহিঙ্গা সংকটের একটি টেকসই সমাধান অর্জনের জন্য বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছে।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনকে বাংলাদেশে সফরেরও আমন্ত্রণ জানান।

এর আগে গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন স্বাগত জানান এবং এরপর সেখানে তাকে লাল গালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাই সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী গার্ড পরিদর্শন করেন।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে যান।

জাতীয় এর আরও খবর