img

দেশের সবচেয়ে বড় দীপাবলি উৎসব বরিশালে

প্রকাশিত :  ১৩:১১, ১৩ নভেম্বর ২০২০

দেশের সবচেয়ে বড় দীপাবলি উৎসব বরিশালে

জনমত ডেস্ক : শুক্রবার বরিশালে অনুষ্ঠিত হল দেশের সর্ববৃহৎ দীপাবলি উৎসব। অন্যান্য বছর ব্যাপক সমারোহে দীপাবলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও করোনার কারণে এবার বরিশাল নগরীর কাউনিয়া মহাশ্মশানে দীপাবলি উৎসব হচ্ছে সংক্ষিপ্ত পরিসরে।

দীপাবলি উৎসবের জন্য মহাশ্মশানের মঠসহ সমাধিস্থলগুলো সাজানো হয়েছে নতুন রূপে। উৎসবে প্রয়াতদের সমাধির কাছে প্রার্থনাসহ তাদের পছন্দের খাবার সাজিয়ে রাখবেন তাদের স্বজনরা। করোনার কারণে এবার তোরণ নির্মাণ, আলোকসজ্জা এবং মেলার আয়োজন করেনি কর্তৃপক্ষ।

সুষ্ঠু-সুন্দরভাবে দীপাবলি উৎসব সম্পন্ন করার জন্য নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে মহাশ্মশান রক্ষা কমিটি। এদিকে উৎসব নির্বিঘ্ন এবং শান্তিপূর্ণ করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে পুলিশ।

প্রতি বছর কালীপূজার আগের দিন ভূত-চতুর্দশীর পুণ্যতিথিতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা তাদের প্রয়াত স্বজনদের সমাধিতে দীপ জ্বেলে, চণ্ডীপাঠ করে এবং তাদের পছন্দের খাবার প্রদর্শন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রয়াত স্বজনদের উদ্দেশে প্রার্থনার অনুষ্ঠান পরিণত হয় উৎসবে।

প্রতি বছর এ দিনটির অপেক্ষায় থাকেন প্রয়াতদের স্বজনরা। দেশ-বিদেশ থেকে হাজারও পুণ্যার্থী আসেন মহাশ্মশানে। শুক্রবার সকাল ১০টার পর থেকে লগ্ন অনুযায়ী শুরু হয় দীপাবলির আনুষ্ঠানিকতা।

নগরীর কাউনিয়ায় প্রায় ছয় একর জমির উপর গড়ে ওঠা মহাশ্মশানে প্রায় ৬১ হাজার সমাধি রয়েছে। ভারত উপমহাদেশে এতবড় সমাধিস্থল আর নেই।

বরিশাল মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার বলেন, করোনার প্রকোপ ঠেকাতে এবার সংক্ষিপ্ত পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে শ্মশান দীপাবলির। নির্মাণ করা হয়নি তোরণ। করা হয়নি আলোকসজ্জা। মেলাও আয়োজন করা হয়নি। এবার মাস্ক ব্যতীত কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না মহাশ্মশানে। জীবাণুনাশক দুটি টানেল বসানো হয়েছে শ্মশানের প্রবেশ গেটে।

তিনি জানান, সামাজিক দূরত্ব রাখার জন্য সার্বক্ষণিক করা হচ্ছে মাইকিং। নিরাপত্তার জন্য স্থাপন করা হয়েছে ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা।

এদিকে সংক্ষিপ্ত পরিসরে হলেও দীপাবলি উৎসব নির্বিঘ্ন এবং শান্তিপূর্ণ করতে সব বাহিনীর সমন্বয়ে নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. খাইরুল আলম। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং র্যা ব উৎসবকালীন সার্বক্ষণিক মহাশ্মশানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

img

শেষ দিনে ভিসার অপেক্ষায় ৩৭ শতাংশ হজযাত্রী

প্রকাশিত :  ১০:৫৯, ১১ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৪, ১১ মে ২০২৪

হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করার জন্য দ্বিতীয় দফায় আবেদনের জন্য বাড়ানো সময় শেষ হচ্ছে আজ শনিবার।  কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়নি। 

শনিবার সকালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

হজ এজেন্সি মালিক ও ধর্ম মন্ত্রণালয় আশা করছে, শনিবারের মধ্যে বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে। অল্প কিছু বাকি থাকলে, সেটাও দু-একদিনের মধ্যে করার জন্য সময় পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না- এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই।

ধর্ম মন্ত্রণালয় এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল । এরপর সেটি ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সবশেষ ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিন পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন ৬ হাজার ৩৯২ জন যাত্রী। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে সাতটি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ২ হাজার ৭৬৯ জন যাত্রী। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ৯টি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ৩ হাজার ৬২৩ জন হজযাত্রী। 

এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৬৬৮ জন, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১টি ফ্লাইটে ৪৪৫ জন, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৫১০ জন সৌদি আরব গেছেন। দুই দিনে তিন বিমান সংস্থার ১৬টি ফ্লাইটে ৬ হাজার ৩৯২ হজযাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন।

বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। কোনো অভিযোগ ছাড়াই যাত্রীরা ঢাকা ত্যাগ করছেন।

এদিকে বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে যাদের ভিসা হয়নি তারা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। যদিও ধর্মমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন ভিসা নিয়ে জটিলতা কেটে যাবে। ২৫৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সির অনেকেই প্রথম দফার বর্ধিত সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ না করায় দ্বিতীয় দফা সময় বাড়ানো হয়েছে।