img

এই শীতে ঠোঁট ফাটলে কী করবেন

প্রকাশিত :  ০৮:১০, ২১ নভেম্বর ২০১৮

এই শীতে ঠোঁট ফাটলে কী করবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক: দেখতে দেখতে চলে আসছে শীত । শীত অনেকেরই পছন্দের ঋতু হলেও শীতে বিড়ম্বনাও কম পোহাতে হয়না। শীতের বিড়ম্বনার মধ্যে অন্যতম হল ঠোঁট ফাটা। ঠোঁট পূর্ণ শীতে যতটা না ফাটে তার চেয়ে বেশি ফাটে শীতের শুরুতে আর শেষে। শরৎ থেকেই তাই নিতে হবে ঠোঁটের যত্ন।
১. ঠোঁটের যত্নে গোলাপের পাপড়ি দারুণ কাজ করে। গোলাপের পাপড়ি ঠোঁটে ব্যব্হার করতে প্রথমে আধা কাপ দুধে ৫/৬টি গোলাপের পাপড়ি সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন পাপড়ি বেটে সামান্য দুধ মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২. লেবু ও মধুও ঠোঁটের যত্নে দারুণ কাজ করে। ১ টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে আধা চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ঠোঁটে লাগান। পরিষ্কার ঠোঁটে মিশ্রণটি লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে লিপবাম লাগান।
৩. ঠোঁট ফাটা বন্ধ করতে গ্লিসারিসেন তুলনা হয়না। একটি লেবুর রসের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে মুখবন্ধ বয়ামে রেখে দিন। চাইলে ফ্রিজে রাখতে পারেন। ঠোঁট শুষ্ক হয়ে গেলে ভ্যাসলিনের মতো ব্যবহার করতে পারেন মিশ্রণটি। ঠোঁট নরম ও কোমল হবে। ১ সপ্তাহ পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে লেবু ও গ্লিসারিনের এই মিশ্রণ।
৪. ঠোঁটের যত্নে লেবু ও মধুর ব্যব্হার আগেই জেনেছেন। লেবু ও মধুর সাথে যোগ করতে পারেন কফিও, সঙ্গে অবশ্য একটু চিনিও লাগবে। আধা চা চামচ কফি পাউডারের সঙ্গে আধা চা চামচ মধু, ১ চা চামচ চিনি ও অর্ধেকটি লেবুর রস মেশান। মিশ্রণটি ঠোঁটে ঘষুন ৫ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্যাকটি মরা চামড়া দূর করার পাশাপাশি নরম ও মসৃণ করবে ঠোঁট।

img

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের সম্পর্ক

প্রকাশিত :  ১৩:৪৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫৭, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক। প্রতি রাতে যারা ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্যা ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে জামা নেটওয়ার্ক ওপেন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের বরাতে বলা হয়েছে, যারা প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার কম সময় ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৬ শতাংশ। এই ক্ষতি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেও পূরণ করা যাবে না।

যুক্তরাজ্যের প্রায় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের উপর গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রাতে সাত ঘণ্টার বেশি ঘুমান তাদের তুলনায় যারা তিন থেকে চার ঘণ্টা ঘুমান তাদের ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা ৪১ শতাংশ বেশি। যুক্তরাজ্যে আনুমানিক ৪.৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং ১৩.৬ মিলিয়ন মানুষ তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইপ-টু ডায়াবেটিস শরীরের চিনি বা গ্লুকোজ প্রক্রিয়ার ক্ষমতায়কে প্রভাবিত করে এবং শরীরে ইনসুলিন শোষণে বাধা দেয়; যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। সময়ের সাথে সাথে এটি গুরুতর শারীরিক ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে স্নায়ু এবং রক্তনালির।

 যুক্তরাজ্যের বায়োব্যাঙ্কে সংরক্ষিত ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুসের চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার ১২ বছরের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়েছে।

এতে গবেষকরা দেখেছেন, যারা স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন, সপ্তাহে দুইবারের কম লাল মাংস, প্রতিদিন চার চামচের বেশি শাকসবজি, প্রতিদিন দুই বা তিন টুকরার বেশি ফল গ্রহণ করেন এবং সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাছ খান, এমন ৭,৯০৫ জনের টাইপ-টু ডায়াবেটিস দেখা দিয়েছে।

সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গবেষক ক্রিশ্চিয়ান বেনেডিক্ট বলেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস মেনে চলা ব্যক্তিদের টাইপ-টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ২৫ শতাংশ কম এবং যারা এই খাদ্যাভাস মেনে চলেছেন কিন্তু ৬ ঘণ্টার কম ঘুমিয়েছেন তাদের আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা বেশি।