img

শীতের পরম বন্ধু হোক গ্লিসারিন

প্রকাশিত :  ১৫:২৬, ১৮ নভেম্বর ২০২০

শীতের পরম বন্ধু হোক গ্লিসারিন

জনমত ডেস্ক : শীতের পরম বন্ধু হোক গ্লিসারিনসৌন্দর্য স্থায়ী রাখেতে নিজের দিকে খেয়াল রাখাটা জারুরি। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক নিয়মেই ত্বক নষ্ট হতে থাকে। তবে সঠিক যত্নে সৌন্দর্য ধরে রাখা যায় বহুদিন। 

সৌন্দর্যচর্চায় সব সময় নিরাপদ উপাদান ব্যবহার করার অভ্যাস কম-বেশি সবার থাকা উচিত। আর সৌন্দর্য রক্ষার মূল চাবিকাঠি নিজের প্রতি সচেতনতা। সৌন্দর্য সচেতন সবাই চান তার সৌন্দর্য যাতে স্থায়ী থাকে।

শীত আসতে শুরু করেছে। এ সময়ে রূপচর্চার উপকরণেও কিছুটা পরিবর্তন আনতে হবে। বাজারে এখন অনেক ধরনের প্রসাধনী পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু সেসব প্রসাধনী সবই যে ত্বকের জন্য ভালো তা কিন্তু নয়। কিন্তু তারপরও সবার ঝোঁক থাকে বাজারে ভালো ভালো প্রোডাক্টের ওপর।

তবে এসব প্রোডাক্টের প্রসাধনী ব্যবহার করলে যে আপনার উপকার করবে তা কিন্তু নয়। অনেক সময় নরমাল প্রোডাক্টের প্রসাধনী আপনাকে শীতের রুক্ষতা থেকে রক্ষা করতে পারে। ঠিক তেমন একটি উপাদান হল গ্লিসারিন। আর গ্লিসারিন কীভাবে ত্বক ও চুলে ব্যবহার করবেন তা নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন আকাঙ্খা’স গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডের স্বত্বাধিকারী

গ্লিসারিন হল একটি অর্গানিক কমপাউন্ড। এটা তৈরি হয় অক্সিজেন, হাইড্রোজেন ও কার্বন দিয়ে। এ গ্লিসারিন ত্বক ও চুলের বিভিন্ন প্রোডাক্টে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন অ্যান্টিএজিং ক্রিম, নাইট ক্রিম এবং বিভিন্ন ধরনের হেয়ার মাস্কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। গ্লিসারিন স্কিন ফ্রেন্ডলি উপাদান। যা কিনা আপনার ত্বকের পাশাপাশি চুলেরও উপকারী বন্ধু হিসেবে কাজ করে। গ্লিসারিন সারা বছর ব্যবহারের প্রয়োজন না হলেও শীতে আপনার রূপচর্চার ভালো বন্ধু হতে পারে। স্বচ্ছ বোতলে ভরা এ গ্লিসারিন থাকে। তবে এর ব্যবহার জানা থাকলে খুব সহজেই ঘরে বসে আপনি গ্লিসারিন ব্যবহারের ফলে এর উপকারিতা নিজেই অনুধাবন করতে পারবেন।


টোনার

এক কাপ গ্লিসারিন ও সমপরিমাণ গোলাপ জল মিশিয়ে নিয়ে টোনার তৈরি করে নিতে পারেন। এটা স্প্রে বোতলে ভরে রেখে দিতে পারেন। যখনই মুখ পরিষ্কার করবেন তখনই নরম টাওয়াল দিয়ে মুছে নিয়ে টোনার স্প্রে করে নেবেন। টোনিংয়ের পাশাপাশি এটি ময়েশ্চারাইজারেরও কাজ করবে।


পা ফাটা রোধে

পা ফাটার সমস্যা কম-বেশি সবারই হয়ে থাকে। তবে যাদের হয় শীতে তাদের পা আরও বেশি ফাটে, খসখসে হয়ে যায়, দেখতেও অসুন্দর লাগে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে উষ্ণ গরম পানিতে লবণ দিয়ে ৫ মি. পা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর শুকনো করে মুছে হাতের তালুতে গ্লিসারিন নিয়ে পায়ে ম্যাসাজ করে নিন। তারপর কটনের মোজা পরে নিন। এভাবে প্রতিদিন রাতে যদি গ্লিসারিন ব্যবহার করা হয় তাহলে পা ফাটা সমস্যা থাকবে না।


ঠোঁটের যত্নে

শীতকালে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। এর ফলে ঠোঁট ফাটতে শুরু করে। তাই ১ চা-চামচ গ্লিসারিন, ১ চা-চামচ মধু মিশিয়ে নিয়ে বোতলে ভরে রেখে দিন। দিনে ২-৩ বার এ মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে ম্যাসাজ করে নিন বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই ম্যাসাজ করুন ১ বার। তবে যখনই ম্যাসাজ করবেন ২-৩ মি. রাখার পর ভেজা রুমাল দিয়ে মুছে ফেলুন। যদি সঠিকভাবে ঠোঁটের যত্ন নেয়া হয় তাহলে সারা শীতে ঠোঁটের শুষ্কতা ও ঠোঁট ফাটার সমস্যা থাকবে না।


চুলের আগা ফাটা রোধে গ্লিসারিন ব্যবহার

রাতে চিরুনি দিয়ে ভালো করে চুল আঁচড়িয়ে নিন। এরপর চুলের গোড়া বাদ দিয়ে আগা পর্যন্ত গ্লিসারিন দিয়ে তেলের মতো ম্যাসাজ করে নিতে হবে। যার যার চুলের পরিমাণ অনুযায়ী গ্লিসারিন নিতে হবে। এভাবে সারারাত রেখে সকালে শ্যাম্পু করে নিন। এতে করে চুলের আগা ফাটা সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং চুলের রুক্ষতাও থাকবে না।


img

বাচ্চাদের হিট র‍্যাশে করণীয়

প্রকাশিত :  ১২:৪৩, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

আপনার ছোট্ট সোনামণিকে একদিন গোসল করাতে নিয়ে হঠাৎ লক্ষ্য করলেন যে তার পিঠে এবং পেটে লাল লাল র‍্যাশ বা ফুসকুড়ির মত দেখা যাচ্ছে। আপনি উদ্বিগ্ন হবেন এটাই স্বাভাবিক কিন্তু আপনার এটা জানা থাকা উচিত যে ইতোমধ্যেই প্রকৃতিতে গরম আবহাওয়া বিরাজ করা শুরু হয়ে গেছে। অতিরিক্ত গরমের কারণে শিশুর ত্বকে লাল লাল র‍্যাশ দেখা দেয়। চিকিৎসকরা এর নাম দিয়েছেন হিট র‍্যাশ।

গরমের কারণে ঘাম হলে র‍্যাশের স্থানে জ্বালা হয়ে থাকে। ফলে শিশুরা আরও বেশি অস্বস্তিতে ভোগে এবং কান্নাকাটি করে। একেবারে ক্ষুদে থেকে স্কুলগামী, যেকোনো বয়সী শিশুরই দেখা দিতে পারে হিট র‍্যাশের সমস্যা। জেনে নিন এই গরমে শিশুর হিট র‍্যাশ হলে করণীয়-

চুলকাতে দেবেন না

হিট র‍্যাশের স্থানে নখের স্পর্শ যেন না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। কারণ নখের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই হিট র‍্যাশ হলে শিশু যেন সেখানটাতে না চুলকায় সেদিকে নজর রাখবেন। ঠান্ডা পানিতে নরম ও পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে আক্রান্ত স্থানে আলতো করে মুছে দিতে পারেন। এতে শিশু আরাম পাবে।

পাউডার ব্যবহার করবেন না

অনেকে গরমে শিশুর শরীরে পাউডার ব্যবহার করেন। এটি একেবারেই ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাউডার ব্যবহার করলে তা ঘাম নিঃসরণের পথ বন্ধ করে দেয়। ফলে সমস্যা না কমে আরও বাড়তে থাকে। তাই ঘামাচিনাশক পাউডার ব্যবহার করে সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে বরং শিশুর কষ্ট আরও বেড়ে যায়।

হালকা পোশাক

বড়দের পাশাপাশি ছোটদেরও হালকা ধরনের পোশাক পরার অভ্যসা করতে হবে। এতে গরমে সুস্থ থাকা সহজ হবে। পোশাকের জন্য বেছে নিতে পারেন সুতির কাপড়। তবে এসির নিচে বেশি সময় থাকলে শিশুর গায়ে একটু মোটা পোশাক রাখুন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসের মাধ্যমে ঘাম শুকিয়ে নিলে এবং ত্বক পরিষ্কার রাখলে ঘাম জমার ভয় থাকে না। ফলে আশঙ্কা কমে হিট র‍্যাশের। ছোট্ট শিশুকে অযথা চাদর বা কাঁথা দিয়ে ঢেকে রাখবেন না। এতে ঘামের কারণে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।

প্রতিদিন গোসল

অনেকে শিশুদের প্রতিদিন গোসল করান না। এমনটা করা যাবে না। এই গরমে শিশুকে প্রতিদিন গোসল করান। শিশু যদি স্কুলে যায় তবে বাড়ি ফেরার সঙ্গে সঙ্গে তাকে গোসল করাতে নিয়ে যাবেন না। প্রথমে ঘাম মুছে দিন। এরপর তাকে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে বলুন। শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে তারপর গোসল করান। গোসলের সময় শিশুর ত্বকের উপযোগী সাবান ব্যবহার করুন।

প্রয়োজন ছাড়া রোদে নয়

এখন রোদের তীব্রতা অনেক বেশি। তাই প্রয়োজন ছাড়া শিশুকে রোদে বের হতে দেবেন না। বিশেষ করে সকাল দশটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত। নয়তো হিট র‍্যাশের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। এছাড়া কোনো মলম বা ওষুধ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।