img

হাজতবাসে থেকেই কোরআন পড়তে চান লন্ডনের মসজিদে হামলাকারী হরটন

প্রকাশিত :  ০৭:০০, ২১ নভেম্বর ২০২০

হাজতবাসে থেকেই কোরআন পড়তে চান লন্ডনের মসজিদে হামলাকারী হরটন

জনমত ডেস্ক :  লন্ডনে মসজিদের ইমামকে মুসল্লিদের সামনে ছুরি দিয়ে আঘাত করা যুবক হরটন নিজের শাস্তি হিসেবে কারাগারেই থাকতে চান। সেখানে থেকে যেন কোরআনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠ করার সুযোগ পান, এমনটাই ইচ্ছা তার।

লন্ডনের রিজেন্ট পার্কে অবস্থিত সেন্ট্রাল মসজিদের ইমাম রাফাত ম্যাগলাদকে ছুরিকাঘাত করে শারীরিকভাবে জখমের কথা স্বীকার করেন ড্যানিয়েল হরটন।

আকস্মিক ঘটনায় ম্যাগলাদ আহত হয়ে মসজিদ থেকে বেরিয়ে পড়েন। তাঁর আশংকা হচ্ছিল যে যুবক তাঁকে আবারো আঘাত করতে পারেন।

হামলার আগে ধারণকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, লাল জ্যাকেট পরা হরটন নামাজ আদায়ের স্থানে বসে উপাসনা করছে।

চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি লন্ডনের সেন্ট্রাল মসজিদের ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ রক্তাক্ত জায়নামাজ দেখে। সেখানে একটি ব্লেডও পাওয়া যায়, যা হরটন আঘাতের জন্য নিয়ে গিয়েছিল। হরটনের স্থায়ী নিবাস সম্পর্কে জানা যায়নি। গত ১৬ নভেম্বর সাউথওয়ার্ক ক্রাউন আদালতে তাঁর শুনানি শুরু হয়।

হরটনের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। এদিকে, আজ হরটন নিজের আইনজীবীর কাছে আবেদন করেন, যেন তাকে হাসপাতালের বদলে কারাগারে নেওয়া হয়।

আইনজীবী সাম ব্লোম কোপার বলেন, ‘হরটনের সঙ্গে আমার সীমিত কথা থেকে বোঝা যায়, তিনি শাস্তি পেতে চান। তার কৃতকর্মের জন্য তিনি শাস্তি পেতে আগ্রহী। তিনি জেলেই যেতে চান। মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে চান না। শুধু তাই নয়, তিনি জেলে গিয়ে কোরআনও পড়তে চান। তিনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো কোরআন পড়তে চান।’

হামলার শিকার মাগদাল এখনও অসুস্থ। ক্ষতস্থানের জন্য তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। তাঁর শরীরে এখনও দুই থেকে তিন ইঞ্চি পরিমাণ স্থানে ক্ষত আছে। কারো সাহায্য ছাড়া স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারছেন না। নামাজের ইমামতি করা এখন আর তার পক্ষে সম্ভব নয়।

আগামী ১০ ডিসেম্বর হরটনের পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। তাঁর মানসিক অবস্থা বিবেচনা করে কারাগারে পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান বিচারপতি ডেবোরাহ টেইলর।

img

শেষ দিনে ভিসার অপেক্ষায় ৩৭ শতাংশ হজযাত্রী

প্রকাশিত :  ১০:৫৯, ১১ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৫৪, ১১ মে ২০২৪

হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করার জন্য দ্বিতীয় দফায় আবেদনের জন্য বাড়ানো সময় শেষ হচ্ছে আজ শনিবার।  কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়নি। 

শনিবার সকালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনো ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

হজ এজেন্সি মালিক ও ধর্ম মন্ত্রণালয় আশা করছে, শনিবারের মধ্যে বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে। অল্প কিছু বাকি থাকলে, সেটাও দু-একদিনের মধ্যে করার জন্য সময় পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না- এমনটা হওয়ার সুযোগ নেই।

ধর্ম মন্ত্রণালয় এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্নের নির্দেশনা দিয়েছিল । এরপর সেটি ৭ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সবশেষ ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই দিন পবিত্র হজ পালন করতে সৌদি আরব গেছেন ৬ হাজার ৩৯২ জন যাত্রী। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পবিত্র হজ পালনে বাংলাদেশ থেকে সাতটি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ২ হাজার ৭৬৯ জন যাত্রী। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ৯টি ফ্লাইটে সৌদি আরব গেছেন ৩ হাজার ৬২৩ জন হজযাত্রী। 

এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৬৬৮ জন, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১টি ফ্লাইটে ৪৪৫ জন, ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সে চারটি ফ্লাইটে ১ হাজার ৫১০ জন সৌদি আরব গেছেন। দুই দিনে তিন বিমান সংস্থার ১৬টি ফ্লাইটে ৬ হাজার ৩৯২ হজযাত্রী ঢাকা ছেড়েছেন।

বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। কোনো অভিযোগ ছাড়াই যাত্রীরা ঢাকা ত্যাগ করছেন।

এদিকে বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে যাদের ভিসা হয়নি তারা উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। যদিও ধর্মমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন ভিসা নিয়ে জটিলতা কেটে যাবে। ২৫৯টি বেসরকারি হজ এজেন্সির অনেকেই প্রথম দফার বর্ধিত সময়ের মধ্যে ভিসার কার্যক্রম শেষ না করায় দ্বিতীয় দফা সময় বাড়ানো হয়েছে।