img

চুল জটহীন ও মসৃণ রাখবেন যেভাবে

প্রকাশিত :  ১৪:১০, ২৩ নভেম্বর ২০২০

চুল জটহীন ও মসৃণ রাখবেন যেভাবে

জনমত ডেস্ক : চুলে রং, দীর্ঘদিন হেয়ার ড্রায়ারের ব্যবহার, কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট, ব্লিচ বা নিয়মিত হেয়ার স্প্রের প্রয়োগের ফলে চুলে জট লাগে। আবার পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল না পেলে, যত্নের অভাবেও চুল নিষ্প্রাণ হয়। চুলে গরম পানি দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া খারাপ আবহাওয়া ও দূষণের সংস্পর্শে এলে চুলে যে চিটচিটে ভাব তৈরি হয়, তার থেকেও জট পাকিয়ে যায়। তাই অবিন্যস্ত চুল বশে আনতে কী করবেন? চলুন জেনে নেয়া যাক-

১. আমন্ড অয়েল ও ডিমের প্যাক ফিরিয়ে আনে চুলের হারানো জেল্লা। মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে চল্লিশ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন।

২. নারকেল তেল ও ভিটামিন ই মিশিয়ে মাসাজ করুন মিনিট পনেরো। চল্লিশ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন।

৩. জট কাটাতে পাকা কলা চটকে, মধু ও নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টা। বৃষ্টিতে ভিজলে চুলের ক্ষতি থেকেও রক্ষা করে এই প্যাক।

৪. খানিকটা মেথি রাতে ভিজিয়ে, পরদিন ছেঁকে সেই পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। বাড়তি তৈলাক্ত ভাব পলকে উধাও।

৫. চুল নষ্ট হওয়ার আগেই নারকেলের দুধ হালকা আঁচে গরম করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে আধ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন।

৬. অবাধ্য অবিন্যস্ত চুলে অ্যালোভেরা জেল দারুণ কাজ করে। এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে নারকেল তেল, অলিভ বা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন।

৭. তিন চামচ টক দইয়ের সঙ্গে এক চামচ মধুর মিশ্রণ নিয়মিত লাগালেও জট উধাও।

তেলের সঙ্গে চুলের বন্ধুত্ব নিবিড় না হলে জটের সমস্যা থেকে রেহাই নেই। নিয়মিত নারকেল তেলের সঙ্গে আমন্ড অয়েল হালকা গরম করে লাগিয়ে শাওয়ার ক্যাপ বা উষ্ণ তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখুন গোসলের আগ পর্যন্ত। শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনারের অল্প সাহচর্যই চুল মসৃণ ও পেলব করে, জটও প্রতিরোধ করে। চুল ধোয়ার পরে তোয়ালে দিয়ে চেপে চেপে চুল শুকিয়ে নিন। ভেজা চুল নরম থাকে, আঁচড়ালে চুল ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কার থাকে। চুল শুকিয়ে আঁচড়ান। জট ছাড়ানোর নিয়ম, চুলের নীচ থেকে শুরু করা। চুল শুকিয়ে এলে বড় দাঁতের কাঠের চিরুনির সাহায্যে জট ছাড়ান। চুলের আগা নিয়মিত ট্রিম করলে জট কম পড়ে। বৃষ্টিতে ভিজলে আবার গোসল। ব্যস্ততার মধ্যেও সময় দিন চুলের যত্নে। চুল হবে যেন বিদিশার নিশা।

img

কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১০:৩১, ০৯ মে ২০২৪

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কেবল বয়স্কদের থাকে এ ধারণাটি সঠিক নয়। অল্প বয়সের মানুষের মধ্যে রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে। অপেক্ষাকৃত ২০ থেকে ৪০ বছরের কমেও এটি হতে পারে। দেশের অল্প বয়সী জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশ পুরুষ আর ৯ শতাংশ নারী। 

অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ার পেছনে তরুণ প্রজন্মের কিছু বদভ্যাস দায়ী। অতি লবণযুক্ত ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, ওজন বৃদ্ধি ও কায়িক শ্রমের অভাব অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই তরুণদের ৬৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপের কোনো উপসর্গ নেই।

চিকিৎসকেরা বলেন, রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে মানেই একই সঙ্গে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকিও। অল্প বয়সেই কোনও গুরুতর রোগের আশঙ্কা এড়িয়ে চলতে যে নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন: 

ব্যস্ততার মধ্যে কিছুটা সময় বের করে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত চার দিন সাইকেল চালানো, সাঁতার বা যে কোনও খেলাধুলো করতে পারলে ভালো। এছাড়া, সকালে ঘুম থেকে উঠে, বিকেলে ও রাতে খাবার পরে হাঁটাহাঁটি করতে পারলে স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী। 

ছোট থেকেই প্রোটিন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো। পাশাপাশি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। না হলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এই উপাদানগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।  

বয়স কম হলেও নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে হবে। বিশেষ করে যদি পরিবারে এমন কোনও রোগ থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে সময় থাকতেই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। 

তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।