img

ফাইজার উৎপাদিত ভ্যাকসিনের পরিবহন শুরু

প্রকাশিত :  ০৭:৪২, ২৮ নভেম্বর ২০২০

ফাইজার উৎপাদিত ভ্যাকসিনের পরিবহন শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) ছাড়পত্র পাওয়ার পর করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা পরিবহন শুরু করে ফাইজার।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটের মাধ্যমে এ টিকা পরিবহন করে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিটি। তবে গন্তব্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ খবর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

গত সপ্তাহে নিজেদের উৎপাদিত টিকার ৯৫ শতাংশ কার্যকর বলে দাবি করে ফাইজার। এরপর এটির অনুমোদনের জন্য এফএএ’র কাছে আবেদন করে কোম্পানিটি। ফাইজারের এ টিকাটি সংরক্ষণ করতে হবে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তারও কম তাপমাত্রায়। সে শর্ত নিশ্চিত করার পর ফ্লাইটটি অনুমতি পায়।

করোনা প্রতিরোধে টিকা সরবরাহ ও বিতরণ নেটওয়ার্কে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে এ ঘটনাকে। তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সংবাদমাধ্যমকে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি ফাইজার কিংবা ইউনাইটেড এয়ারলাইনস।

এদিকে টিকার প্রথম চালানের ফ্লাইটটি দেশীয় নাকি আন্তর্জাতিক ছিল সেটি জানা যায়নি।

২৪ নভেম্বর এফএএ’র একটি চিঠি থেকে জানা যায়, টিকার প্রথম বড় চালান পরিবহনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোর ও’হেয়ার এয়ারপোর্ট থেকে বেলজিয়ামের ব্রাসেলস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে চার্টার্ড ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে ইউনাইটেড।

ব্রাসেলস এবং শিকাগোর উভয় বিমানবন্দরই যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান এবং বেলজিয়ামের পুয়ার্সে ফাইজারের কারখানার জন্য সুবিধাজনক অবস্থানে পড়েছে। এ ছাড়া উইসকনসিনে ফাইজারের বিতরণস্থল শিকাগোর কাছেই।

কোম্পানিটির আরেকটি বিতরণস্থল জার্মানিতে। দেশটির জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক যৌথভাবে এ টিকা তৈরিতে কাজ করছে।

এ টিকার চালান নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন কয়েক ডজন কার্গো ফ্লাইট এবং শত শত ট্রাক পরিবহনের পরিকল্পনা আছে ফাইজারের। কার্গো বিমান ও ট্রাকের ভেতরে স্যুটকেসের মতো হিমায়িত বক্সে করে এ টিকা সরবরাহ করা হবে।


img

বজ্রপাতের সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সুরক্ষায় যা করবেন

প্রকাশিত :  ১১:৫২, ১৩ মে ২০২৪

কালবৈশাখীর সময় হঠাৎ ঝড়, বজ্রপাত আর বৃষ্টি হওয়াটা স্বাভাবিক। এসময় বজ্রপাতে টিভি, ফ্রিজ, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নষ্ট হওয়ার অনেক খবর পাওয়া যায়। তাই এই সময়ে আপনার ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলিকে সুরক্ষিত রাখতে সতর্ক থাকুন।

চলুন জেনে নেওয়া যাক বজ্রপাত বা বৃষ্টির সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস কীভাবে সুরক্ষায় রাখবেন।

ঝড়বৃষ্টি বা বজ্রপাতের সময় ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সুরক্ষার উপায়সমূহ—

* আপনার বাড়ির সব ধরনের বৈদ্যুতিক সংযোগের সঙ্গে আর্থিং ব্যবস্থা করুন। সম্ভব হলে বজ্রপাতের সময় মেইন লাইনের সঙ্গে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখুন।

* ফ্রিজ বা এসির সঙ্গে সরাসরি বৈদ্যুতিক সংযোগ থাকলে বজ্রপাতের সময় তা খুলে রাখাই নিরাপদ। এমনকি এ সময় এসি চালানো থেকেও বিরত থাকুন।

* বজ্রপাতের সময় ফোন ব্যবহার বিপজ্জনক নয়। তবে তা ঘরের মধ্যে। ছাদে বা রাস্তায় খোলা জায়গায় থাকলে ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। বজ্রপাতের সময় ফোন ব্যবহার করলে আপনি বজ্রপাতের শিকার হতে পারেন।

* বজ্রপাতের সময় বা বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর টিভি বন্ধ রাখুন। এই সময় ডিশ বা ইন্টারনেটের সংযোগ খুলে রাখতে পারেন।

* ঝড়বৃষ্টির সময় রাউটার বন্ধ রাখুন। এতে অনেক দিন পর্যন্ত রাউটার ভালো থাকবে। এমনকি এর সঙ্গে সরাসরি কোনো ডিভাইস সংযুক্ত থাকলে সেটিও রক্ষা পাবে।

* বজ্রপাতের সময় ল্যাপটপ, স্মার্টফোন কিংবা যে কোনো ডিভাইস চার্জ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। চার্জারের সঙ্গে লাগানো থাকলে তা খুলে দিন।

* বাড়ির ডেস্কটপ বা কম্পিউটারের সঙ্গে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে তা বন্ধ করে দিন। এমনকি এ সময় ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ চালানো থেকেও বিরত থাকুন। যদিও রাউটারের সঙ্গে ওয়াইফাই সংযোগে থাকা মোবাইল বা ল্যাপটপের ক্ষেত্রে তাদের বজ্রাঘাতে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বাড়ির বিদ্যুতের সঙ্গে ল্যাপটপ বা রাউটারের সংযোগ থাকলে তা বিছিন্ন করে দিন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাতের সময় ঘরের ভেতরে থাকলে স্মার্টফোন ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু এই সময় ইন্টারনেট বন্ধ রাখাই ভালো। তবে যদি মারাত্মক আকারে বজ্রপাত হয় সে ক্ষেত্রে ফোনটি পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারেন। না হলে স্মার্টফোনটির তো বটেই, যিনি সেটি ব্যবহার করছেন, তারও বিপদ হতে পারে।