img

নিঃশ্বাস পরিস্কার রাখবে যে ৫ খাবার

প্রকাশিত :  ০৮:৩৫, ২৮ নভেম্বর ২০২০

নিঃশ্বাস পরিস্কার রাখবে যে ৫ খাবার

জনমত ডেস্ক : বায়ু দূষণের কারণে মারা যাওয়ার ঝুঁকি করোনা ভাইরাসের থেকেও বেশি। হাঁপানি সমস্যা বাড়িয়ে তোলা থেকে শুরু করে অন্যান্য শ্বাসকষ্টজনিত রোগকে কার্ডিওভাসকুলার রোগে পরিণত করে। এ কারণেই ফুসফুস ভালো রাখতে আরও বেশি যত্নশীল হতে হবে। আর সেজন্য নির্দিষ্ট কিছু খাবার এ সমস্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করে। টাইমস অব ইন্ডিয়া এমন খাবারের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং বায়ু দূষণজনিত সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করতে সহায়তা করবে।


আদা

সর্দি বা কাশি হলে আদা খাবেন। কেননা এটি প্রদাহ বিরোধী গুণাবলীর জন্য পরিচিত। শ্বাসনালী থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন চা, সালাদ ও তরকারি ইত্যাদিতে আদা যোগ করে খেতে পারেন। 

হলুদ

হলুদের সক্রিয় যৌগ ফুসফুসকে প্রাকৃতিকভাবে পরিস্কার করে। এছাড়া শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার কারণে প্রদাহ এবং শ্লেষ্মা দূর করে। আদা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে এবং শরীরকে ডিটক্সাইফাই করতে সহায়তা করে। 

মধু

আমরা সবাই মধুর গুণাগুণ সম্পর্কে জানি। এটি শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করে। নিশ্বাস পরিস্কার করতে এবং ফুসফুসের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া এটি সর্দি-কাশি থেকেও মুক্তি পেতে সহায়তা করে।

রসুন

রসুনও শ্বাস প্রশ্বাসের সংক্রমণ নিরাময়ে সাহায্য করে। কেননা অ্যালিসন নামক একটি শাক্তিশালী যৌগ রয়েছে যা অ্যান্টিবায়োটিক এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যার ফলে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা হয় না। হাঁপানি রোগীদের জন্য রসুন বেশি কার্যকরী।

গ্রিন-টি

গ্রিন-টি স্বাস্থ্য উপকারীতার কথা সবাই জানি। এটি ওজন কমানো থেকে শুরু করে প্রদাহ কমানো সব করে থাকে। এছাড়া ফুসফুসের অবস্থাও উন্নতি হয় নিয়মিত গ্রিন-টি খেলে।

img

কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১০:৩১, ০৯ মে ২০২৪

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কেবল বয়স্কদের থাকে এ ধারণাটি সঠিক নয়। অল্প বয়সের মানুষের মধ্যে রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে। অপেক্ষাকৃত ২০ থেকে ৪০ বছরের কমেও এটি হতে পারে। দেশের অল্প বয়সী জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশ পুরুষ আর ৯ শতাংশ নারী। 

অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ার পেছনে তরুণ প্রজন্মের কিছু বদভ্যাস দায়ী। অতি লবণযুক্ত ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, ওজন বৃদ্ধি ও কায়িক শ্রমের অভাব অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই তরুণদের ৬৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপের কোনো উপসর্গ নেই।

চিকিৎসকেরা বলেন, রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে মানেই একই সঙ্গে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকিও। অল্প বয়সেই কোনও গুরুতর রোগের আশঙ্কা এড়িয়ে চলতে যে নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন: 

ব্যস্ততার মধ্যে কিছুটা সময় বের করে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত চার দিন সাইকেল চালানো, সাঁতার বা যে কোনও খেলাধুলো করতে পারলে ভালো। এছাড়া, সকালে ঘুম থেকে উঠে, বিকেলে ও রাতে খাবার পরে হাঁটাহাঁটি করতে পারলে স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী। 

ছোট থেকেই প্রোটিন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো। পাশাপাশি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। না হলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এই উপাদানগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।  

বয়স কম হলেও নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে হবে। বিশেষ করে যদি পরিবারে এমন কোনও রোগ থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে সময় থাকতেই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। 

তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।