img

কোলেস্টেরল কমাবে যেসব ফল

প্রকাশিত :  ১৭:২৯, ২৬ নভেম্বর ২০১৮

কোলেস্টেরল কমাবে যেসব ফল

খাদ্যভাসের কারণে অনেক সময় শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যায়। বিশেষ করে ফ্যাট জাতীয় খাবার যেমন-ফ্রাই, বার্গার, পিজা এগুলো কোলেস্টেরলের পরিমান বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে খাদ্য তালিকায় বেশি মাত্রায় ফাইবার সমৃদ্ধ ফল, শাকসবজি এবং শস্য জাতীয় খাবার যোগ করলে খারাপ কোলেস্টেরল সহজেই নিয়ন্ত্রন করা যায়। কিছু কিছু ফল আছে যেগুলো কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রন করতে সাহায্য করে। যেমন-

অ্যাভোকাডো : এই ফলটি উচ্চ রক্তচাপে ভোগা রোগীদের জন্য দারুন উপকারী। এতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন-ভিটামিন কে, সি, বি ৫, বি ৬,ই এবং উপকারী ফ্যাট রয়েছে যা হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে। সেই সঙ্গে স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়। এছাড়া অ্যাভোকাডো রক্তে খারাপ এবং ভাল কোলেস্টেরলের ভারসাম্য বজায় রাখে।

টমেটো : টমেটোতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ ,বি, কে এবং সি আছে যা দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। সেই সঙ্গে ত্বক এবং হৃৎপিণ্ডও সুস্থ রাখে। পটাশিয়ামের ভাল উৎস হওয়ায় টমেটো হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া এটি কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়। আপেল : এটি এমনই একটি শক্তিশালী ফল যা নিয়মিত খেলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হয় না। ত্বকের সুরক্ষা থেকে শুরু করে হজমশক্তি বাড়াতে আপেল দারুন কার্যকরী। আপেলে থাকা ফাইবার এবং অ্যন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হৃদরোগজনিত জটিলতা কমাতে ভূমিকা রাখে। 

সাইট্রাস ফল : বিভিন্ন ধরনের সাইট্রাস ফল যেমন-লেবু, কমলা এবং আঙ্গুর কোলেস্টেরল কমাতে দারুন কার্যকরী। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ এসব ফল স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও ভূমিকা রাখে।

পেঁপে : এতে থাকা উচ্চ পরিমাণে ফাইবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমানও নিয়ন্ত্রন করে। এছাড় পেঁপে হজমশক্তি বাড়াতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। সূত্র : এনডিটিভি


img

বৃষ্টির সময় নিরাপদে থাকতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১২:৩২, ১৩ মে ২০২৪

ঝড়-বৃষ্টির কাল গ্রীষ্মে বৃষ্টি হবেই। এতে প্রশান্তির পরশ যেমন রয়েছে, তেমনই মুখোমুখি হতে হয় নানা অসুবিধারও। তাই বলে তো নিজের অফিস আর বাসার কাজ থেমে থাকে না। তবে বাসা থেকে কোথাও যাওয়ার লক্ষ্যে বের হওয়ার পর বৃষ্টি শুরু হলে তা মহাবিপদের। না হয় সঠিক সময়ে কাজে পৌঁছানো, না থাকে নিজের পোশাক ঠিক। আবার বৃষ্টির মধ্যেই যত দুর্ঘটনা ঘটে। এই পরিস্থিতিতে নিজেকে সুরক্ষা রাখা জরুরি।

বৃষ্টির সময় নিরাপদে থাকার উপায়সমূহ-

১. বাসা বা বাড়ির বাইরে থাকলে নিরাপদ কোনো জায়গায় থাকা প্রয়োজন। রাস্তায় কিংবা খোলা কোনো জায়গায় কখনোই থাকা যাবে না। প্রয়োজনে নিকটবর্তী কোনো নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নিন।

২. বৃষ্টি বা ঝড় হলে তখন গাড়ি চালানো একদমই উচিত নয়। এ সময় রাস্তার পাশে নিরাপদ জায়গা দেখে গাড়ি থামিয়ে সেখানে আশ্রয় নিন। আর অবশ্যই গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে রাখুন।

 ৩. রাস্তায় যদি বৃষ্টির সময় কোনো খোলা তার বা রাস্তায় তার পড়ে থাকতে দেখেন তাহলে তার আশপাশে যাবেন না। সেই তার যদি পানির স্পর্শে থাকে তাহলে সেই পানি থেকেও সাবধান। সম্ভব হলে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দিন। আর এ সময় যদি রাস্তা পারাপার হতে হয় তাহলে অবশ্যই ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করবেন।

৪. বাড়ির ছোট সন্তানদের ভেতরে রাখুন। তাদের কোনোভাবেই বাইরে যেতে দিবেন না।

৫. বৃষ্টির সময় কোনো গাছের নিচে দাঁড়ানো উচিত নয়। এ সময় গাছের ডাল ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

৬. বাসায় বা বাড়ি থাকলে টর্চ লাইট, হারিকেন বা আলোর বিকল্প উপায় রাখুন। বৃষ্টির সময় বিদ্যুৎ বিপর্যয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৭. গ্রীষ্ম বা বর্ষার সময় মোবাইল ফোনে সব সময় যথেষ্ট চার্জ রাখুন। যাতে করে যেকোনো প্রয়োজনে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

৮. বাসা বা বাড়ির বাইরে থাকলে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না। কেননা, মোবাইল ফোন থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার শঙ্কা থাকে।