img

ইসরায়েলকে আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিল সৌদি আরব

প্রকাশিত :  ০৭:৩২, ০১ ডিসেম্বর ২০২০

ইসরায়েলকে আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দিল সৌদি আরব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরাইলের বাণিজ্যিক বিমানকে নিজেদের আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে সৌদি আরব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে সৌদি বাদশাহ মোহাম্মদ বিন সালমানের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছে ইসরাইলি গণমাধ্যম। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।  

 সংযুক্ত আরব আমিরাত যেতে ইসরাইলি বাণিজ্যিক বিমান এখন থেকে সৌদি আরবের আকাশপথ ব্যবহার করতে পারবে।

কুশনার সৌদি প্রশাসনের বৈঠকে বিমান চলাচলের ইস্যুটি উত্থাপন করেন মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মার্কিন দূত এভি বেরকোইৎস ও ব্রায়ান হুক।

 মঙ্গলবার সকালে প্রথমবারের মতো ইসরাইলি বাণিজ্যিক বিমান আরব আমিরাত যাচ্ছে। এর আগেই যুক্তরাষ্ট্র তার ঘনিষ্ঠ মিত্রের সুবিধার জন্য সৌদি আরবের আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি পাইয়ে দিল।

 ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কেনার চেষ্টা করে আসছে আরব আমিরাত। সম্প্রতি আরব আমিরাত ছাড়াও ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয় মধ্যপ্রচ্যের আরব দেশ বাহরাইন ও আফ্রিকার মুসলিম দেশ সুদান।   

img

ইসরাইল-মিসর সম্পর্কে ফাটল, রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের হুমকি!

প্রকাশিত :  ১২:০২, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬, ১৪ মে ২০২৪

ইসরায়েল ও মিসরের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু ৪৫ বছর আগে। এই সময়ের মধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক খুক একটা উষ্ণ না হলেও একটি ন্যূনতম সম্পর্ক বজায় ছিল। তবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্কে ফাটল তৈরি হয়েছে। এমনকি তেল আবিব থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও ভাবছে কায়রো।

সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে মিসরীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন, রাফায় দেশটির অভিযানকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে মতভেদের বিষয়টি প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থায় ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার কথা ভাবছে মিসর। বিশেষ করে, গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে ইসরাইল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করে দেশটি।

মিসরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আলকাহেরা নিউজ শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রাফাতে ইসরাইলের ‘অগ্রহণযোগ্য উত্তেজনা বৃদ্ধির’ কারণে ত্রাণ নিয়ে মিসর তাদের সঙ্গে কাজ করবে না।

একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, গাজায় মানবিক পরিস্থিতির বিপর্যয়ের জন্য শুধুমাত্র ইসরাইলকেই দায়ী করে মিসর।

ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুরোপুরি ছিন্ন না করে তা সীমিত করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিসরীয় কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মিসরীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কায়রো ইসরাইল থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহারের বিষয়টিও বিবেচনা করে দেখছে।

তিনি আরও বলেন, তবে যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনী রাফাহ ক্রসিংয়ে (মিসর ও গাজার মধ্যকার সংযোগ পথ) অবস্থান করবে ততক্ষণ পর্যন্ত মিসর একটি ট্রাকও (ত্রাণবাহী) রাফাহে পাঠাবে না।’ তবে রাফাহে ত্রাণের ট্রাক পাঠাতে না পারলে সেটির ফলাফল কী হবে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ও মিসরীয় কর্মকর্তা।

গত সপ্তাহে হঠাৎ করে গাজা ও মিসরের সীমান্তবর্তী রাফা ক্রসিং দখল করে নেয় ইসরাইলি সেনারা। এরপর থেকে সীমান্তটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। সেখান দিয়ে এখন কোনো ধরনের ত্রাণ আসছে না। এর আগে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে ত্রাণ আসার একমাত্র পথ ছিল এই রাফা ক্রসিং। এছাড়া গাজা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মিসর যাওয়ার একমাত্র রাস্তাও ছিল এটি।

রাফা ক্রসিং দখল করার পর শনিবার রাফার মধ্যাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইল। এরপরই সেখানে পূর্ণমাত্রার হামলা চালায় দখলদার ইসরাইলের সেনারা।