গবেষণার রিপোর্ট

ব্রিটেনে প্রায় ৭ লাখ মানুষকে দারিদ্রসীমার নিচে নামিয়েছে করোনা

প্রকাশিত :  ০৭:৪৮, ০১ ডিসেম্বর ২০২০

ব্রিটেনে প্রায় ৭ লাখ মানুষকে দারিদ্রসীমার নিচে নামিয়েছে করোনা

জনমত ডেস্ক : করোনা সংকটে ব্রিটেনের প্রায় ৭ লাখের বেশি মানুষ নতুন করে দারিদ্রতার মধ্যে পড়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজারের বেশি শিশুও রয়েছে। দ্যা লেগাটাম ইনস্টিটিউট নামে একটি গবেষণা সংস্থার রিপোর্টে এই তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা মহামারী শুরুর পর গত এপ্রিল থেকে ইউনিভার্সেল ক্রেডিটের অর্থের পরিমাণ সপ্তাহে ২০ পাউন্ড বাড়ানোর ফলে করোনা সংকটকালে দারিদ্রতার মধ্যে বসবাসরত এই ৭ লাখ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়ে কিছুটা সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। তা বন্ধ হবার সাথে সাথে দরিদ্রের সংখ্যা দ্বিগুন হতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি। তবে এই গবেষণা সংস্থার মতে, করোনার কারণে সার্বিকভাবে ব্রিটেনের সর্বমোট জনসংখ্যার প্রায় ২৩ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ১৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ দারিদ্রতার মধ্যে বসবাস করছেন।

এই সংস্থার চীফ এক্সিকিউটিভ এবং কনজারভেটিভ পার্টির হাউস অব লর্ডসের সদস্য ফিলিপা স্ট্রউড বলেছেন, করোনা সংকট কাটাতে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচীতে ব্যাপক আকারে দারিদ্র বিরোধী পরিকল্পনা সংযুক্ত করতে হবে। এর অংশ হিসেবে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ইউনিভার্সেল ক্রেডিটে সপ্তাহে অতিরিক্ত ২০ পাউন্ড পরিশোধ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা সংকটে নতুন করে দারিদ্রতার মধ্যে পড়ে প্রায় ৭ লাখের বেশি মানুষের মধ্যে অর্ধেকই দারিদ্র সীমার ২৫ শতাংশ নীচে। আর প্রায় ১লাখ ৬০ হাজার রয়েছেন ৩৫ থেকে ৫০ শতাংশের ভেতরে। আর ২ লাখ ৭০ হাজার মানুষ দারিদ্র সীমার ৫০ শতাংশের বেশি নীচে। অর্থাৎ তারা গভীর দারিদ্রের মধ্যে বসবাস করছেন। তবে করোনা মহামারী শুরুর পর ইউনিভার্সেল ক্রেডিটে সপ্তাহে অতিরিক্ত ২০ পাউন্ড পরিশোধের ফলে প্রায় ১ লাখ সিঙ্গেল পরিবার এবং ১ লাখ ৭০ হাজার কর্মহীন পরিবার কোনো রকমের দারিদ্র সীমার উপরে বসবাস করছে।

উল্লেখ্য ব্রিটেনে দারিদ্র সীমার উপরে থাকতে হলে দু সন্তানসহ একটি সিঙ্গেল পরিবারের সাপ্তাহিক আয় থাকতে হবে ৩শ ২৫ পাউন্ড, বাবা-মাসহ দু সন্তানের পরিবারে সাপ্তাহিক আয় ৪শ ৩৯ পাউন্ড এবং বৃদ্ধ দম্পতির সাপ্তাহিক আয় থাকতে হবে ২শ ৩৯ পাউন্ড।


 

ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে ১৩০ ব্রিটিশ এমপির চিঠি

প্রকাশিত :  ০৯:১৪, ২৮ মার্চ ২০২৪

ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটেনের মেম্বার অব পার্লামেন্ট (এমপি) এবং হাউস অব লর্ডসের মন্ত্রীরা। গাজায় ইসরাইলের হামলার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চাপের প্রতিক্রিয়ায় তারা এ আহ্বান জানান। এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরনকে একটি চিঠিও দিয়েছেন তারা। 

বৃহস্পতিবারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান। 

এই চিঠিতে সমর্থন করেছেন ১৩০ জনেরও বেশি পার্লামেন্ট মেম্বার। চিঠিটিতে ইসরাইলে অস্ত্র রপ্তানি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

লেবার এমপি জারাহ সুলতানার নেতৃত্বে চিঠিতে ১০৭ এমপি এবং ২৭ জন সহকর্মী স্বাক্ষর করেন। এর মধ্যে সাবেক শ্রম মধ্যপ্রাচ্য মন্ত্রী পিটার হেইন, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) ওয়েস্টমিনস্টার নেতা স্টিফেন ফ্লিন এবং সাবেক লেবার নেতা জেরেমি করবিন রয়েছেন। 

স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে আরও আছেন রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ নোশিনা মোবারিক, পররাষ্ট্র দপ্তরের স্থায়ী সচিব জন কের এবং লেবার পার্টির সাবেক মন্ত্রী টেসা ব্ল্যাকস্টোন। চিঠিটি ৪৬ জন লেবার এমপি এবং প্রায় সব এসএনপি সংসদীয় দলের সমর্থন পেয়েছে। 

চিঠিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলে যুক্তরাজ্যের অস্ত্র রপ্তানির \'স্বাভাবিক ব্যবসা\' \'সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য\'। 

জাতিসংঘের সাম্প্রতিক তদন্তে পাওয়া যুক্তরাজ্যের নির্মিত অস্ত্র গাজায় ব্যবহার করা হচ্ছে— এ বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। 

ব্রিটেনের পররাষ্ট্র সচিবের কাছে লেখা চিঠিতে অস্ত্র বিক্রির ব্যাপারে অন্যান্য দেশের নেওয়া পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেছেন এমপিরা। গত সপ্তাহে কানাডা ইসরাইলে সমস্ত অস্ত্র রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।