img

যেভাবে বুঝবেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে

প্রকাশিত :  ০৮:১৯, ০১ ডিসেম্বর ২০২০

যেভাবে বুঝবেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে

জনমত ডেস্ক : শীতের সময় অনেকের ঠান্ডা-কাশি লেগে থাকে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে অন্যান্য রোগের পাশাপাশি ঘন ঘন ঠান্ডা জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়।  

স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, ঘন ঘন ঠান্ডা-কাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার লক্ষণ। 


আরও কিছু লক্ষণ

১. প্রাপ্ত বয়স্কদের বছরে দুএকবার ঠান্ডা কাশি হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু, যদি ঘন ঘন এই সমস্যা দেখা দেয় তাহলে বুঝতে হবে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। ঘন ঘন ঠান্ডা লাগা নানান সমস্যা যেমন- নিউমোনিয়া ও ব্রংকাইটিসের লক্ষণও হতে পারে।  এমতাবস্থায় দ্রুতই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।

২. অনেকের অসুখ হলে সেরে উঠতে বেশ সময় লাগে। বেশি সময় লাগা দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার লক্ষণ। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার ধরনে পরিবর্তন আনতে হবে। 

৩. দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অন্যতম লক্ষণ হল পেটের নানা রকম সমস্যা। যেমন- গ্যাস সৃষ্টি, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া।

৪. রাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। এরপরও যদি ক্লান্ত অনুভূত হয় তাহলে বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে সারাক্ষণই দুর্বলভাব দেখা দেয়।



img

কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ এড়াতে যা করবেন

প্রকাশিত :  ১০:৩১, ০৯ মে ২০২৪

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কেবল বয়স্কদের থাকে এ ধারণাটি সঠিক নয়। অল্প বয়সের মানুষের মধ্যে রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে। অপেক্ষাকৃত ২০ থেকে ৪০ বছরের কমেও এটি হতে পারে। দেশের অল্প বয়সী জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশ পুরুষ আর ৯ শতাংশ নারী। 

অল্প বয়সে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ার পেছনে তরুণ প্রজন্মের কিছু বদভ্যাস দায়ী। অতি লবণযুক্ত ফাস্টফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ, ওজন বৃদ্ধি ও কায়িক শ্রমের অভাব অল্পবয়সী মানুষের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই তরুণদের ৬৮ শতাংশের উচ্চ রক্তচাপের কোনো উপসর্গ নেই।

চিকিৎসকেরা বলেন, রক্তচাপের মাত্রা বাড়ছে মানেই একই সঙ্গে বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকিও। অল্প বয়সেই কোনও গুরুতর রোগের আশঙ্কা এড়িয়ে চলতে যে নিয়মগুলো মেনে চলতে পারেন: 

ব্যস্ততার মধ্যে কিছুটা সময় বের করে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারেন। সপ্তাহে অন্তত চার দিন সাইকেল চালানো, সাঁতার বা যে কোনও খেলাধুলো করতে পারলে ভালো। এছাড়া, সকালে ঘুম থেকে উঠে, বিকেলে ও রাতে খাবার পরে হাঁটাহাঁটি করতে পারলে স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী। 

ছোট থেকেই প্রোটিন, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকা ভালো। পাশাপাশি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। না হলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এই উপাদানগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকলে রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।  

বয়স কম হলেও নিয়মিত রক্তচাপ মাপতে হবে। বিশেষ করে যদি পরিবারে এমন কোনও রোগ থেকে থাকে, সে ক্ষেত্রে সময় থাকতেই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। 

তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।