গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে আরও ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত :  ০৯:৪৯, ০১ ডিসেম্বর ২০২০
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৪৮, ০১ ডিসেম্বর ২০২০

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেবে আরও ১৯ বিশ্ববিদ্যালয়

জনমত ডেস্ক : দেশের ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই গুচ্ছের অধীনে মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান- এ তিনটি বিষয়বস্তুর ওপর পরীক্ষা নেয়া হবে। এসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা হবে। উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ওপর ভিত্তি করে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হবে।

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মঙ্গলবার চূড়ান্তভাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তিনটি গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান বলেন, উপাচার্যদের সমন্বয়ে গঠিত কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি এ গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন। কমিটি ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের একটি স্কোর দেবেন। এ গুচ্ছের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ শর্ত ও চাহিদা উল্লেখ করে শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করবে। স্কোর নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। এজন্য আলাদা করে কোনো ধরনের ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে না।

অপর যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন সময়ের দাবি। করোনা পরিস্থিতি আরও বাস্তব করে তুলেছে এ দাবি। অভিন্ন প্রক্রিয়ায় সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে আমরা সার্বিক প্রচেষ্টা চালাব।

সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, করোনার কারণে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছু হঠার সুযোগ নেই। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কথা চিন্তা করে সরাসরি ও সহজ উপায়ে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য তিনি উপাচার্যদেরকে আহ্বান জানান। 

উল্লেখ্য, কৃষিবিষয়ক ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গত বছর স্নাতক শ্রেণিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। দেশে বর্তমানে ৪৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে ৩৯টিতে স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২৮ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় যুক্ত হল।

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ

প্রকাশিত :  ১০:০৩, ২৮ মার্চ ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:১৩, ২৮ মার্চ ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাসের হার ১০ দশমিক ০৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ১০ হাজার ২৭৫ জন।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ৩টার পর অধ্যাপক আব্দুল মতিন ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এ ফলাফল প্রকাশ করেন।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা ঢাকাসহ দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরের প্রায় ৮০টি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ইউনিটে ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ২২৫টি। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার অংশগ্রহণ করেছেন। 

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি ইউনিটের ৫ হাজার ৯৬৫ আসনের জন্য মোট আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার ২টি। সে অনুযায়ী, আসন প্রতি পরীক্ষা দিয়েছেন প্রায় ৪৭ জন শিক্ষার্থী। 

ফলাফল যেভাবে দেখা যাবে 

কলা আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ডের নাম, পাসের সন এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বরের মাধ্যমে https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফল জানতে পারবেন।

এছাড়া, টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে 'কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট'-এর জন্য DU ALS , 'বিজ্ঞান ইউনিট'-এর জন্য DU SCI , 'ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট'-এর জন্য DU BUS এবং 'চারুকলা ইউনিট'-এর জন্য DU FRT টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফল জানা যাবে।

উল্লেখ্য, গত ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এই ইউনিটে মাত্র ১১ হাজার ১৬৯ জন শিক্ষার্থী পাস করেন। পাসের হার ছিলো মাত্র ৯.৬৯ শতাংশ।